সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান



বৌঠান এবং জয়ীঃ এক এবং আলাদা ( পর্ব ১) – আদিত্য

হলদেটে পাতাগুলো অবরোধ ডেকেছে চুপিসারে! বসন্ত এসে থমকে আছে কোনও প্রেমহীন নগরীতে এখন একটা ঠাণ্ডা হাওয়া জটলা করে রোজ সকালে এই প্রেমের মরসুমে ঘুম ভাঙে প্রতিবেশীদের খুনসুটিতে  নোংরা ফেলার গাড়ি বাঁশি বাজায় প্রবল উৎসাহে একটা উৎসবের সূচনা কিংবা দশমীর বিষাদ! ঠিক এই ভাবেই এক একটা দিন উবে যায় আমার বয়স থেকে!
একটা প্রাচীন বাড়ি প্রাচীন তার রীতি! তুমি এই বনেদিয়ানার ফাঁকে বড্ড আধুনিক এবং আনকোরা শব্দহীন নগরীতে যখন নতুন প্রাণ খেলা করে, তখন চারিদিক আলোয় ভরে উঠে সেজে ওঠে সব বার্ধক্য সেরে যায় জটিল রোগ একটা চিনচিনে আনন্দ বাসা বাঁধে বুক জুড়ে মনটা কেমন দমকা হাওয়ার তালে মাদল বাজাতে থাকে, সুরে সুরে কেউ গান বাঁধে আমার দালানে একটা প্রচণ্ড ঠাণ্ডার রাতে, তোমার ফোনের অপেক্ষায় থাকা কোনও পাগল বালক ভুলে যায় সব পিছুটান অনিমেষ- মাধবীলতার গল্পের সূচনা কিংবা অমিত-লাবন্যের উপসংহার, হয়ত আমাদেরই অতীত! রবি-রানুর আদরের দাগ  আসলে আমাদেরই ভালবাসা  কে জানে, আমারা কী ছিলাম কিংবা কোথায় থাকব ? তবে যেখানেই থাকব, ভাল থাকব  শুধু থমকে যাবে আমাদের অবৈধ সময়টা! একটা লোডশেডিং-এর রাতে দমকা হাওয়ার মতো উড়ে আসবে আমাদের সময়টা ইনজেকশন-এর মতো সূচ ফুটিয়ে দেবে শিরায়! অবশ করে দেবে আমাদের শরীরকে আবার ভাবতে বাধ্য করবে,”যদি আমারা প্রেমিক-প্রেমিকা হতাম, তবে এই উপন্যাসটা হয়ত জন্মাত না! হয়ত কোনও অসুখ এইভাবে বাসা বাঁধত না চিলেকোঠায়
তোমাকে বৌঠান ডাকার বদলে হয়ত অন্যকিছু বলে সম্বোধন করতাম হয়ত তোমাকে কাছে পাওয়ার জন্য এতকিছু পসরা সাজাতে হত না তোমাকে কাছে পাওয়ার জন্য একটা একটা বিকেল আমাকে অপেক্ষায় রেখে যেত না! কিন্তু হয়ত তোমাকে পায়নি বলেই জয়ীকে এতটা ভালবাসতে পেরেছি সিটি অফ জয়ের বুকে জয়ী হয়ে উঠেছি কত সহজেই বৌঠান, তুমি আর জয়ী আলদা! কিন্তু তুমি আর জয়ী এক! দুজনেই একটা নতুন প্রাণের জন্ম দিয়েছ দুজনেই ভালবাসতে  শিখিয়েছ তোমরা দুজনেই একটা আয়নার এদিক- ওদিক তোমারা দুজনেই ঝরা বসন্তের রূপকথা
 শুধু তোমাদের কোনও দিন দেখা হয়নি! তোমরা পরস্পরের গল্প শুনেছ একদিন ইচ্ছে আছে, তোমাদের দেখা হোক কোনও শান্ত সন্ধ্যেবেলায় একটা সাদাকালো গলির মোড়ে, একটা টিমটিমে আলোর নীচে কোনও সিনেমার প্লট হলেও মন্দ হবে না দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদো দেখবে শান্তি পাবে ঠিক যেমনটা আমি পেয়েছিলাম কোনও এক ডিসেম্বরের রাতে

(পর্ব - )
একদিকে বৌঠান আর অন্যদিকে জয়ী! একে অপরের বিপরীত একদিকে যখন তীব্র হিংসা তখন অপরদিকে বাঁধ ভাঙা ভালবাসা একদিকে যখন বসন্তের শান্ত স্নিগ্ধ আবেগ তখন অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমের দাবদাহ জয়ী, তোমার জম্ন হবে যে এইভাবে, তা কে জানত! একটা কবির অনেক ক্ষমতা থাকে, সে একটা চরিত্রের জন্ম এবং মৃত্যু দিতে পারে আনায়াসে তোমাকে কোনও এক শীতের রাতে আমি জন্ম দিয়েছিলাম তখন বৌঠান আমার কবিতার মধ্যভাগে আমার সবটা জুড়ে তখন শুধু শ্রদ্ধা
বৌঠান আমাকে আগলে রেখেছিল রোদ- জল- ঝড়- বৃষ্টিতে আমাকে ছায়া দিয়েছিল তুমি আমার ঠিক মায়ের মতো বৌঠান কিন্তু অন্যদিকে জয়ী আমাকে শুধু কষ্ট দিয়েছে প্রতিদিন আমাকে একা ছেড়ে দিয়েছে মরুভূমির মাঝে বলেছে, “ যা খুটে খাভালবাসতে ভুলিয়ে দিয়েছে শহরটা হারিয়ে দিয়ে চলে গেছে অন্য শহরে
তোমারা দুজনই আমার জীবনটাকে অনেকটা বদলে দিয়েছ শুধু আমিই কিছু করতে পারিনি তোমাদের থেকে অনেককিছু নিয়েছি, কিন্তু কিছুই ফিরিয়ে দিতে পারিনি শুধু একরাশ হতাশা ছাড়া
দাড়িটা কেটে আয় , বনমানুষের মতো দেখাচ্ছে
কাটব না
তোর সঙ্গে কথাই বলব না তাহলে
আমিও তোমার কথায় কত কিছু করতাম একলাফে বনমানুষ থেকে মানুষও হয়ে যেতাম এখন ভাবলে হাসিও পায় তখন অনেকটা অপরিণত এবং আনকোরা ছিলাম কিন্তু জয়ী আমাকে অনেকটা পরিণত করে দিয়ে গেছে
আজ ফোন করলে না কেন ? ‘’
‘’ সময় পায়নি একদম
আবার মিথ্যে বলছ
তাহ্লে তাই ‘’
বৌঠান জয়ীকে খুব হিংসা করত একটা মেয়ে আরেকটা মেয়েকে কিছুতেই সহ্য করতে পারে না অন্তত এই সম্পর্কের জটিলতায় এরা একে অপরের শত্রু
আমি যখন একটা পত্রিকার দপ্তরে চাকরি পায়, তখন জয়ী আমার নিত্যসঙ্গী ওকে ছাড়া আমার একমুহূর্তও কাটত না
‘’ আমি চাকরিটা পেলে , কী পাব ? “
তুই কী চাস ? “
আমাকে ছুঁয়ে দেখবে , আমার গালে এঁকে দেবে একটা বিশাল আকাশ ? “
আচ্ছা! দেব
সেদিন হয়ত কেউই ভাবতে পারিনি আমারা দুজন দুজনের কথা রাখব কিন্তু নিয়তি বড্ড নিষ্ঠুর আমিও চাকরিটা পেয়ে যায়, আর তুমিও একটা মরুভূমি এঁকে দিয়েছিলে আমার গালে তখন সময়টা হয়ত অন্য ছিল গল্পগুলোও অন্য ছিল বৌঠান আর জয়ীও আলাদা ছিল সবার কাছে!
                                  পর্ব-
এখন মরচে ধরেছে দেওয়ালে! শুধু দেওয়াল নয়, স্মৃতিতেও চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়েছে কোনও কান্নার আওয়াজ আর ঘুম ভাঙায় না ঝরা বসন্তে তোমার দেওয়া অবাঞ্ছিত জলীয় বাষ্প এখন উবে গেছে অন্য শহরে প্রেমের রঙ নীল নয়, ফ্যাকাসে হয়ে উঠেছে ক্রমশ ঝড় এগিয়ে আসছে ঈশান কোনে বুঝতে পেরেছিলাম আমরা, তবুও কেউ ভুলে যাওয়ার কথা বলিনি আমরা শুধু কয়েকটা দিনের জন্য এক হয়ে গেছিলাম বৌঠান আর আমার সম্পর্কটা বড্ড আপন ছিল আমরা একে অপরের পরিপূরক ছিলাম অবসরের সঙ্গী ছিলাম তখন জয়ী আসিনি এই গল্পে তখন কোনও রাগ- অভিমানের জন্ম হয়নি তখন শুধু আমি আর বৌঠান প্রচণ্ড শ্রদ্ধা আর ভালবাসা ব্যস, এই ছিল জীবন
কর্নেল সমগ্রটা শেষ করলে ? “
না, একদম সময় পায়নি
তোমার তো কোনও কিছুতেই সময় নেই
‘’ বাজে বকিস না! যা পড়তে বস
মেয়ে কী করছে ? “
এখনও ঘুমোচ্ছে’’
উঠলে আমার কাছে দিয়ে যেও’’
দেখব ‘’
এতে আবার দেখার কী আছে ? “
ঘুম থেকে উঠলে ওকে খাওয়াব তারপর চান করাব, তারপর আবার সে দাদানের সঙ্গে ঘুরতে বেরবেন
থাক! পাঠাবে না বললেই হয়
তাহ্লে তাই
পাঠিও না তাহ্লে
তুইও কেমন বাচ্চাদের মতো করিস
আমি তো চিরকাল তোমার কাছে বাচ্ছাই! বছর দশেকের ছোট‘’
‘’ আবার বাজে বকছিস! পড়তে বস
এইভাবেই তুমি আমাকে আটকে রেখেছিলে বৌঠান সৃজাকে অনেক সময়ই দূরে রেখেছ আমার থেকে জানো, এই ছোট্ট মেয়েটাও জয়ীকে দেখেছে শুধু তুমি দেখনি
তুমি একটা কাল্পনিক গল্পের রূপকথার মতো জানি, তুমি কোনওদিন আমার আর জয়ীর সম্পর্কের কথাটা মেনে নিতে পারনি জয়ী বিবাহিত হলেও, আমাদের সম্পর্কের টানটা অন্যছিল জয়ী, একজন মা হয়েও আমাকে কিন্তু কোনওদিনই অস্বীকার করতে পারিনি শুধু আমাকে এড়িয়ে যেত ভয়ে বৌঠান, জয়ী চূড়ান্ত সোজাসাপটা মানুষ হলেও শেষের দিকে প্রচণ্ড জটিল হয়ে উঠেছিল
‘’  একটা স্ক্রিপ্ট লিখেছি
শুনি, কী লিখেছিস
সেদিন একটা শীতের দুপুর, আমি আর বৌঠান ঘরে
একটা অসমবয়সী প্রেমের গল্প, একটা সিটি অফ পরাজয়ের গল্প
তুমি আপনমনে অন্য পানে চেয়ে হয়ত বুঝতে পেরেছিলে, জয়ী জন্ম নিচ্ছে চুপিসারে
                      
(শেষ পর্ব)
       (১)
"পড়েছ লেখাগুলো ?''
"
হ্যাঁ!"
"
কেমন হচ্ছে ?"
"
জানি না,ঠিক বুঝতে পারছি না"
"
পারবেও না"
"
কেন?"
"
নিজেকে নিয়ে লেখা কোনও দিনই বোঝা যায় না"
          (২)
রিপ্লাই আসা বন্ধ!
অভিযোগ, সময় নেই
খবরগুলো সত্যি কিনা,জানি না
তবে আমিও আর বেশিদিন নেই
ইস্তফা পত্র তৈরি জয়ী, আমি আসছি না
তোমায় ভালবেসে বড্ড ভুল করেছি
ইস্তফা পত্রে পড়ে নিও আমার ইতিকথা...
                 (৩)
আমার প্রত্যেকটা দিন ভাল যাবে!
একটা দালান একটা ভালবাসা একটা পর্ব
গল্পের ভেতরে গল্প থাকে, সময়ের ভেতরে সময়
আমার ভেতরে জয়ী আছে, জয়ীর ভেতরে অপচয়
একটা কবিতা আছে তোমার বুকে, বুকে আছে গল্প
তুমি বলেছিলে,"তোর প্রত্যেকটা দিন ভাল যাবে"
দিনের ভেতরে দিন আছে, দিনের ভিতের সময়
এইভাবেই কেটে যাবে,প্রত্যেকের মধ্যে দিয়ে...
     (৪)
শুন্যতা!
আমার জীর্ন বাড়িটায় ঝরা বসন্তের ঝড়
দালানে তোমার স্পর্শ নেই, হারমোনিয়ামে সুর নেই
তোমার গন্ধ নেই মনখারাপের রাতে
জয়ী, তুমি নেই তবুও উদাসী ভোরে বিভোর-
একটা ক্ষয় ধরা কবি! তুমি বারণ করেছিলে-
না,আর হেরে যাওয়ার গল্প নয়,
এবার একটা ভালবাসার কথা বলব
কিন্তু সব ভালবাসাই তো হেরে যাওয়া...
        (৫) 
কিসের অপেক্ষা করছ ?
এই ভিড়েও আমি আছি,
একটু একটু করে ফিরে আসার চেষ্টা করছি
তোমার মুহূর্তগুলো এখন মনখারাপের বিজ্ঞাপণ-
তারগুলোয় এখন জামাকাপড়ের ভিড় নেই
কেউ আদর করে ডাকছে না ভোরবেলায়
কিসের অপেক্ষা করছি? জয়ী, কেমন আছো?
কেমন আছে আমাদের ভালবাসার শহর ?
             (৬)
যাওয়ার আগে একটা পেন দিয়ে বলেছিলে-
"
সবসময় সঙ্গে রাখিস
দেখবি, তোর প্রতিটা দিন ভাল হবে"
জয়ী, আমার সঙ্গে প্রতিদিন কিছু -
অবাঞ্ছিত ফাস্ট্রেশন ঘুরে বেড়ায়-
যেগুলো তোমার সহজাত
তুমি শুধু আমাকে সহজ হতে শিখিয়েছ-
ভালবাসতে শিখিয়েছে, জয়ী হতে শিখিয়েছ
        (৭) 
শহর দুটো আলাদা
প্রেমটাও অবৈধ
বছর দশেকের ব্যবধান আর-
সময়টাও বড্ড আলাদা
আমরা শুধু অপেক্ষা করতে জানি এয়ারপোর্টে
জয়ী, এভাবেই কেটে যাবে,
তোমার চুলে পাক ধরবে, আর আমার মাথায়
শুধু এই বসন্তগুলো এলোমেলো হয়ে যাবে
আমি আসছি জয়ী, আসছি...
         (৮)
জাস্ট একটা ফ্লাইট
কলিংবেল বাজবে হটাৎ,
দরজা খুলবে তুমি দেখবে আমাকে,
একরাশ রোদ্দুর নিয়ে এসেছি- 
ঠিক যেখানে দাঁড়িয়ে তুমি বলেছিলে
সব ভাল হবে, ঠিক সেখানেই আবার ফিরে যাব
শুধু শহরটা বদলে যাবে জয়ী, আমি আসছি..

     (৯)
খুঁজতে আসবে
কোনও একদিন
যেদিন হয়ত বসন্তের রং হবে ফ্যাকাসে
যেদিন আমাদের বয়স বাড়বে 
যেদিন আর অভিমান জমবে না মনে
হয়ত সেদিন তুমি আসবে, শুন্য হাতে-
একমুঠো আদরের দাগ নিয়ে
         (১০)
আমি না থাকলেও
গল্পগুলো থেকে যাবে
জয়ী বেঁচে আবার
কোনও প্রেমিকার ছদ্দবেশে
         
          (১১)
একটা উপন্যাস তাড়া করে বেড়াচ্ছে
বিগত তিনমাস ধরে ঘুমোতে দিচ্ছে না
আমার আর জয়ীর গল্প
কিংবা আমরা শুধুই রূপক এই গল্পে
আমার আর শেষ করা হবে না এই গল্পটা

তোমাকে নিয়ে নতুন করে কী লিখব বলতে পারো ? বৌঠান থেকে জয়ী হয়ে ওঠার গল্পগুলো তো বন্দী এই কবিতার প্রতিটি লাইনে! তুমি আঘাতও দিলেও সেটাকে ভালবাসা ভেবে ভুল করেছি। তুমি না চাইলেও বারেবারে তোমার কাছে এসেছি চুপিসারে। বৌঠান, আমার কাছে তুমিই জয়ী, তুমিই সব! একদিন শান্ত হয়ে বসে ভেব, কেন আমি তোমার জন্য এত লিখেছি। ভাল থেকো জয়ী, ভাল থেকো বৌঠান।।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...