সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান


সব প্রিয়জনই কিন্তু প্রয়োজন হয়, কিন্তু সব প্রয়োজন প্রিয়জন হয় না! জয়ী, তুমি রূপকথার গল্প হলেও হয়ত সময়টা থমকে থাকত না। আমায় বারেবারে উদাসী করত না কোনও শান্ত বিকেল। ঝরা বসন্তের প্রমাদ গোনা কোনও পাগল বালকও, তোমার প্রেমে হাবুডুবু খেত না সারাদিন! জয়ী, তুমি কেন এসেছিলে ? হয়ত তুমি না আসলে আজ সময়টা অন্য হত। আমিও হয়ত আজ অনেকটা সুস্থ থাকতাম। আমিও আজ অন্য কাউকে নিয়ে কাব্য করতাম। কিন্তু তুমি সব ভুলিয়ে দিয়ে গেছো। এই শহরটাকে আবার হারতে শিখিয়ে গেছো। এখন বুকের ভিতরটা কেমন করে, তোমাকে বলে বোঝাতে পারব না!

জানো জয়ী, আমি মাঝে মাঝে ভাবি, আদেও ভালবাসা ছিল নাকি সবটায় নাটক। আমি চিরকাল তোমার জন্য অপেক্ষা করতাম, কিন্তু তুমি কোনদিনই আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকনি। আমি সময় খুঁজে নিতাম আর তুমি অজুহাত! জয়ী, তুমি আমার প্রেমিকা হলে আজ তোমায় নিয়ে হয়ত অন্য কথা বলতাম। আজ তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে হলে, উপন্যাসটা অন্য হত। কিন্তু তুমি আমার আত্মীয়। তুমি আমার আপনজন। বড্ড আদরের।


হয়ত এগুলো সবই আমারই। তুমি আমায় কোনদিন ভালবাসতে চাওনি। এড়িয়ে গেছ। আমাকে বারবার আটকে দিয়েছ। কোনওদিন স্বীকার করোনি মিথ্যেগুলো। বিবাহিত জীবনে প্রেম আসতে পারে জয়ী, কাউকে ভালবাসতে গেলে অন্য কেউ ঠকে যায় না। আমি তো সব কিছু জেনেও এগিয়েছিলাম। কথা দিয়েছিলাম, যেখানেই থাকি নিজেদের খুব কাছে থাকব। হয়ত আমিই শুধু সেই কথাগুলো রেখেছি, তুমি সেগুলোকে ঘুড়ি ভেবে উড়িয়ে দিয়েছ। তুমি আমার সবটা জানো। তাই আমাকে শাসন করতে পারো। আমাকে নিয়ে মজা করতে পারো। আমি তো শুধু তোমাকে ভালবাসতে জানি, তাই শ্রদ্ধা করি।

আমাকে পাগল করে সাজিয়ে রেখেছ তোমার ড্রয়িং রুমে। তাই এই সম্পর্কটা এতটা সহজ হয়ে গেছে। তোমার ক্ষমতা আছে, আমাকে এড়িয়ে যাওয়ার কিন্তু আমার নেই! এত কিছু শিখিয়েছ, শুধু এইটাই শেখালে না! তাহলে আজ এতটা কষ্ট পেতে হত না।

আমি জানি না, তুমি কেন চাও আমি তো তোমাকে ভুলে যায় কেন চাও আমি তোমার থেকে দূরে থাকি। জয়ী, জীবনটা এতটা সহজ নয়। এত সহজে কাউকে ভোলা যায় না। তুমি যে প্র্যাক্টিকাল হওয়ার কথা বল, সেটা আসলে বস্তাপচা কনসেপ্ট। তুমি জানোই না, আবেগ আর প্র্যাক্টিকাল এর পার্থক্যটা কোথায়!
তবে একদিন আমাকে খুঁজতে আসবে। আমাদের সময়টাকে আবার জাপটে ধরতে ইচ্ছে করবে। চুমু খেতে ইচ্ছে করবে বয়সের ছাপ পরা গালে! ‘এভরিওয়ান হ্যাভ এ স্টোরি ‘  ছেড়ে আমাদের গল্পটা পড়তে ইচ্ছে করবে।  আসলে প্রত্যেকটা গল্পই খুবই রোমাঞ্চকর। শুধু কে পড়ছে, তারওপর নির্ভর করে! তোমায় হয়ত মিথ্যে বলেছিলাম, দুবার! কিন্তু তুমি আমায় পুরোটায় অন্ধকারে রেখে দিয়ে চলে গেছো।

যারা আজ জয়ীকে দেখতে চাই, তারা কোনওদিনই তোমার আসল পরিচয় জানবে না। শুধু জানবে, তুমি আমার আত্মীয়। তুমি আমার আপনজন। আমাকে পাগল ভেবেই রেখে দিও! কিন্তু একদিন এই পাগলকে খুঁজতে আসবে, বছর দশেক বাদে কিংবা কাল- পরশু! জয়ী, বাকিটা অজানা থাক, পাঠকেরা তোমার খুঁজে নেবে। ভাল থেকো জয়ী, বড্ড ভাল থেকো।  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...