সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান


(শেষ পর্ব)
       (১)
"পড়েছ লেখাগুলো ?''
"হ্যাঁ!"
"কেমন হচ্ছে ?"
"জানি না,ঠিক বুঝতে পারছি না"
"পারবেও না।"
"কেন?"
"নিজেকে নিয়ে লেখা কোনও দিনই বোঝা যায় না"
          (২)
রিপ্লাই আসা বন্ধ!
অভিযোগ, সময় নেই।
খবরগুলো সত্যি কিনা,জানি না
তবে আমিও আর বেশিদিন নেই।
ইস্তফা পত্র তৈরি। জয়ী, আমি আসছি না।
তোমায় ভালবেসে বড্ড ভুল করেছি।
ইস্তফা পত্রে পড়ে নিও আমার ইতিকথা...
                 (৩)
আমার প্রত্যেকটা দিন ভাল যাবে!
একটা দালান। একটা ভালবাসা। একটা পর্ব।
গল্পের ভেতরে গল্প থাকে, সময়ের ভেতরে সময়।
আমার ভেতরে জয়ী আছে, জয়ীর ভেতরে অপচয়
একটা কবিতা আছে তোমার বুকে, বুকে আছে গল্প
তুমি বলেছিলে,"তোর প্রত্যেকটা দিন ভাল যাবে"
দিনের ভেতরে দিন আছে, দিনের ভিতের সময়
এইভাবেই কেটে যাবে,প্রত্যেকের মধ্যে দিয়ে...
     (৪)
শুন্যতা!
আমার জীর্ন বাড়িটায় ঝরা বসন্তের ঝড়।
দালানে তোমার স্পর্শ নেই, হারমোনিয়ামে সুর নেই
তোমার গন্ধ নেই মনখারাপের রাতে।
জয়ী, তুমি নেই তবুও উদাসী ভোরে বিভোর-
একটা ক্ষয় ধরা কবি! তুমি বারণ করেছিলে-
না,আর হেরে যাওয়ার গল্প নয়,
এবার একটা ভালবাসার কথা বলব।
কিন্তু সব ভালবাসাই তো হেরে যাওয়া...
        (৫) 
কিসের অপেক্ষা করছ ?
এই ভিড়েও আমি আছি,
একটু একটু করে ফিরে আসার চেষ্টা করছি।
তোমার মুহূর্তগুলো এখন মনখারাপের বিজ্ঞাপণ-
তারগুলোয় এখন জামাকাপড়ের ভিড় নেই।
কেউ আদর করে ডাকছে না ভোরবেলায়।
কিসের অপেক্ষা করছি? জয়ী, কেমন আছো?
কেমন আছে আমাদের ভালবাসার শহর ?
             (৬)
যাওয়ার আগে একটা পেন দিয়ে বলেছিলে-
" সবসময় সঙ্গে রাখিস।
দেখবি, তোর প্রতিটা দিন ভাল হবে।"
জয়ী, আমার সঙ্গে প্রতিদিন কিছু -
অবাঞ্ছিত ফাস্ট্রেশন ঘুরে বেড়ায়-
যেগুলো তোমার সহজাত।
তুমি শুধু আমাকে সহজ হতে শিখিয়েছ-
ভালবাসতে শিখিয়েছে, জয়ী হতে শিখিয়েছ।
        (৭) 
শহর দুটো আলাদা।
প্রেমটাও অবৈধ।
বছর দশেকের ব্যবধান আর-
সময়টাও বড্ড আলাদা।
আমরা শুধু অপেক্ষা করতে জানি এয়ারপোর্টে
জয়ী, এভাবেই কেটে যাবে,
তোমার চুলে পাক ধরবে, আর আমার মাথায়
শুধু এই বসন্তগুলো এলোমেলো হয়ে যাবে।
আমি আসছি জয়ী, আসছি...
         (৮)
জাস্ট একটা ফ্লাইট।
কলিংবেল বাজবে হটাৎ,
দরজা খুলবে তুমি। দেখবে আমাকে,
একরাশ রোদ্দুর নিয়ে এসেছি- 

ঠিক যেখানে দাঁড়িয়ে তুমি বলেছিলে
সব ভাল হবে, ঠিক সেখানেই আবার ফিরে যাব।
শুধু শহরটা বদলে যাবে। জয়ী, আমি আসছি..

     (৯)
খুঁজতে আসবে।
কোনও একদিন
যেদিন হয়ত বসন্তের রং হবে ফ্যাকাসে।
যেদিন আমাদের বয়স বাড়বে 

যেদিন আর অভিমান জমবে না মনে
হয়ত সেদিন তুমি আসবে, শুন্য হাতে-
একমুঠো আদরের দাগ নিয়ে।
         (১০)
আমি না থাকলেও
গল্পগুলো থেকে যাবে।
জয়ী বেঁচে আবার
কোনও প্রেমিকার ছদ্দবেশে।
         
          (১১)
একটা উপন্যাস তাড়া করে বেড়াচ্ছে
বিগত তিনমাস ধরে ঘুমোতে দিচ্ছে না
আমার আর জয়ীর গল্প।
কিংবা আমরা শুধুই রূপক এই গল্পে
আমার আর শেষ করা হবে না এই গল্পটা।

তোমাকে নিয়ে নতুন করে কী লিখব বলতে পারো ? বৌঠান থেকে জয়ী হয়ে ওঠার গল্পগুলো তো বন্দী এই কবিতার প্রতিটি লাইনে! তুমি আঘাতও দিলেও সেটাকে ভালবাসা ভেবে ভুল করেছি। তুমি না চাইলেও বারেবারে তোমার কাছে এসেছি চুপিসারে। বৌঠান, আমার কাছে তুমিই জয়ী, তুমিই সব! একদিন শান্ত হয়ে বসে ভেব, কেন আমি তোমার জন্য এত লিখেছি। ভাল থেকো জয়ী, ভাল থেকো বৌঠান।।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...