সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

blue whale



"Sometimes even to live is an act of courage"
নীল তিমি শুনেছেন বোধ হয়? ওহ্ বুঝলেন না? "Blue whale" এবার? তা ওতো বোধ হয় সময় হয়নি এটা নিয়ে বিস্তারিত ভাবার তাই তো? এটা আসলে একটা Challenging Game যেখান তোমাকে মাত্র ৫০টা challenge দেওয়া হবে আর শেষ টা ' মৃত্যু'।
তা আপনি ভাবছেন খেলব কেন পুরোটা? অর্ধেক খেলব,দাঁড়ান বলে রাখি 'you can't back up' আসলে আপনি গেম টা ইনস্টল করা মাত্রই আপনার ব্যক্তিগত সব নথি পৌঁছে যাবে সুদূর রাশিয়ায় বসে থাকা এক এডমিন -এর কাছে। আপনি তার ব্ল্যাকমেইলের শিকার হবেন যদিও তার আগে আপনি আপনার 'Depression' এর শিকার। ৫০ দিন আপনাকে গভীরতম কঠিনতম মরণ ডেকে আনবে।
খেলোয়াড় কে বা কারা ভাবছেন? না আপনি আমি নই প্রথমত তাদের কে দিয়ে এই খেলা প্রচলিত যার রাশিয়ায় VK.com (সোশ্যাল সাইট) -এ "Death group" নামক একটি গ্রুপের সাথে জরিত যেখানে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পরেন ১২বছর থেকে ১৫ বছরের শিশু রা। ২০১৫ এর নভেম্বর থেকে ২০১৬ এর এপ্রিল অবব্ধি ১৩০জন অাত্মহত্যা করেছে। আর ইদানীং তার তোলপাড় করেছে ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গ -এর মেদিনীপুরেও পর্যন্ত।
একবার ঘুরে দেখে নেওয়া যাক ৫০টা চ্যালেঞ্জ -
১. 'F57' খোদাই করতে হবে হাতে।
২. 4:20am উঠে ভয়ানক কোনো ভিডিও দেখতে হবে।
৩. শিরা কাটতে হবে হাতের বেশি গভীর নয় তবে বার তিনেক।
৪. এটা খুব সহজ,পেপারে তিমি আঁকতে হবে।
৫. 'whale' হতে পায়ে 'YES' খোদাই করতে হবে।
৬. টাস্ক উইথ সাইপার
৭. 'F40' খোদাই করতে হবে হাতে।
৮. Vkontakte -এর স্ট্যাটাসে '#I_am_whale' লিখতে হবে।
৯. ভয়কে জয় করতে হবে
১০. 4:20am আবার তবে এবার খোলা ছাদে হাঁটা
১১. এবার সেই বিখ্যাত ছবি টি হাতে আঁকতে হবে তিমি।
১২. রোজ কিছু ভয়ানক ভিডিও দেখতে হবেই।
১৩. এডমিনের পাঠানো গান শুনতে হবে ( 'suicide song' শুনেছিলেন?)
১৮. ঠোঁট কাটতে হবে।
১৫. সূঁচ দিয়ে হাতে ফোটাতে হবে।
১৬. বেদনাময় কিছু করে দেখাও যার জন্য অসুস্থ হবেই।
১৭. সবথেকে উঁচু যে ছাদ দেখা যায় তার কিনারে গিয়ে দাঁড়াও।
১৮. ব্রিজের কিনাড়ে দাঁড়াও।
১৯. ক্রেনে চড়তে হবে না পারো চেষ্টা করো।
২০. বিশ্বাস যোগ্য কিনা তোমায় যাচাই করে নেওয়া হবে।
২১. অন্য 'whale' -এর সাথে কথা বলতে হবে স্কাইপে।
২২. পা কাঁপিয়ে ছাদের কিনাড়ে।
২৩. টাস্ক উইথ সিপার।
২৪. গোপন কাজ
২৫. 'Whale' এর সাথে দেখা করা।
২৬. নিজের মৃত্যু কে কাছ থেকে দেখা।
২৭. আবার সেই ভোর 4:20 এর খেলা এবার রেল লাইনে।
২৮. কারোর সাথে কথা বলা যাবে না।
২৯. সবাই কে প্রচার করো যে তুমি 'whale'।
৩০-৪৯ এবার একটু কঠিন, একটা করে ভয়ানক ভিডিও ৪:২০ টে তে ভোর আর গান শুনতে হবে এডমিনের প্রেরিত সাথে একটা করে দেহাংশ-এর কাটা জরুরি আর একটি 'whale' এর সাথে যোগাযোগ। 
৫০. মরণ ঝাঁপ। কেল্লাফতে।
এবার ভাবছেন 'তুক্কা' খেলবেন মানে 'back up'? প্রশ্নই ওঠে না জানেন এডমিন এতো বোকা না আপনার সব নথি তার হাতের মুঠোয়ে আর আপনি তো আগেই মরেছেন ইনি তো সাহায্যই করছেন মাত্র। আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করে বাধ্য করবেই আর এটা আপনাকে বলে দেবেন এডমিন খেলার পূর্বেই।
আপনি এবার জানতে চাইবেন এডমিনের সম্পর্কে,তাই না? নাম IIya Sidoriv, বয়েস ২৬। কেন মাতলেন এই সর্বনাশী নেশায় ভাবছেন? তিনি জানিয়েছেন যারা দুর্বল তাদের বেচে থেকে লাভ কি? জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করবে এরকম কিছু অবাঞ্ছিতদের মৃত্যু ঘটিয়ে তাকে মস্কো থেকে গ্রেফতার করতে এটাই তার বক্তব্য ছিল।
ফলাফল হিসেবে ভারতের ১৬বছরের কিশোরের মৃত্যু কেরালার, ২৬ শে জুলাই ২০১৭ এর থেকে শেষ ৩রা সেপ্টেম্বর সাৎভিক পাণ্ডে একাদশ শ্রেণীর কিশোরের মধ্যপ্রদেশ থেকে।

আপনার সাহায্য -এর জন্য ১৩১১১৪ লাইফলাইনে ফোন করুন বা 'suicide call back service' ১৩০০ ৬৫৪ ৪৬৭ তে ফোন করুন। শেষ রক্ষার জন্য শেষ চেষ্টা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...