সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
Curtain call : New wine in new bottle
“ আমাকে টান মারে গূঢ় অন্ধকার “ ……
সুভাষ , বাড়ি আছো ? বাড়ি আছো প্রিয়তোষ ? মোমবাতির ক্ষুদ্র আলোয় আমি মুখোমুখি দিনাজপুরের হ্যামলেটের । “চারিদিক ভীষণ ধূসর , চারিদিক ভীষণ অর্থহীন ‘’ তবুও আমি রিহার্সাল রুমেই সাজাবো আমার “ কালের  যাত্রার ধবনি “।
মঞ্চের মাঝে আমি সময়ের বেড়াজাল ভেদ করে ছুটে আসব একই গল্প , একই প্লট নিয়ে কিন্তু অন্য রূপে, অন্য দেশে, অন্য সাজে । তোমার জন্য তোলা থাকবে ভক্তিপূর্ণ লাল গাল থাপ্পড় , প্রয়োজনে – অপ্রয়োজনে আমি কোনো বাঁধায় হার মানব না।

বিহঙ্গের চার বছরের জন্মদিনে ঘটা করে কেক কাটা না হলেও ওরা বুঝিয়ে দিল ওরা কতটা প্রাসঙ্গিক ,রিচার্ড জেমসের “ I AM HAMLET” থেকে ধার করা গল্পটি অবলম্বনে “ CURTAIN CALL “আরও একবার নাড়া দিয়ে গেল । দুজন অভিনেতা অতন্ত্য সাবলীল ভূমিকায় মঞ্চ দাপিয়ে বেড়ালেন , ব্রতেশ ( সুভাষ ) এবং সৌপ্তিক (প্রিয়তোষ )  দুজনেই আর একটা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য , নাটকের প্রথমেই একটা বাল্ব ভেঙে মঞ্চে পরার পরেও ওরা অভিনয় না থামিয়ে খালি পায়ে অভিনয় চালিয়ে যায় , ওদের দেখে বলতেই হয় ,  ‘  ‘’শো মাস্ট গো অন “  । পরিচালক সেটস এবং লাইটস ছিমছাম রাখতেই পছন্দ করেছন,তবে এই দুটোর প্রতি জোড় দিলে হয়ত আরো ভালো কিছু দেখতে পেত দর্শক । বেশ কিছু সিনে লাইটের খামতি চোখে পড়েছে । ব্যাকগ্রাউন্ড  মিউজিক কিছু কিছু সময় তার পথ ভুলেছে , তবুও সব কিছুকে ছাপিয়ে অভিনয় দর্শকদের মন কেড়েছে । গল্পগুলোকে কতটা প্রাসঙ্গিক করে তোলা যায় এটাই তো পরিচালকের একমাত্র লক্ষ্য, যেটা সৌপ্তিক পাল সঠিক ভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন যে মফস্বলের থিয়েটারও এখন অনেক এগিয়ে গেছে । এগিয়ে গেছে সম্পর্কের বেড়াজাল । “কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও ?’’ 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...