সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
  :মা:
"অদ্ভুত একটি শব্দ 'মা'- পৃথিবীর যেকোন ভাষাতেই সবচেয়ে সুন্দর,সবচেয়ে বেশী আবেগ নিয়ে গড়া শব্দ হল এটি। আর শুধু মানুষেরই নয়, যেকোন প্রাণীরই সবচেয়ে কাছের,সবচেয়ে আপন জায়গাটি হল মায়ের। 'মা'কে নিয়ে কোনো লেখা শুরু হলেও তা শেষ হবার নয়। আর শুধু 'মা' শব্দটিই যেকোন সাহিত্যের থেকেই অনেক অনেক বেশি। যেকোন চিন্তা বা দুশ্চিন্তার,মানসিক অবসাদ বা খারাপ লাগার জন্য সবথেকে বড় ওষুধ তো মা-ই। মাকে ছোঁয়া, মায়ের গায়ের সেই গন্ধ, পঞ্চইন্দ্রিয় দিয়ে মা'কে অনুভব করাই হয়তো প্রাচীন কালের সেই মোক্ষ লাভের সমান..।" আজ মহালয়া উপলক্ষে বের হওয়া পত্রিকাতে নিজের ছেলের লেখাটি এক নিঃশ্বাসে শেষ করে দিলেন মনামী দেবী। সত্যি,তার চিকিৎসক ছেলের যে এই গুণটাও আছে জানতেন না। সবাই তো আজকাল ওই মায়ের প্রতি অত্যাচার,অবহেলা-এগুলো নিয়ে লেখে। হ্যাঁ, তা অবশ্যই বাস্তব, কিন্তু এই লেখাটা ওই বদ্ধ ঘরের মধ্যে একটু দমকা হওয়া। ছেলে ঘুম থেকে উঠলেই তার প্রশংসা করবেন মনামী দেবী। ওনার এক মেয়ে,এক ছেলে আর স্বামী নিয়ে সংসার। স্বামী উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক আর মেয়ে পদার্থবিদ্যায় গবেষণা করছে।সত্যি কেমন ভাবে দিন চলে যায়। আগে ছেলে মেয়ের পেছনে ছুটতে ছুটতে সময় পাওয়া যেত না,অবশ্য এখনও যে তিনি অবসর সময় খুব একটা বেশি পান-তা নয়। মনামীদেবী একটি বৃদ্ধাশ্রম- 'আশ্রয়'এর সাথে যুক্ত,যার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক তার ছেলে। যেসব সন্তান তাদের জন্মদাত্রীকে দেখে না,তাদের জন্যই মূলত এই 'আশ্রয়'। সত্যিই নিজের ঔরসজাত সন্তানের ওপর গর্ব হয় তার। দেবীপক্ষের শুরুতে আজ 'আশ্রয়'এ কিছু অনাথ শিশুকে আনা হবে,তথাকথিত 
'সন্তান' থাকা মায়েরা সন্তান পাবেন আর ঐ সন্তানেরা মায়ের ভালোবাসা পাবে কিছুটা হলেও।
সত্যি কি আজব এই দুনিয়া.! যে মা গর্ভে সন্তানকে ধারনই করেন না শুধু,সবসময় নিজের সুখের থেকে বেশী সন্তানের আনন্দকে প্রাধান্য দেন, স্বামী বিতাড়িত মহিলারা সবকিছু করে তাদের সন্তানের মুখে হাসি ফোটায় আর তারাই 'বড়' হয়ে সেই মা'কে ভুলে যায়। সেইসব সন্তানেরা হয়তো 'বড়' হয়,কিন্তু 'মানুষ' হয় না। আবার এদিকে কিন্তু তারাই ঘটা করে মা দুর্গার পূজা করে, মা কালীর পূজোয় উপাস করে। সত্যিই অদ্ভুত।
দীর্ঘশ্বাস পড়ে মনামীদেবীর। আর দুর থেকে ভেসে আসে প্রবাদপ্রতিম গায়ক মান্না দের সেই গান-"জন্মদাত্রী মা আর ঠাকুর ঘরের মা-আমি তফাৎ বুঝি না..।।"
@Rohan Nath Sarkar

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...