সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান


প্রিয়তমা...
কেমন আছো? জানি আমায় তোমার মনে নেই | জানি সেই আলাপের কথাটাও ভুলে গিয়েছো এতোদিনে। আমার কিন্তু স্পষ্ট মনে আছে। ভীষণ ভীড়ের মধ্যে আমি ছিলাম। তুমি এসে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলে। একবার আমার একটু দূরে থাকা একজনের সঙ্গে কথা বললে। তারপরে হঠাৎ তোমার চোখ পড়লো আমার দিকে। সেই কালবেলা উপন্যাসের অনিমেষ-মাধবীলতার প্রথম চোখাচুখির মতো। তুমি কাছে এলে। এসে কথা বললে একটুখানি। সেই ছিলো আমাদের আলাপের 'ভূমিকা'। তুমি হাত বাড়ালে আমার দিকে। কয়েক মুহূর্তে তুমি যেন জেনে নিয়েছিলে আমার ভিতরটাও। তোমার চোখেমুখে দেখতে পেয়েছিলাম আরও আরও আবিষ্কারের ইচ্ছে। আমি তখন তুমুল খুশিতে আত্মহারা। এতো দিনে পছন্দের বন্ধু পেলাম অবশেষে। এই মুহূর্তের জন্যই যেন অপেক্ষা করছিলাম জন্ম থেকে। সেই আমি বন্ধু হয়ে গেলাম তোমার। তোমার জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে এলাম। এসে উঠলাম তোমার অগোছালো আস্তানায়। নাহ! আমি একা নই। আমার মতো আরও অনেকে আছে তোমার ভালোবাসার মানুষ। প্রথম কিছু দিন বিছানায় ঠিক তোমার পাশটিতে শুতাম। তুমি মাঝে মাঝেই মুগ্ধতায় হাত বাড়িয়ে আমায় কাছে টেনে নিতে। ভাবতাম তুমি আমার সবটুকু জানতে চাও। আমিও অপেক্ষা করতাম তুমি আমায় জানবে পুরোপুরি।
তারপরে, কিছু দিন কেটে গেলো। ক্রমশ আমি দূরে চলে এলাম কিছুটা। নাহ! আমি আসিনি, তুমিই দূরে ঠেললে। এরপরের দিনগুলো অনাদরের, ধুলোয় ধুসর দিন। এবং একটা সময়ের পরে আবিষ্কার করলাম তোমার আমাকে আর এক বিন্দুও মনে নেই। একবারও খোঁজ নাওনি আমার আর।
এক বছর শেষে আজ দেখছি তুমি অনেককে নিয়ে এলে তোমার আস্তানায়। যেমন একদিন এনেছিলে আমাকেও। ঠিক সেই শুরুর দিনগুলোর মতোই তুমি তাদের দিকে তাকাও মুগ্ধতা নিয়ে। বিছানায় তাদের পাশে নিয়ে ঘুমোও। জানি না নতুন আসা তাদের ভবিতব্যও আমার মতো অনাদরের হবে কি না।
তোমার প্রতি একটুও অভিযোগ নেই আমার। শুধু বলবো, যাকে আপন করে নিচ্ছো তার সম্পূর্ণটা জানো। না জেনে ভুলে যেও না তাকে। এক আস্তানায় থাকলেই তো আর ভালোবাসা হয় না। ভালোবাসতে হলে জানতে হয় তাকে। জানার পরে ভুলে গেলে কোনও কষ্ট হয় না আমাদের। আসলে এই জানাটুকুর জন্যই তো আমাদের জন্ম, এই জানাটুকুর নামই তো ভালোবাসা আমাদের কাছে। শুধু সেটুকুই চাই আমরা। সেইটুকুই দিও অন্তত। ভালো থেকো।
ইতি-অহন       - Nilanjan 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...