সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2023 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

পুজোয় ভাবুন ওদের কথা.....

  বাঙালির প্রাণের পুজো এসে গিয়েছে। নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মেঘ জানান দিয়েছে উমা আগমনের। চারিদিকে আলোয় আলোকিত আর এই আলোর মধ্যে যাদেরকে আমরা সারা বছর সমীহ করে চলি, অনেক রাতে গলি দিয়ে হেঁটে গেলে যারা আমাদের সঙ্গ দেয় সেই সারমেয়দের এই পুজোর কয়েকটা দিন কিন্তু অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন আছে। পশুদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারক শুক্লা হাজরা আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানলেন কিছু সুবিধা অসুবিধার কথা- ১) উৎসবের সময় একটা সুবিধা হয় যে সারমেয় বা পথ কুকুররা পর্যাপ্ত খাবার পেয়ে থাকে। নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে তিনি আরও জানালেন যে, এই সময়টা রাস্তার পাশের স্থায়ী অথবা অস্থায়ী দোকান থেকে তারা অনেক সারাদিনই অনেক উচ্ছিষ্ট খাবার পেয়ে থাকে। কারণ এই সময়টা অনেক জায়গায় অস্থায়ী খাবারের স্টলের দোকান দেওয়া হয়। ফলে পথ কুকুরদের খাওয়ার জোগান হয়েই যায়।  ২) পুজোর সময় মন্ডপের জন্য অনেকটা জায়গা জুড়ে বাঁশ পোতার জন্য কিংবা বড় পুজোগুলোর ব্যারিকেড করে দেওয়ার জন্য পথপশুদের গন্ডি ছোট হয়ে যায় অথবা তারা তাদের চেনা গন্ডির মধ্যে ঢুকতে পারে না। এটা একটা বড় অসুবিধা। ২০১৬ সালে এমনই কোনও এক পুজো মন্ডপ পথপশুদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাচ্ছ...

" শহরের উষ্ণতম দিনে....."

  রোদ ঝলমলে দিনের মতো উজ্জ্বল হয়ে ধরা দিলেন অভিনেত্রী এনা সাহা। দীর্ঘদিন পর্দার আড়ালে থাকার পরে আবার তিনি মোহময়ী অবতারে। সম্প্রতি তাঁর ফটো শুটের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সাড়া ফেলেছে।  ছোটপর্দা থেকে বেড়ে ওঠা অভিনেত্রী এনা এখন অনেক সাবলম্বী এবং পরিণত। সম্প্রতি তাঁর বোল্ড ফটো শুট নেট মাধ্যমের বেশ চর্চায় বিষয়। আটপৌরেকে তিনি জানালেন, " খুব তাড়াতাড়ি ভাল খবর আসবে। কয়েকটা বড় কাজের কথা চলছে। সেগুলো ফাইনাল হলেই আমি জানাব।" অভিনেত্রী-প্রযোজক এনা সাহার ঝুলিতে রয়েছে একের পর এক বক্স অফিস হিট ছবি। ভূত চতুর্দশী, রাজকাহিনী, ব্যোমকেশ ফিরে এলো, ফোর্স ইত্যাদি সফল বাংলা ছবি। শুধু বাংলা নয়, বাংলা ছাড়াও তেলেগু, মালায়ালাম ছবিতেও তিনি কাজ করেছেন। বাংলা ওয়েব সিরিজ 'বন্য প্রেমের গল্প' দিয়ে তাঁর ওয়েব সিরিজে হাতেখড়ি। যদিও তার পরে তাঁকে আর ওয়েব সিরিজে দেখা না গেলেও তিনি যে খুব শিগগিরি ওয়েব সিরিজ করবেন সেই নিয়ে তিনি আশাবাদী। প্রযোজক হিসেবেও বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি দাগ কেটেছেন। তাঁর প্রযোজনায় সফল 'এসওএস কলকাতা', 'চিনে বাদাম'-এর মতো ছবি। এনার নিজের প্রোডাকশন হাউস জারেক এন্টারটে...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

বাঙালি কন্যার আবিষ্কারে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন দিশা

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতা: হৃদযন্ত্র বিকলের সঙ্গে কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নতুন কিছু নয়। সারা বিশ্বজুড়ে এহেন মৃত্যুর ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে। হৃদযন্ত্রের অসুখ থেকে সেরে ওঠার পরে কিডনি বিকল হওয়া কিংবা কিডনির অসুখ হওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা। শুধু তাই নয় কিডনির অসুখ মারাত্বকরকম হলে সেই থেকে মৃত্যুও ঘটতে পারে। তাই হৃদযন্ত্রের সমস্যা থেকে সেরে উঠলেও অনেকেই কিডনির সমস্যার মধ্যে দিয়ে যায়। তাদের খুব কঠোর এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন পালন করতে হয়। আবার অনেক সময়ই চিকিৎসকরা হৃদযন্ত্রের সমস্যা থেকে সেরে উঠলেও বারেবার কিডনির প্রতি বিশেষ নজর দিতে বলেন, যাতে ভবিষ্যতে কোনওরকম সমস্যা না হয়। এই ব্যাপারে আগাম জানার বা বোঝার উপায় এতদিন পর্যন্ত খুব একটা ছিল না। বাঙালি কন্যা এমেলি চট্টোপাধ্যায়ের দৌলতে সেই অন্ধকার রাস্তা এখন কিছুটা হলেও আলোকিত। গবেষক এমেলি আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, " কিডনি থেকে হার্টের সমস্যা কিংবা হার্টের থেকে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার সমস্যার কথা নতুন নয়। আমরা একটি মানবদেহে একটি বায়োমার্কারের খোঁজ পেয়েছি যা আগাম জানান দেবে যে আপনার কার্ডিও রেনাল সিন্ড্রোম  হবে কিনা।'' কার্ডিও রেনাল সিন...

" একা চলতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি।" : পৌলমী দাস

 আদিত্য ঘোষ, কলকাতা: অভিনেত্রী পৌলমী দাস তো আবহমান। জীবন থেকে শিখেছেন এবং শিখছেন। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির আনাচে কানাচে দাপিয়ে বেড়িয়েও তিনি অক্লান্ত। টিভি সিরিয়াল থেকে সিনেমা, সিনেমা থেকে ওয়েব সিরিজ, ওয়েব সিরিজ থেকে বিজ্ঞাপনের ছবি, সবকিছুতেই তিনি সাবলীল। অভিনয়ের অনবদ্য দক্ষতা দিয়ে আপাতত টেস্ট, ওয়ানডে, টোয়েন্টি সব ফরম্যাটের তিনি দ্য ওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে এই যুগে যে লড়াইটা কঠিন সেটা তিনিও জানেন। তাই তো তিনি এখনও লড়ে যাচ্ছেন। প্রসেস, প্রক্রিয়ার মধ্যে তিনি নিজেকে নিমজ্জিত রেখেছেন। জীবনের প্রতিটি পর্ব থেকে তিনি শিখছেন। জীবন থেকে অভিনয়ের রসদ খুঁজে নিচ্ছেন।  গত বছর শেষের দিকে তিনি একা একা বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন। তাঁর লন্ডন ডায়েরীর কথা বলতে গিয়ে তিনি জানালেন, " জীবনে ঘোরা আর খাওয়া ছাড়া আমি বাঁচব না।" কথাটা শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাসতে হাসতে আরও জানালেন যে, "জীবনে অনেক জায়গায় একা একা ঘুরতে গিয়েছি। কিন্তু লন্ডনে ঘুরতে যাওয়াটা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।" তিনি যে উড়োজাহাজে দুবাই যাচ্ছিলেন, সেই উড়োজাহাজেই তাঁর পাশের সিটে বসে থাকা সহযাত্রী তাঁর অভিনীত ধারাবাহিক দেখছিলেন! কী আশ্চর্...

মাত্র আড়াই মাসের চেষ্টায় ডাবলুবিসিএস

আদিত্য ঘোষ, কলকাতা: সব রূপকথা গল্পে হয় না। কিছু রূপকথা বাস্তবে থেকে যায়। থেকে যায় বেঁচে থাকার গল্পেরা। বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন থেকে প্রশাসনিক আমলা, হয়ত মনে হবে ছিটকে পড়ার গল্প কিন্তু বাস্তবে তা রসদ জোগায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য। সৌম্যা শীল তেমনই এক ছিটকে পড়া গল্পের একজন। দিল্লিতে বেড়ে ওঠা সৌমার জীবনে স্বপ্ন ছিল বিজ্ঞানী হতে। উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ছাত্রী সৌম্যা জীবনের মোড় ঘোরে তাঁর জীবনের প্রেম ভাঙার পর থেকে। ধীরে ধীরে একাকীত্ব গ্রাস করে তাকে। নিমিষে কিছু স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। বিদেশে যাওয়ার স্বপ্নও থমকে যায়। বাসা বাঁধে জটিল রোগ। কানের শোনার সমস্যা ধীরে ধীরে তাকে ব্যাকফুটে নিয়ে যেতে শুরু করে। দিশেহারা সৌমা একটি চাকরি খুঁজতে থাকেন। পড়াশুনা করেন  ইউপিএসসির জন্য। তবে সেখানেও বাসা বাঁধে শরীর। শারিরীক অসুস্থতার জন্য আবারও তাঁকে অপেক্ষা করতে হয় বাউন্ডারির সাইড লাইনে। তবে সেই অপেক্ষা বেশীদিন করতে হয়নি। মাত্র আড়াই মাসের পড়াশুনার জোরে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সিলিভ সার্ভিস পরীক্ষা পাশ করেন। হয়ে উঠেন গ্রেড ওয়ান অফিসার। চাকরি জীবনে শুরুর পর থেকেই মডেলিং শুরু করেন। হয়ে উঠেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর।সোশ্যাল...

এভাবেও ফিরে আসা যায়....

 আদিত্য ঘোষ, নৈহাটি: অনেকদিন বাদে পূজারা একটু মেরে খেলল। একদম ঝকঝকে ইনিংস। চেনা ছন্দের বাইরে খেললে পুরোনো খেলোয়াড়কেও নতুন মনে হয়। মনে হয় বুড়ো হাতের ভেলকি দেখাচ্ছে। সেই খেলা দেখতে বেশ লাগে। মনে হয় আরও অনেক্ষণ এই খেলা চলুক। ঠিক যেমন এই আমি নেই আমি দেখতে দেখতে মনে হলো সর্বজিৎ সরকারকে আরও একটুখানি দেখি। আরও বুড়ো হাতের ভেলকি দেখি। বুড়োটা কিন্তু থিয়েটারের সিনিয়রের অর্থে ব্যবহার করলাম। বয়সে আমার চেয়ে সামান্য বড় হলেও সবর্জিৎ কিন্তু থিয়েটারের মঞ্চে প্রবীণ। নৈহাটি এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সামান্য নামডাক আছে বৈকি তবে গল্পের সঙ্গে সর্বজিৎ-এর কিছু মিল আছে। এ যেন সর্বজিৎ-এর নিজের গল্প। নিজের রোজনামচা মঞ্চে আলোর ঘেরাটোপে, নিজের ছায়ার গল্প। নিজের সঙ্গে নিজে আরও কিছুক্ষণ। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ন'টা সাত। নৈহাটি ঐকতান মঞ্চে সবে শুরু হলো নারায়ণ স্যানালের লেখা নাটক এই আমি নেই আমি। মূল চরিত্রে সর্বজিৎ সরকার। বিগত কয়েক বছরে সর্বজিৎ সরকারে অভিনয় বড্ড একঘেয়ে হয়ে গিয়েছিল। মনে হয়েছিল সর্বজিৎ একটা সাজানো বৃত্তে হারিয়ে যাচ্ছে। বড্ড মেলোড্রামাটিক হয়ে যাচ্ছে।  নৈহাটি আরশি প্রযোজিত নাটক এই আমি নেই আমি দেখার...

" আমার ক্লিনিক্যাল চর্চায় আমি খুব কমই ক্লায়েন্ট পেয়েছি যারা বলেছে আমি সুস্থ থাকতে চাই" : ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  বাঙালি মানেই বারোমাসে তেরোপার্বণ। বাঙালি মানেই পেটপুজো থেকে বাহারাদি। তবে সচেতন বাঙালির টনক নড়ে ঠিক উৎসবের আগে! একটু রোগা হতে হবে। আমাকে দেখতে কেমন একটা হয়ে গিয়েছে, এবার একটু ঠিক হতে হবে। অমুক জামাটা গায়ে হচ্ছে না! এই ধরনের কথা আমাদের জাগ্রত বিবেক প্রায়ই বলে থাকে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই একটু এগরোল, বিরিয়ানি, মোমো, চাউমিন না খেলে আর কোথায় বাঙালির বাঙালিয়ানা। তবে ওই জাগ্রত বিবেকের খোঁচায় মাঝেমধ্যেই একটু ডায়েট করে থাকি। মানে ওই একটু লেবু জল, শশা, ভাত-রুটি না খাওয়া এবং আরও আরও সোশ্যাল মিডিয়া প্রচলিত ডায়েট। বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং ওয়েলনেস কনস্যালট্যান্ট ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে বললেন, " আমরা বছরে তিনচারটে ভাল শাড়ি কিনতে পারি অথচ বছরে একটা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারি না।" প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলাম, " ইদানীং অনেক কমবয়সী ছেলেমেয়ে জিম করতে গিয়ে মারা গিয়েছে, আপনার কী মনে হয় এর কারণ কী?" তিনি জানালেন, " এই উত্তরটা ওইভাবে দেওয়া সম্ভব নয়। কার কী সমস্যা ছিল কিংবা আছে এটা বলা মুশকিল। তবে আমাদের গোড়ায় কিছু গলদ আছে। আমরা অনেক সময় নিজের ইচ্ছে মতো চলি। আমাদের সবসময় উচিত...

শিশুদের মশাবাহিত রোগ থেকে প্রতিকার এবং সুস্থ থাকার উপায় বললেন ডাক্তার ব্রতেশ দাস

  বর্ষার শুরুতেই চোখ রাঙাচ্ছে মশা বাহিত রোগ। ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যে প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। মারা গিয়েছেন আটজন, যার মধ্যে রয়েছে দুই শিশু। বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক ব্রতেশ দাস জানালেন এই মরসুমে কী করে শিশুদের মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচবেন এবং কী করে মশাবাহিত রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন।   ১) ডেঙ্গুর মশা মূলত ভোরবেলা কামড়ায়। তবে দিনের যে কোনও সময়েই সেই মশা মারণ থাবা বসাতেই পারে, তাই এই সময়ে একটু সতর্ক থাকুন। শিশুদের গা ঢাকা জামাকাপড় পরিয়ে রাখুন। রাতে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন ডেঙ্গির সঙ্গে সঙ্গে ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া এই রোগগুলোও কিন্তু মশাবাহিত, তাই সেগুলোর কথা ভুলে গেলে চলবে না।   ২) এই মরসুমে যদি দুই থেকে তিন দিনের বেশি জ্বর থাকে তাহলে অবশ্যই ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা করান। কোনও মতেই ভাইরাল ফিভার বলে ভুল করবেন না। সময় নষ্ট করলেই বিপদ।    ৩) মূলত জ্বরের সাথে, সারা শরীরে ব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, গায়ে র‍্যাশ, বমি হওয়া, অরুচি, শরীরের কোনও জায়গা থেকে হঠাৎ করে রক্ত বেরোনো এইগুলো ডেঙ্গির লক্ষণ। তবে একদম ছোট শিশুরা যেহেতু তাদের সমস্যা...

এ হৃদয় তো মানুষের পাশে থাকার জন্যই চিরকালীন, আর কিছু নেই তো।

 ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে তাঁর বক্তব্য ছাপ ফেলে দিয়েছে। মিডিয়া হুমড়ি খেয়ে পড়েছে তাঁর দিকে। তিনি কে? কে এই নবাগতা? তাঁর ভাষণে সবাই অন্তত একবার তাঁর দিকে চেয়ে থেকেছে। অন্তত একবার হলেও ফেসবুকে খুঁজতে চেয়েছে তাঁর নাম। প্রেসিডেন্সির এই প্রাক্তনী এখন লাইম লাইটে। হয়ত রাজনৈতিক জীবনের প্রথম ম্যাটিনি শো'-এর গুড ফ্রাইডে। তেইশের একুশের জুলাই কেটে গিয়েছে, সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। তবুও তাঁকে নিয়ে চর্চা থামছে না। রাজন্যা হালদার এখন তৃণমূলের নবাগতাদের মধ্যে অন্যতম। বতর্মানে তিনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতির দায়িত্বে আছেন। যদিও এত কথা বলার আগে একটা কথা জানিয়ে রাখা ভাল, এর আগেও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আন্দোলনে তিনি লাইম লাইটে এসেছিলেন। যদিও তখন তাঁকে এত নেগেটিভ পাবলিসিটি পেতে হয়নি।  "জুলমি জব জব জুলুম করেগা, সত্যা কি...'' এই স্লোগান যখন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে রাজন্যা গলা ছেড়ে বলছে তখন লাখ লাখ মানুষ মুগ্ধ হয়ে শুনছে। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে এমনটা করার সৌভাগ্য সবার জোটে না। রাজন্যা হয়ত সোনার কাঠি ছুঁয়েই এসেছে! বিশে জুলাই যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকেলে একুশে জুলাইয়ের ম...

"হাঁটু প্রতিস্থাপন এখন সাধ্যের মধ্যে" : ডা. অর্ণব সামন্ত

বাঙালি জাতির সঙ্গে উসেন বোল্টের একটা মিল আছে। কখন বলুন তো? এই ধরুন আপনি মফঃস্বল থেকে প্রতিদিন শহরতলিতে চাকরি করতে যান। কিন্তু প্রতিদিন হাতে ঠিক এমন একটা সময় নিয়ে বাড়ি থেকে বের হবেন যেখানে আপনাকে দৌড়তেই হবে। এটাই নিয়ম। এটাই বাঙালি করে আসছে। আর এই দৌড়ে সব বাঙালিই উসেন বোল্টকেও হার মানাবে। ট্রেনে বা বাসে উঠে একটা লম্বা হাঁপ ছেড়ে, একটু পা'টা ঝেড়ে নিয়েই বাঙালি আবার ল্যাদ খাবে। এটাই স্বমহিমায় চলে আসছে। আবার দিন শেষে হাঁটুতে ব্যাথাটাও আবহমান! শুধু হাঁটু কেন, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, ঘাড়ে-পিঠে ব্যথা, কোমড়ে ব্যথা। ব্যথায় জর্জরিত বাঙালি। তবুও বাঙালির কুছ পরোয়া নেহি। তবে বিশিষ্ট অস্থিশল্য চিকিৎসক ডা অর্ণব সামন্তের কথায়, '' আজকের দিনে দাঁড়িয়ে হাঁটু প্রতিস্থাপন বা নী রিপ্লেসমেন্ট অত্যন্ত সাকসেসফুল একটি সার্জারি। মানুষকে সচেতন হবে। মানুষকে বুঝতে হবে যে তাঁর হাঁটু ক্ষয়ের ফলে একটা সময় সেটা বদলানোর প্রয়োজন আসতেই পারে এবং এটা করলে আপনি আরও সুন্দর জীবন উপভোগ করতে পারবেন।"  ডাক্তারবাবুকে জিজ্ঞাসা করলাম, " একটা সময় বাদে কি সবাইকে হাঁটু বদলানোর প্রয়োজন হতে পারে?" ডাক্তার সামন্ত জানালেন,...

ওয়েস্টার্ন ভ্যালি নামক একটি অর্গানিক ফার্ম চালাচ্ছেন পিয়ালী

 বতর্মান যুগে সুস্থ থাকতে আমরা কী কী না করি! যোগ অভ্যাস থেকে ডায়েট সবই তো আজকাল কলি যুগের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অনেকাংশেই আমরা খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দিই না। কখন অত্যাধিক ফাস্ট ফুড কিংবা ফ্রোজেন ফুড খেয়ে ফেলি। বাঁধিয়ে বসি অনেক জটিল রোগ। তবে ফাস্ট ফুড কিংবা ফ্রোজেন ফুড খেলেই যে বিভিন্ন জটিল রোগ হবে এমন বিষয় না। বিষয়টা হলো খাদ্য অভ্যাসের এবং সেই খাদ্যটা কোথা থেকে আসছে। আজকাল ভেজালের যুগে সঠিক খাদ্য গ্রহণ করাটাও জরুরি। আমাদের বাংলার মেয়ে পিয়ালী সুদূর কুর্গে ওয়েস্টার্ন ভ্যালি নামক একটি অর্গানিক ফার্ম তৈরি করেছেন এবং তাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্ণাটকের কুর্গে অবস্থিত তাঁর অর্গানিক ফার্মের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে তিনি জানালেন, " অনেক দিন ধরেই অর্গানিক ফার্মের ব্যবসার কথা ভেবে এসেছিলাম। আমার শ্বশুর বাড়ির তরফে বংশপরম্পরায় এই ব্যবসা চলে আসছে তাই আমারও এই ব্যবসা শুরু করতে অসুবিধা হয়নি।" কয়েক হাজার একর জমির উপর গড়ে উঠেছে ওয়েস্টার্ন ভ্যালির ব্যবসা। পিয়ালীর ফার্মে যে যে খাদ্যদ্রব্যগুলো পাওয়া যায় সেগুলো হলো কফি, হলুদ, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরীচ,মধু, নারকেল তেল, লাল লঙ্কা এবং ...

নৈহাটির বুকে নতুন ক্যাফে উই টি

( সাক্ষাৎকার-আদিত্য ঘোষ) (ছবি-ফেসবুক থেকে সংগৃহীত) নৈ হাটি শহরে খুব একটা ক্যাফে কালচার নেই বলে যারা অভিযোগ করে এসেছিল এতকাল, তাদের জন্য এইবার রইল সুখবর। কয়েক মাস আগেই নৈহাটির বুকে উদ্বোধন হয়েছে 'উই টি' নামক একটি ক্যাফে। বড়জোর দশ-পনেরোজন লোক বসার জায়গা নিয়ে তৈরি এই ক্যাফের পরিবেশটা বেশ মনোরোম এবং ঘরোয়া। ছিমছাম এই ক্যাফেটি নৈহাটির মিত্রপাড়ায় বনলতা এপার্টমেন্টের ঠিক পাশেই। একটি বাড়ির মধ্যে তৈরি এই ক্যাফেটির মূল আকর্ষণ হলো ঘরোয়া পরিবেশ এবং নির্বিঘ্নে গল্প করার সুবিধা। যদিও আজকাল আধুনিক ক্যাফের মতো অত জাঁকজমক নেই বলে অনেকেই নাক সিটকোতে পারেন, তবে আপনি এখানে পেয়ে যাবেন সুলভে সুস্বাদু খাদ্য এবং মোলায়েম আদুরে আপ্যায়ন। একটি ক্যাফে আপনাকে যা যা দিতে পারে, যা যা ভাল করতে পারে আপনার একটি সন্ধে! সেইসব নিয়ে আপনার জন্য অপেক্ষায় উই টি। এই ক্যাফের কর্ণধার মীনাক্ষী সরকারের কথায়, " আমি চিরকাল রান্না করতে ভালবাসি। সেই রান্না সবাইকে খাওয়াতেও ভালবাসি। তাই এই পরিকল্পনা অনেকদিনের। আমি ভেবেছিলাম এমন একটা জায়গা তৈরি করব, যেখানে লোকে বসে চা-কফি খেতে খেতে গল্প করবে। একটা ছিমছাম পরিবেশ হবে। গান বাজবে...