বতর্মান যুগে সুস্থ থাকতে আমরা কী কী না করি! যোগ অভ্যাস থেকে ডায়েট সবই তো আজকাল কলি যুগের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অনেকাংশেই আমরা খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দিই না। কখন অত্যাধিক ফাস্ট ফুড কিংবা ফ্রোজেন ফুড খেয়ে ফেলি। বাঁধিয়ে বসি অনেক জটিল রোগ। তবে ফাস্ট ফুড কিংবা ফ্রোজেন ফুড খেলেই যে বিভিন্ন জটিল রোগ হবে এমন বিষয় না। বিষয়টা হলো খাদ্য অভ্যাসের এবং সেই খাদ্যটা কোথা থেকে আসছে। আজকাল ভেজালের যুগে সঠিক খাদ্য গ্রহণ করাটাও জরুরি। আমাদের বাংলার মেয়ে পিয়ালী সুদূর কুর্গে ওয়েস্টার্ন ভ্যালি নামক একটি অর্গানিক ফার্ম তৈরি করেছেন এবং তাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্ণাটকের কুর্গে অবস্থিত তাঁর অর্গানিক ফার্মের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে তিনি জানালেন, " অনেক দিন ধরেই অর্গানিক ফার্মের ব্যবসার কথা ভেবে এসেছিলাম। আমার শ্বশুর বাড়ির তরফে বংশপরম্পরায় এই ব্যবসা চলে আসছে তাই আমারও এই ব্যবসা শুরু করতে অসুবিধা হয়নি।"
কয়েক হাজার একর জমির উপর গড়ে উঠেছে ওয়েস্টার্ন ভ্যালির ব্যবসা। পিয়ালীর ফার্মে যে যে খাদ্যদ্রব্যগুলো পাওয়া যায় সেগুলো হলো কফি, হলুদ, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরীচ,মধু, নারকেল তেল, লাল লঙ্কা এবং কুর্গ ভিনিগার। ভারতের কুর্গ কিন্তু কফি ফার্মিং-এর জন্য বিখ্যাত। পিয়ালীর কথায়, " বছরের শুরুতে বিভিন্ন কফি প্রস্তুতকারী সংস্থা আমাদের কফি ফার্মিংগুলো লিজ নিয়ে নেয় ।"
পিয়ালীর কথায়," আমাদের কফি এবং মশলা ফার্ম কিন্তু অত্যন্ত উচ্চমানের গুণসম্পন্ন। স্বাদে এবং গন্ধে অতুলনীয়।" একটু থেমে তিনি আরও জানালেন, " আমদের এই আবহাওয়ায় সঠিক গুণসম্পন্ন খাদ্যশস্য হওয়ার জন্য আদর্শ।"
জিজ্ঞাসা করলাম, " অনেক বিশেষজ্ঞরা বলেন যে ফার্মে যে সমস্ত পেস্টিসাইড ব্যবহার করা হয় সেগুলো ক্ষতিকারক!" পিয়ালী জানালেন, " আমরা ফার্মে কোনওরকম পেস্টিসাইড ব্যবহার করি না। শুনলে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আমরা একদম প্রাকৃতিক উপায়ে কীট বিনাশ করার পদ্ধতিকে অনুসরন করি।"
ফার্মের মালকীন আরও দাবি করলেন যে, " আমাদের পুরো প্রক্রিয়া অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ব্যবহার করা হয়। বীজ রোপন থেকে প্যাকেজিং সবটাই খুব সাবধানতার সঙ্গে করা হয়। আমাদের শ্রমিকরাই আমাদের ফার্মের সব। তাদের পরিশ্রমের জন্যই আমরা এত কাজ করতে পারছি।"
কথায় আছে বাঙালি নাকি ব্যবসা করতে পারে না। কিন্তু নৈহাটির মেয়ে পিয়ালী করে দেখাল। আসলে বাঙালি চাইলে সব পারে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন