তিনি চেয়েছিলেন সাংবাদিক হতে।
ক্যামেরার সামনে বসে জনগণকে প্রতিদিনের খবর দিতে। কিন্তু তিনি যে নিজেই ‘খবর’ হয়ে
যাবেন, এমনটা ভাবেননি। শুধু তাই নয়, তাঁর পড়াশুনাও কিন্তু সাংবাদিকতা নিয়ে। তবুও
তিনি আজ একজন সফল অভিনেত্রী। তিনি তাঁর কেরিয়ারের শুরুতেই বাংলা ধারাবাহিকে ঝড়
তুলেছিলেন ।
‘জামাই রাজা’ সিরিয়ালের সেই নীলাশা ওরফে শ্রীমা
ভট্টাচার্য আজ বাংলা ধারাবাহিক থেকে দূরে থাকেলও, তাঁর অসংখ্য ভক্তেরা কিন্তু
তাঁকে ভুলে যাননি। কালারস বাংলার ‘নাগনীলা’ ধারাবাহিক দিয়ে তাঁর কেরিয়ার শুরু, আর
তার পরেই জি বাংলায় ‘জামাই রাজা’ তাঁকে স্বীকৃতির
শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। তাঁর মিষ্টি স্বভাবের জন্য এমনিতেই টলিপাড়ায় যে সুনাম তাঁর আছে, সেই সুনামও তিনি
অনস্ক্রীনে ইতিমধ্যে অর্জন করে নিয়েছেন।
সম্প্রতি তিনি একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। ‘ আর ইউ ভার্জিন’ নামক এই ওয়েব সিরিজটি
কিছুদিনের মধ্যে আসতে চলেছে ‘ভুট’ নামক ওয়েব প্ল্যাটফর্মে। তাঁর বিপরীতে কাজ করছেন
গৌরব চক্রবর্তী। গল্পের কথা জানতে চাইলে অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ সেটা তো দেখতে
হবে, সব বলে দিলে তো দেখার মজাটাই নষ্ট হয়ে যাবে।‘’
অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ সাংবাদিক না অভিনেত্রী? কোন কাজটা বেশি পছন্দের
?’’ শ্রীমা জানালেন, ‘’ দুটোই! এই তো কিছুদিন আগে একটা ডকুমেনটারি করছিলাম, সেটা আমার
কলেজের প্রজেক্ট ছিল। সেই জন্য বেশ কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি, সেটে গিয়েছি এবং পুরো
কাজটা করতে বেশ ভাল লেগেছে।‘’
তাঁর এই জার্নিটা ছোট্ট হলেও তিনি এখনও অবধি অনেক মানুষের ভালবাসা কুড়িয়েছেন। যদিও
সেই ভাবে প্ল্যানিং করে তাঁর ইন্ড্রাস্টিতে আসা হয়নি। প্রথমে ‘’ দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর
বিজেতা এবং তারপর ঘটনাক্রমে মডেলিং এবং তারপরের বাকিটা দর্শক দেখেছেন। যদিও তিনি বরাবরই পড়াশুনাকে
গুরুত্ব দিয়েছেন, তাই জন্য বেশ কিছু কাজও ছেড়েছেন। তবে সেই নিয়ে খুব একটা আক্ষেপ
নেই তাঁর, আপাতত তিনি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান, আরও ভাল ভাল কাজ করতে চান।
মিশুকে স্বভাবের শ্রীমা সময় পেলেই তাঁর স্কুল-কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে সময়
কাটান। তাঁর ভাইকে জ্বালাতন করতে পছন্দ করেন। ইচ্ছে হলে কবিতাও লেখেন, মুড অফ
থাকেল গান শোনেন। সমুদ্র তাঁর খুব পছন্দের জায়গা। সময় পেলে ফ্যামিলি ট্যুরে বেড়িয়ে
পরেন।
অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপনি কি কমিটেড ?’’ হাসতে হাসতে তিনি বললেন,
‘’ ন! তবে হ্যাপিলি সিঙ্গেল!’’ আবারও
জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ কেমন সঙ্গী পছন্দ ?’’ কিছুটা ভেবে তিনি বললেন, ‘’ মানুষটাকে
ভাল হতে হবে, আর যদি গিটার বাজিয়ে গান গাইতে পারে তাহলে আরও ভাল হয়।‘’ তারপর ফোনের
ওপার থেকে শুধু হাসির শব্দ পেলাম।
( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন