সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রূপসা হাসতে হাসতে বললেন, ‘’আমি চাই আমাকে নিয়ে ট্রল হোক। এগুলো খুব এনজয় করি।‘’



বাংলার সুন্দরী নায়িকাদের যদি একটি তালিকা করা যায় তাহলে প্রথম সারিতে যে নামগুলো আসবে, তার মধ্যে কিন্তু অন্যতম অভিনেত্রী রূপসা মুখোপাধ্যায়। একটি ওড়িয়া ছবি দিয়ে তিনি তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, তারপর বাংলা ধারাবাহিক এবং সিনেমা। তবে এই প্রথম বাংলার বড় ব্যানারে আত্মপ্রকাশ ‘ কে তুমি নন্দিনী’ দিয়ে। অভিনেত্রী রূপসা মুখোপাধ্যায় ওরফে নন্দিনী ইতিমধ্যেই তাঁর অভিনয় দক্ষতার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। পথিকৃৎ বসু পরিচালিত ‘ কে তুমি নন্দিনী’ রিলিজ করার পর থেকেই রূপসা মুখোপাধ্যায় কিন্তু একেবারে স্পটলাইটের নীচে।

 চার বছরের কেরিয়ারে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে, ‘ ভালবাসা ভালবাসা’,  ‘ এসো মা লক্ষ্মী’-এর মতো বাংলা ধারাবাহিক। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে সেই তালিকায় যুক্ত হয়ে গেছে এসভিএফ প্রযোজিত ছবি ‘ কে তুমি নন্দিনী’।



ছবির প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, ‘’ এর মধ্যেই বেশ ভাল ফিডব্যাক পেয়েছি। শুনলাম তো কয়েকটা শো একেবারে হাউসফুল গেছে।‘’ অভিনেত্রীকে একটু থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ এই ছবিতে বনির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ?’’ 

রূপসা হাসতে হাসতে জানালেন, ‘’ বেশ ভালই। বনি আমার খুব লেগপুল করত! কিছু হলেই পরিচালকের কাছে আমি বকা খেতাম। হয়ত বনি লেটে এসেছে অথচ বকা খাচ্ছি আমি।‘’ 



একটু থেমে তিনি আরও জানালেন, ‘’ কিন্তু সবাই খুব সাহায্য করেছে। পথিকৃৎ আমাকে প্রত্যেকটা সিন খুব ভালভাবে বুঝিয়ে দিত, প্রয়োজন পড়লে তো অভিনয় করে দেখিয়েও দিত। একবার আমি একটা শটে পড়ে গিয়েছিলাম, তারপর দেখি সবাই হাসছে! পথিকৃৎ বলল ‘যাও, অভিনেত্রীর জন্য একটা অ্যামবুলেন্সের ব্যবস্থা কর। ‘’ হাসতে হাসতে তিনি জানালেন, ‘’ কাজটা করতে বেশ মজা পেয়েছি।‘’

অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ এরপর প্ল্যান কী? মুম্বই ?’’ রূপসা জানালেন, ‘’ না না! আগে একটু আরও অভিজ্ঞতা জোগাড় করি, আরও কাজ করি তারপর ভাবব। আমার সাউথের ছবি করার ইচ্ছে আছে। তবে আপাতত কিছুদিন ছুটি চায়!‘’

রূপসাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ এই যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সিনেমা, সিরিয়াল নিয়ে ট্রল হয়, এগুলো আপনি সাপোর্ট করেন ?’’ তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ আমি চাই আমাকে নিয়ে ট্রল হোক। এগুলো খুব এনজয় করি।‘’



অভিনেত্রীর পছন্দ পাহাড়। তিনি আটপৌরেকে জানালেন যে, ‘ সুইজারল্যান্ড যাওয়ার খুব ইচ্ছে! ওটাই আমার সবচেয়ে ফেভারিট ডেসটিনেশন। তবে এই বছরের শেষে হয়ত বালি যাব।‘’

প্রেম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি একটু দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জানালেন, ‘’ আপাতত কেউ নেই। কাজে ফোকাস করতে চাই।‘’ আবার জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ মনের মানুষটি কেমন হবে ?’’ তিনি জানালেন, ‘’ লয়াল হলেই চলবে। অন্তত সে যেন আমাকে বুঝতে পারে।‘’


   
 ( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ 
ছবি- সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...