সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আটপৌরের মুখোমুখি অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্য



সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বেশ পরিচিত! শুধু সোশ্যাল মিডিয়া কেন, বাংলা ইন্ড্রাস্টিতে তাঁর বারো বছরের কেরিয়ার গ্রাফ দেখলেও থমকে যেতে হয়। অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্য নিজেকে একজন আদর্শ নারী হিসেবে তুলে ধরেছেন। সেটা সোশ্যাল মিডিয়া হোক কিংবা ইন্ড্রাস্টি, সব জায়গায় তাঁর স্বাধীনচেতা মনোভাব তাঁকে যেমন উচ্চতার শিখরে পৌঁছে দিয়েছে তেমনি তাঁকে শুনতে হয়েছে নানা বিদ্রূপ। তবে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, স্বপ্নকে সত্যি করতে গেলে, কোনও বাঁধায় বাঁধা নয়! সবকিছুই পেরিয়ে যাওয়া যায় অনায়াসে।

অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্য কোনওদিনই ভাবেননি যে অভিনয় করবেন। শুধু তাই নয়, অন্য আর যা কিছু করা যেতে পারে, তবে অভিনয় নয়। কিন্তু মানুষ যা চাই না, সেটাই ভাগ্যচক্রে ফিরে ফিরে আসে। তাই রূপা ভট্টাচার্য থেকে অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্য হয়ে ওঠাটাই একটা না চাওয়া গল্পের মতো। তিনি আটপৌরেকে জানালেন যে, কন্যা সন্তান হওয়ায় পরিবারের মধ্যেই তাঁকে অনেক লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়েছে। তাই একদিন তিনি ঠিকই করে ফেলেছিলেন যে এবার কিছু একটা করতে হবে।



 নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আর ঠিক সেই সময় সময়ই অভিনয়ের সুযোগটা তাঁর কাছে চলে আসে। তারপর থেকে তিনি আর পিছনে ফিরে তাকাননি। নিজেই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থেকেছেন এবং এখনও আছেন। ফিরে যাননি পরিবারের কাছে। এমনকী নিজের বাবার মৃত্যুর খবরটাও লোক মারফত পেয়েছেন। অভিনেত্রী জানালেন, ‘’ একসময় ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র কেনার টাকা ছিল না। যেখান থেকে সিনেমার সেটের জিনিসপত্র ভাড়া দিত, সেইখান থেকে ভাড়া করে আনতাম।‘’

২০০৬ সালে ‘ রাত ভোর বৃষ্টি’ দিয়ে হাতেখড়ি। তাঁর কেরিয়ারের ঝুলিতে রয়েছে ‘ কৃষ্ণকলি’, ‘ বিজয়িনী’, ‘ বউ কথা কও’, ‘ চেকমেট’, ‘ জয় বাবা লোকনাথ’, ‘ আমি সিরাজের বেগম’ এবং আরও অনেক। এর পাশাপাশি টেলিভিশনে সঞ্ছলনা করেছেন। প্রায় বারোটা সিনেমায় পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে অভিনেত্রী জানালেন, ‘’ আসলে আমার হাইটটা একটা ফ্যাক্টর। আর আমি কিক বক্সিং জানি, সেটাও সাহায্য করেছে। ‘’ এছাড়াও ‘প্রপোজাল’নামে একটি ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন তিনি।



ইদানীং তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট নিয়ে নেজিজেনরা ভিন্ন ভিন্ন মত প্রসন করলেও, তিনি সরাসরি জানিয়ে দিলেন যে, ‘’ আমার অনেক কিছু বলার আছে। তবে আমি লজিক দিয়ে কথা বলি। যেটা বিশ্বাস করি, সেটা নিয়েই বলি। আর আমি কাউকে অপমানও করিনি।‘’



প্রেম নিয়ে কথা বলতে গেলে অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ ওটা তো আপেক্ষিক! আর আমিও একটু ঘরকুনো।‘’ সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ এই মুহূর্তে কোন প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত ?’’ অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ টাকা উদ্ধার নিয়ে!’’ পাল্টা জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ মানে ?’’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘’ সব কথা কী এই সাক্ষাৎকারেই বলে দেব ?’’ ফোনের ওপার থেকে শুধু হাসির শব্দ পেলাম।

( সাক্ষাৎকার - আদিত্য ঘোষ 
ছবি- অভিনেত্রীর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...