সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আটপৌরের মুখোমুখি অভিনেতা অমিতাভ দাস



‘আমি সিরাজের বেগম’-এর অমিতাভ দাস ওরফে মোহনলাল কিন্তু এখনও নিজেকে ‘ স্ট্রাগেলার’ বলতেই অভ্যস্ত। শুধু তাই নয়, তিনি এখনও মনে করেন আরও অনেক কিছু করা বাকি। এখনও তিনি তাঁর পায়ের তলার মাটি নাকি শক্ত করতে পারেননি। তবে তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ কিন্তু অন্য কথা বলছে। তাঁর কেরিয়ারের শুরু কালারস বাংলায় ‘ব্যোমকেশের দুর্গ রহস্য’ দিয়ে। তারপরে ‘ সজারুর কাঁটা’। সেই সময় থেকেই তিনি স্পট লাইটে। তারপর ‘রবিঠাকুরের গল্প’, ‘শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু’, ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’-এর মতো ধারাবাহিক রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এছাড়াও কাজ করেছেন বিজ্ঞাপনে। রীনা চৌধুরীর পরিচালনায় ‘কল্পতরু’ নামে একটি সিনেমাও করেছেন তিনি। তবুও তিনি তাঁর এই সাফল্যে এতটুকুও আপ্লুত নয়।

আটপৌরেকে তিনি জানালেন যে, ‘’ আমি চিরকালই লাস্ট বেঞ্চার ছিলাম। চেষ্টা করতাম পড়াশুনায় যতটা ফাঁকি মারা যায়। সেই জন্যই নাচ, গান, এইসব নিয়ে থাকতাম।‘’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও জানালেন যে ‘’ ছোট থেকেই যে ইচ্ছে ছিল অভিনেতা হব, তেমনটা নয়। তবে একটা সময়ের পর থেকে পোর্ট ফোলিও করতে শুরু করি। তারপর কাজের জন্য চেষ্টা চলায়, অডিশন দিতে থাকি। অভিনয়ের ওপর একটা কোর্সও করি।‘’



অভিনেতা অমিতাভ দাস কিন্তু খুব মেপে কথা বলেন। বেশ কয়েক বছর ইন্ড্রাস্টিতে থাকার পরও এখনও তাঁর মনে অহংকারের লেশ মাত্র নেই। তাঁর ইচ্ছে আছে, একসময় মুম্বই গিয়ে কাজ করার কিন্তু এখনই নয়, তিনি আরও একটু নিজেকে ঝালিয়ে নিতে চান। অভিনেতা কে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ নিন্দুকেরা নাকি বলছে বাংলা ইন্ড্রাস্টির অবস্থা নাকি খুব খারাপ, তাই সবাই নাকি মুম্বই পালাচ্ছে!’’ অমিতাভ দাস হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ আমি তো শুনেছি অনেকেই আবার ওখান থেকে ফিরে এসেছে। কারণ ওখানে স্ট্রাগেলটা অনেক বেশী।‘’



নিজের শরীর সম্বন্ধে বড্ড সচেতন অভিনেতা। নিয়ম করে জিমে যান। খাবারও বুঝে খান। এই মুহূর্তে তিনি নাকি ‘ মটন’ এড়িয়ে যাচ্ছেন! তবে এইসবের বাইরে সময় পেলে ঘুরতে যান, তাঁর প্রিয় জায়গা লন্ডন। যদিও তাঁর এখনও যাওয়া হয়নি। তবে ভবিষ্যতে নিশ্চয় যাবেন বলে আশাবাদী!


( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...