সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আটপৌরের মুখোমুখি অভিনেত্রী মধুরিমা চক্রবর্তী



ছোটবেলায় তাঁকে অনেকেই স্কুলে বলত, ‘ তুই খুব বকবক করিস। দেখিস, তুই একদিন ঠিক রেডিওতে কাজ করবি।‘ কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি।  তাঁর ভাগ্য তাঁকে অন্য কোথাও নিয়ে এসেছে। তবে এই ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’ আমিও সেটা টের পেলাম যে তাঁর ছোটবেলার বন্ধুরা কিন্তু কিছু ভুল বলত না। তবে তাঁর এই অদম্য কথা বলার উচ্ছ্বাস, এই উষ্ণতম দিনে অনেকটা ডিসেম্বরের শীতের মতো। এক পশলা বৃষ্টির মতো আনায়াসে ভিজিয়ে দিতে পারে সবকিছু, এক নিমেষে ভুলিয়ে দিতে পারে সব ক্লান্তি।

অভিনেত্রী মধুরিমা চক্রবর্তীর রেডিও জকি হওয়ার ইচ্ছেটা এখনও থাকলেও, সেই ইচ্ছে ‘ডানা’ মেলতে পারিনি। তবে তাই নিয়ে তাঁর একটুও আক্ষেপ নেই। তিনি চুটিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছেন। সান বাংলা ধারাবাহিকের  ‘গ্যাংস্টার গঙ্গা’-এর মোতিই হলেন তিনি। তবে অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল যে তিনি একটু ‘ হাটকে’ চলেন। অন্যায় একদম সহ্য করতে পারেন না। ক্লাস এইটে পড়ার সময় একদল ছেলেকে নাকি তিনি মেরেওছিলেন। যদিও অভিনেত্রীর কথা অনুয়ায়ী ছেলেগুলোরই দোষ ছিল।



মধুরিমা চক্রবর্তী ওরফে হিয়ার এই ছোট্ট কেরিয়ারের গ্রাফটা কিন্তু বেশ ঊর্ধ্বমুখী। তিনি এত কম সময়ে অনেক বড় বড় চ্যানেলের সঙ্গে কাজ করে ফেলেছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে, ‘ হুঁশিয়ার বাংলা’, ‘ গোপাল ভাঁড়, ‘ জয় কালী কলকাত্তাওয়ালী’ , ‘ জামাই রাজা’, ‘ সাত ভাই চম্পা’- এর মতো বাংলা ধারাবাহিক। এছাড়া কাজ করেছেন আকাশ আট- এর ‘ পুলিশ ফাইল’-এ। এখানেই শেষ নয়, তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘ আলাপ’-এর মতো ওয়েব সিরিজ। এছাড়াও কাজ করেছেন শর্ট ফিল্মে।

সিনেমার প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানিয়েদিলেন যে, ‘’ গল্পটা ভাল হলে অবশ্যই রাজি আছি। তবে একটু আর্ট ফিল্ম করতে চাই। কমার্শিয়াল ছবিতেও বিশ্বাস আছে, তবে আমি একটু আর্ট ফিল্মের ভক্ত।‘’
 অভিনয়ের পাশাপাশি ক্লাসিকাল ড্যান্সেও তিনি পারদর্শী। সময় পেলেই একা একা ঘুরতে যাওয়াটা তাঁর শখ। পাহাড় তাঁর বড্ড পছন্দের জায়গা। তাই সময় পেলেই তিনি একা একা বেরিয়ে পরেন।
প্রেম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ আমি হ্যাপিলি সিঙ্গেল!’’ আবার জিজ্ঞাসা করলাম, ‘ ধরুন আপনাকে যদি কোনও রেডিও ষ্টেশনের আরজে-এর দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এক লাইনে প্রেম নিয়ে কিছু বলতে বলা হয়, তাহলে কী বলবেন?’’ তিনি আবারও হাসতে হাসতে জানালেন, ‘’ এই শহরে সব প্রেম, ঢপের প্রেম!’’



অভিনেত্রী হিয়া আরও দূরে যেতে চান, আরও আরও কাজ করতে চান। তাঁর অভিনয় দক্ষতা ইতিমধ্যে অনেকেরই নজর কেড়েছেন, তবে এইটুকুতে তিনি আপ্লুত নন, তিনি আরও চান, আরও আরও...।।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...