সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এপিট্যাক্সিস_ও_নিওডার্মাটোজেনেসিস


                   এপিট্যাক্সিস_ও_নিওডার্মাটোজেনেসিস


একটা ছোট অথচ লক্ষ্যনীয় সমস্যার উল্লেখ করব । আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই পাত্তা দেন না, তবে কেয়ার নেবেন ।
আচ্ছা বর্তমান সময়টা, মানে ইনিশিয়াল মনসুন, হিউমিডিটি বেশি থাকে, কখনো কমে যায়, ফ্লাকচুয়েট করে, কখনো শুষ্ক বাতাস,কখনো humid, আবার গরমও আছে, এসময় কখনও এমন হয়েছে যে আপনি রাস্তায় আছেন, প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, নাসাপথে তীব্র জ্বালা, চোখের আশেপাশে নার্ভগুলো চিনচিনিয়ে উঠল । না, মাইগ্রেন অ্যাটাক ভেবে ভুল করবেন না । ন্যাসাল ফ্লুইড এভাপোরেটেড হয়ে গেছে ডিউ টু লো হিউমিডিটি । এবার যেটা হবে, নাকে পিচ্ছিলকারক ফ্লুইডের অভাবে বাতাসের ধূলিকণার সাথে নসট্রিলের ভেতর এপিথেলিয়াল রক্তজালিকার ঘর্ষণ হবে, নাকের ভেতর আছে সূক্ষ্ম ঝিল্লি, স্নেইডেরিয়ান মেমব্রেন । আপনার হাই প্রেসার থাকলে নাক দিয়ে ছিটেফোঁটা রক্ত আসবে । ভয় পাবেন না, মেজর অ্যাটাক নয় কিছু, এপিট্যাক্সিস এটা । তৎক্ষনাত জল দিন নাকের আশেপাশে, ভেতরে নয়, আশেপাশে , তাতে কিছুটা হিউমিড হবেন । এটা খুব সাধারন একটা ঘটনা, হয়ত কেউ ফেসও করেছেন ।

এবার আসি দ্বিতীয় টপিকে । আচ্ছা, শীতকালে নয় , শীতের পর , এসময়ে অনেকের হাত ও পায়ের চেটো অর্থাৎ পামে খুব rash হয়, blister rash, ফোসকার মত, দুদিন থাকে , চুলকায়, নিজেই ফেটে যায়, ও সেখান থেকে গোল হয়ে চামড়া উঠে আসে । এটার কারন কী? সাধারনতঃ পিসিওডি আক্রান্ত মহিলাদের এটা বেশী হয় । আমাদের নারীদেহের ত্বকের লাবণ্য, মানে নমনীয়তা ও অভ্যন্তরীন অ্যাডিপোসের লেয়ার, পুরোটাই কনট্রোল করে স্টেরয়ডাল হরমোন ইষ্ট্রোজেন । ওভারীতে সিস্ট থাকলে ইস্ট্রোজেন কমে, স্বাভাবিকভাবেই কম হিউমিডিটিতে ত্বক রূক্ষ হয়ে গেলে ইস্ট্রোজেন তা কভার আপ করতে অক্ষম হয় । তখন যেটা হয়, পুরোনো ত্বকটা নিজে থেকে ইডিমাইজড হয়ে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে, ওটার জায়গায় আসে নতুন ত্বক, ঘটনাটাকে ডাক্তারী পরিভাষায় নীওডার্মাটোজেনেসিস বলে । ব্যথা বেদনা থাকেনা অধিকাংশ ক্ষেত্রে, ইরিটেশন হয় । চামড়া উঠতে থাকলে বেশী ঘাঁটবেন না, ন্যাচেরাল প্রসেস, পারলে হাইড্রেটিং সল বা লোশন ইউজ করুন । 

দুটোই খুব সাধারন অথচ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, কেউ ভুক্তভুগী হলে রিলেট করতে পারবেন ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...