সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জন্মগত কিছু সমস্যা বা সিনড্রোম



                                                              জন্মগত কিছু সমস্যা বা সিনড্রোম

শিশু জন্মের পর এমন কিছু সমস্যার উদয় হয় যা সাধারণত chromosomal culture ছাড়া ধরা পড়ে না, সেসব রোগের সংক্ষিপ্ত কারণ ও উপসর্গ আজকের আলোচ্য বিষয় ।

1. Sickle cell anaemia- আমাদের লোহিত রক্তকনিকাতে দুই ধরনের হিমোগ্লোবিন থাকে, একটি হিমোগ্লোবিন A, অন্যটি হিমোগ্লোবিন S, এই A type হিমোগ্লোবিনগুলি S এ পরিবর্তিত হতে থাকলে লোহিত রক্তকণিকা বিকৃত হয়ে কাস্তে আকার ধারণ করে, হিমোগ্লোবিন কণা এই আকারে থাকতে পারেনা, বেরিয়ে যায় । রোগটি হল sickle cell anaemia ।  
এই রোগ ধরা পড়লে অতি শীঘ্র স্টেম সেল ট্রিটমেন্ট করতে হবে ।

2. জুভেনাইল গ্লুকোমা- এটি হল সেক্স লিংকড chromosome বাহিত রোগ । বাচ্চার চোখ ক্রমাগত কঠিন আকার নিতে থাকে, humour কমতে থাকে । চোখের গুরুতর সমস্যা ।
চিকিৎসা- এক্ষেত্রে surgery ছাড়া সুগম পথ নেই।  trabulectomy করা হয়, বা aqueous shunt device ব্যবহার করা হয় প্রয়োজন অনুযায়ী । বাচ্চার চোখের সমস্যা হতে শুরু করলে অবহেলা করবেন না ।

3. Hunter সিনড্রোম - মানসিক ভাবে স্বাভাবিক নয় , তবে দেখে বোঝা যায়, down syndrome এর মত জিভ টা জন্মের সময় থেকেই মুখের বাইরে বেরিয়ে থাকে । তবে পার্থক্য হল, সারা গায়ে অস্বাভাবিক চুলের প্রাচুর্যতা।  এটা দেহকোষ গুলোতে অপরিমেয় mucopolysaccharide জমা হওয়ার কারণে হয় । 

চিকিৎসা- এই রোগ ধরা পড়লে অতি শীঘ্র enzyme রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি করা হয়, যা অনেকাংশে বেশিমাত্রায় সফল ।

4. Mitral stenosis- এটি হল হৃদ কপটিকা এর , বিশেষত অর্ধচন্দ্রাকৃতি কপটিকা এর অস্বাভাবিকতা ।
 valve রিপ্লেসমেন্ট করা হয় । 

5. গচার disease- এটি হল লিভার ও প্লীহায় লিপিড জমা হওয়ার কারণে ঘটিত রোগ । তাছাড়া মস্তিষ্ক ক্ষয় । 
চিকিৎসা- এক্ষেত্রেও enzyme রিপ্লেসমেন্ট করা হয় । তবে এ রোগ প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থাতেও হতে পারে ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...