সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কথোপকথনের তৃতীয় পর্বে আমাদের আলোচনার বিষয় বাংলা সিরিয়াল


                   কথোপকথনঃ পর্ব ৩ - আদিত্য 

কথোপকথনের তৃতীয় পর্বে আমাদের আলোচনার বিষয় বাংলা সিরিয়াল! অনেকেই হয়ত একটু মুখ বেঁকাবেন আবার অনেকে সানন্দে গ্রহণও করবেন আসলে আঁতেল বাঙালি প্রত্যেকদিন সন্ধ্যেবেলায় একটু কাব্য খোঁজেন সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন ক্রাইসিস তাই তাঁদের ওসব এঁদো জিনিস চলে না আবার ঠিক তখন আর একদল ভেতো বাঙালি বাংলা সিরিয়ালে ডুবে যায়  সেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিনেত্রী সোহাগের সঙ্গে কথা হল বাংলা সিরিয়াল নিয়ে এক বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যেবেলায়

প্রথমেই জানতে চাইলাম, ‘’বাংলা সিরিয়াল এত নারী কেন্দ্রিক কেন ? ’’  সোহাগ একটু হেসে বললআসলে ব্যাপারটা সেরকম নয়! আমাদের দেখার দৃষ্টিটা ওইরকম হয়ে গেছে তবে হ্যাঁ, মেয়েরা একটু বেশি কল্পনাপ্রবণ, ভাবুক- হয়ত সেই জন্যই!’’

আমরা যদি বাংলা সিরিয়ালের সাপ্তাহিক টিআরপি দেখি, তাহলে কিন্তু ঘাবড়ে যেতে হবে তখন মনে হবে, এত লোকে এই সিরিয়াল দেখে! বিশেষত যারা সর্বক্ষণ বাংলা সিরিয়াল নিয়ে ব্যঙ্গ করে বেড়াচ্ছেন, তাঁরা কিন্তু বেশ আঘাত পাবে তবে বাংলা সিরিয়ালের দর্শক কিন্তু বাংলার মা-মাসি-মানুষ! মানে বিশেষত চল্লিশ ঊর্ধ্ব মহিলারা তবে অল্প বয়সী মেয়েরাও যে দেখে না, সেরকমও নয় আবার কিছু পুরুষ মানুষও আছে যারা বাংলা সিরিয়ালের পোকা শুধু তাই নয়, বেশ কিছু যুবকও 

চুপিসারে বাংলা সিরিরাল দেখে শুধু তাঁরা জনসমক্ষে বলতে ভয় পায়
সোহাগকে জিজ্ঞাসা করলাম,’’ সিরিয়ালের প্লটগুলো এত অবাস্তব কেন ? ” সোহাগ নিজের পরিচিত ভঙ্গিতে বলল, “ যখন সিরিয়াল শুরু হয়, তখন ওখানেই লেখা থাকে- সব ঘটনা কাল্পনিক, এর সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই ’’ একটু থেমে সোহাগ আরও বলল,’’ ওই যে প্রথমেই বললাম, আমাদের দেখার দৃষ্টিটা ওইরকম হয়ে গেছে ’’

আমরা বুঝি বাংলা সিরিয়াল মানেই মেলোড্রামা! সংসারের ক্রাইসিস নিয়ে প্লট শাশুড়ি এবং বৌমার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ মেকআপ এবং বেনারসি পরে রাতে ঘুমিয়ে পড়া আবার সকালে ঠিক একই রকমভাবে ঘুম থেকে ওঠা এইগুলো আমরা খেয়াল করি কিন্তু কেউই সিরিয়ালের শুরুতে ওই ট্যাগ লাইনটা খেয়াল করি না-  সব ঘটনা কাল্পনিক, এর সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই

সবশেষে সোহাগকে জিজ্ঞাসা করলাম,’’ আচ্ছা, তুমি তো সংসার সামলে অভিনয় করতে যাও সেখানে গিয়েও আরও একটা সংসার সামলাও বিরক্ত লাগে না ?’’সোহাগ হাসতে হাসতে বলল,’’ না! ওটাই তো আমার কাজ একটা বাস্তব আর একটা কাল্পনিক শুধু মেয়েরা কেন, ছেলেরাও কিন্তু হাতা- খুন্তি ধরে’’ ফোনের ওপার থেকে শুধু হাসির শব্দ পেলাম, তখনও বাইরে বৃষ্টি পরছে  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...