সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এরপরেও একাধিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে বহুবার।




 একা থাকাটাও একটা আর্ট- আদিত্য 

এখন তাঁর বয়স প্রায় একত্রিশ । শরীরে এখনও ভরাট যৌবন। টোল পড়া গালে ভেসে বেড়াচ্ছে অদম্য উচ্ছ্বাস। যেন বারবার একটাই কথা বলছে, ‘ একা থাকাটাও একটা আর্ট।’ হ্যাঁ, সে আমাদেরই মতো আর পাঁচটা সাধারনের একজন। কিন্তু তাঁর গল্পটা অতি অসাধারণ। একটা মেয়েও যে সমস্ত ঝড়-ঝাপটা সামলে একা থাকতে পারে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ কলকাতার বুকে ফ্ল্যাট কিনতে পারে, স্বামীর অত্যাচার সহ্য করে তাঁকে মুখের ওপর ডিভরস দিতে পারে, আবার এক এবং একাধিক সম্পর্কেও লিপ্ত হতে পারে।
  
ঘটনাচক্রে এই মেয়েটির সঙ্গে আলাপ আজ থেকে বছর সাতেক আগে। তখন সে বিবাহিত।  এর বেশি কিছু আর জানতাম না। যদিও এই মুহূর্তে সেই মেয়েটির নাম প্রকাশ করতে পারছি না, শুধু তাই নয় আরও বেশ কিছু তথ্যও গোপন করতে হয়েছে।

মেয়েটি অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। মফস্বলেই তাঁর বেড়ে ওঠা। কিন্তু তাঁর যখন বছর কুড়ি বয়স, হঠাৎই তাঁর জীবনের ছন্দপতন ঘটে। তাঁর মায়ের মৃত্যু তাঁকে চরম হতাশার মধ্যে ফেলে দেয়। যদিও সেই হতাশা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মানুষ যখন চরম হতাশায় আক্রান্ত হয়ে যায়, ঠিক তখন যে মানুষটা তাঁর একটু দুঃখ ভাগ করে নিতে এগিয়ে আসে, তাকেই তখন সবচেয়ে আপন মনে হয়। আমরা তখন তাঁকে যাচাই করার সময় পায় না। আমরা বুঝতে পারি না তাঁর আসল উদ্দেশ্যটা কী!
ঠিক তেমনই ওই মেয়েটির জীবনে এমন একজনের আগমন ঘটে, যাকে তাঁর খুব আপন মনে হয়। তাঁরা কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ে করে। মেয়েটির বয়স তখন সবে মাত্র কুড়ি। তখনও সে কলেজ ছাত্রী। ছেলেটির পরিবার বাইরে থেকে স্বচ্ছল হলেও ভিতরটা ছিল পুরো উল্টো। মেয়েটির কথা অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে কোনওদিন শারীরিক সম্পর্ক তৈরী হয়নি। 

মেয়েটির জন্য বরাদ্দ ছিল নীচের তলার একটি ঘর আর বর থাকত দোতলায়। মেয়েটির ঘরের একটি জানলা ছিল, যেটা খুললে সামনের একটি কারখানা দেখা যেত, তাই সেটি প্রায় বন্ধই থাকত। শুধু তাই নয়, তাঁর ওপর চলত অত্যাচারও। এমন এক একটি সময় এসেছে তাঁর জীবনে যখন তাঁর মনে হয়েছে এর থেকে মরে যাওয়া অনেক ভাল।

কিন্তু তাঁর কথায় , ‘’ যখনই মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি, তখনই মনে হয়েছে আমাকে বাঁচতে হবে, কিছু করতে হবে।  একবার আমার পিঠে একটা কাঁচ পর্যন্ত ঢুকে গেছিল। বহুবার হাতের আঙ্গুল ভেঙেছে কিন্তু তাও আমি মুখ বুঝে সব সহ্য করে গিয়েছি।’’ আমি এবার জিজ্ঞাসা করলাম, “ তুমি তো থানায় জানাতে পারতে, নিজের বাবাকে বলতে পারতে, সেগুলো করোনি কেন ?’’ মেয়েটি বলল “ সেই সময় আমার কোনও ব্যাকআপ ছিল না। আমি যদি আইনি পথ নিতাম তাহলে আমার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ছিল। তাই সব সহ্য করেছি।’’ আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, “ ছেলেটির কি তখন অন্য কোনও সম্পর্কে লিপ্ত ছিল ?’’ মেয়েটি বলল, ‘’হয়ত না! আসলে ওদের পরিবারটা খুব অদ্ভুত ছিল। নিজেদের নিয়েই থাকত। ’’

আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ এই সময় তোমার জীবনে কোনও সম্পর্ক তৈরি হয়নি ? ‘’ মেয়েটি খুব সহজ ভাবে উত্তর দিল, ‘’ হ্যাঁ! এসেছে। আমাদের শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়। আসলে বর্তমান যুগে কোনও সম্পর্কই এক জায়গায় স্থির থাকে না। আমিও যেমন ভাবে অন্য সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারি ঠিক তেমনই আমার বরও অন্য সম্পর্ক তৈরি করতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন আমরা একে অন্যকে অবিশ্বাস করি না।‘’

তারপর অনেকটা সময় বদলে গেছে। মেয়েটা নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে।  ফ্ল্যাট কিনেছে। বরের মুখের ওপর ডিভরস দিয়েছে।  এখন সে একা থাকে। একটা গাড়িও কিনেছে। এরপরেও একাধিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে বহুবার।  তৈরি হয়েছে ভাল বন্ধু। যার কথা তাঁর সবসময় মনে পরে। কিন্তু তাঁরা এখনই বিয়ে করার কোনও পরিকল্পনা করেনি। হয়ত ভবিষ্যতে করবে। কিন্তু সেই মেয়েটা এখন বড্ড ভাল আছে। আসলে সমাজ কীভাবে তাঁকে দেখছে সেটা বড় কথা নয়, আসলে সেই মেয়েটা কীভাবে সমাজকে দেখছে সেটাই বড় কথা।

শারীরিক সম্পর্কটাই সব নয়। এর বাইরেও আছে বিশাল জগত। এই মুহূর্তে যে তাঁর সবচেয়ে ভাল বন্ধু, তাঁর সঙ্গে এখনও শারীরিক সম্পর্ক না হলেও তাঁর মনের সম্পর্কটা কিন্তু বেশ আদুরে! মেয়েটির কথায় শেষ তিন বছরে তাঁর কোনও শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়নি, কিন্তু মনের সম্পর্ক হয়েছে বহুবার!  


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...