অতৃপ্তি
বহুদিন হয়ে গেল তোমায় দেখিনি।
রোজ সকালে ঘুম ভাঙার সময় যখন অগাধ বিশ্বাস নিয়ে চোখ খুলি,
না…তোমায় আর দেখতে পাই না।
অথচ প্রত্যেকদিন ঘুমোতে যাওয়ার সময় সেইদিনটার কথা ভেবেই ঘুমোই।
তোমার সেদিনের কথা মনে পড়ে?
সেই যে গো… তুমি আচমকা এসে আমার ঘুম ভাঙালে!
আমার তো আজও সেদিনটার কথা বিশ্বাস হয় না!
কি করে তুমি পাখি হয়ে উড়ে এসে আমায় জাগিয়ে দিলে,
ভাবতেও অবাক লাগে।
তোমায় আধো ঘুম চোখে দেখে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়েছিলাম…
আর তারপর…
না থাক! বাকিটা তো তুমি জানোই।
দোতলার ঘরের জানলার গোলাপ ফুলের গাছটা আজ আর নেই জানো!
অনেকদিন হল…
দেওয়ালে কবিতা লেখা কাগজগুলো অবশ্য আছে… হ্যাঁ তোমার লেখা।
এক বাক্স গ্রিন টি, গতবছর শেষ করতে পারিনি।
তাই প্রত্যেকদিন সন্ধ্যাবেলা আমি তোমার সঙ্গে গ্রিন টি খাই।
হ্যাঁ তোমার সঙ্গে!
ভাবছো সে আবার কি করে হয় তাই তো?
আমাদের একটা অনেক বড়ো ছবি আছে,তোমারই দেওয়া।
আমার টেবিলের ওপর রাখা… তার সামনে বসি।
মন খারাপ হলে গান গাই… হ্যাঁ, রবীন্দ্রনাথ।
আমাদের একমাত্র জীবনদেবতা।
শীতকাল এলেই আমার আবার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
গতবছর টানা এক সপ্তাহ ভুগেছিলাম…
এবছর তোমার শীতের উপহারগুলো আমায় জড়িয়ে আছে বেশ!
তাই এখনো সুস্থই আছি।
আজ রাতে এসব কেন লিখছি কে জানে!
লিখছি আর গান শুনছি, “ শ্রান্তি লাগে… পায়ে পায়ে শ্রান্তি লাগে।”
দেখো,কেমন একটা বছর পেরিয়ে গেল নিমেষেই।
সময় বড় নির্মম! এভাবেই ফেলে রেখে যায় আমাদের…
স্মৃতির অন্দরে!
তবে আমি বেশ নিশ্চিন্ত…
কাল সকালে উঠে জানি তোমায় দেখতে পাবো।
আমায় জড়িয়ে ধরে আছো আমার সামনেই…
-সর্বজিৎ
-সর্বজিৎ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন