বাজার করার দায়িত্ব পাওয়ার পর মাংসের দোকানে গেলে নিজেকে রাক্ষস মনে হত অনিন্দর। কষ্ট হত নিরপরাধ জীবগুলোর শরীরের খণ্ডাংশ রসিয়ে রসিয়ে খাওয়ার কথা চিন্তা করে। তবে কেনার সময় যতটা কষ্ট পেত, খাবার সময় ঠিক ততটাই আনন্দ পেত সে। তখন আর সেন্টিমেন্টের কোন দাম থাকত না। তবে হজম হবার পর আবার ভাবত – না! মাংস খাওয়াটা ছাড়তেই হবে। আবার কখনও যুক্তিও দেখাত নিজেকে – ভগবান তো মাংস খাওয়ার জন্যই দাঁত দিয়েছেন। তবে আর বাধা কোথায়? দাঁত গুলোকে তো কাজে লাগাতে হবে? তখন মনটায় বেশ আনন্দ পেত, ঠিক খাবার সময় যেমন পেত তেমনই।
কিছুদিন আগে অনিন্দর বাড়ীর গ্যারাজে বেড়ালের দুটো বাচ্ছা হয়েছে। এখন তারা বেশ বড়। চিবিয়ে খেতে শিখেছে। মা-বেড়ালটা ওদের জন্য জ্যান্ত পাখি, ইঁদুর, টিকটিকি ধরে আনে। ওরা আনন্দ করে খায়। মা বেড়ালটা খুশী খুশী মুখ করে তাকিয়ে থাকে। অনিন্দ দেখে আর শেখে।
এখন আর মাংস কিনতে গেলে মন খারাপ হয় না। মনে হয় জীবের ধর্ম্মই জিবের সেবা।
কিছুদিন আগে অনিন্দর বাড়ীর গ্যারাজে বেড়ালের দুটো বাচ্ছা হয়েছে। এখন তারা বেশ বড়। চিবিয়ে খেতে শিখেছে। মা-বেড়ালটা ওদের জন্য জ্যান্ত পাখি, ইঁদুর, টিকটিকি ধরে আনে। ওরা আনন্দ করে খায়। মা বেড়ালটা খুশী খুশী মুখ করে তাকিয়ে থাকে। অনিন্দ দেখে আর শেখে।
এখন আর মাংস কিনতে গেলে মন খারাপ হয় না। মনে হয় জীবের ধর্ম্মই জিবের সেবা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন