সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান


                                                                                      পফ
                                                                               নিকিতা_চক্রবর্তী


এটাও মহিলাদের কমন একটা রোগ, উপসর্গ ও উপশম সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করব । 
পফ হল প্রিম্যাচিওর ওভারিয়ান ফেইলিওর ।

কারণ - আপনার ওভারীদুটোর মধ্যে আছে মালার মত সাজানো সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম লাইনিং সেলস । এগুলো পর্যায়ক্রমে নির্দিষ্ট জটিল পদ্ধতিতে আপনার মাসিক একটা ওভাম তৈরী করে , প্রসেসের নাম উজেনেসিস । আরো কাজ আছে, এই মালার মত লাইনিং সেলের মাঝে মাঝে আছে ইন্টারস্টেশিয়াল সেল, এরা আপনাকে নারী করে তোলার প্রধান হরমোন ইস্ট্রোজেন তৈরী করে । 

মাথার পেছনে, হাইপোথ্যালামাস,ও হল মাস্টার,ও সাঙ্গপাঙ্গ দূত পাঠায় ওভারীতে,রাণী রাণী টাইপ অ্যাটিটিউড ওর, ও নিজে প্রত্যক্ষভাবে কিছু করে না, কিন্তু পরোক্ষ প্রভাব সাংঘাতিক । তো, দূত বলতে কিছু কেমিক্যাল রিলিসিং গোনোডাল হরমোন পাঠায়, ওরা সিগন্যাল দিলে ওভারী নিজের কাজ গুলো শুরু করে । মানে ঐ ধরুন ইমম্যাচিওর ফলিকল থেকে গ্র্যাফিয়ান ফলিকল, তা থেকে ওভাম ও ইস্ট্রোজেন তৈরী...তারপর করপাস লুটিয়াম তৈরী, এসব জটিল জটিল ব্যাপার স্যাপার । 

এবার মুশকিল হয়েছে আমাদের হেকটিক লাইফস্টাইল , এই যে রাণী হাইপোথ্যালামাস, এর তো প্রচুর কাজ আছে আরো , ওসব করতে গিয়ে বাইচান্স ও যদি দূত না পাঠায় , আপনার ওভারী কিন্তু কাজ করবে না । করবে না তো করবেই না । কাজ বন্ধ , ও কারখানা লক আউট করে দেবে । তো সবকিছু নরমাল থাকা সত্ত্বেও আপনি তো ওভাম না থাকার জন্য ইনফারটাইল হয়ে যাবেন । এ ঘটনা আরো জটিল, আমি ছোট করে বললাম আর কী, একে বলে প্রি ম্যাচিওর ওভারিয়ান ফেইলিওর । বুঝবেন কীভাবে?


উপসর্গ- ১) কথা নেই বার্তা নেই পিরিয়ড বন্ধ তিন চার মাস, আপনি তো মহানন্দে ভাবছেন বাবাহ্ কষ্ট থেকে মুক্তি , চল্লিশের কোটায় পৌঁছে গেছি, মেনোপজ তো আসছেই, না হয় দুদিন আগেই হল । আরেকটু কম বয়সী হলে ভাবছেন নতুন অতিথি আসছে । অবিবাহিত হলে একটু চিন্তায় পড়ছেন ঠিকই, কিন্তু ইররেগুলার পিরিওড বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন,পরের মাসে হবে বলে দিব্যি নিশ্চিত ।

২)  দুমদাম হাড় ভেঙে যাচ্ছে , পা মচকে গেলেও ভোগাচ্ছে দুমাস , পিরিওড হচ্ছে ব্রাউন স্পট স্পট, ত্বক বেশী রাফ হয়ে যাচ্ছে হঠাৎ ।

৩) আপনি ডিসমেনোরিক নন , অথচ পিরিয়ড হলে হঠাৎ বেদম ব্যথা করছে ।

৪) লো লিবিডো ।

৫) সবচেয়ে বাজে সমস্যা, বোঝা যায় না, পিরিওড নরম্যাল, অথচ রোগটা আপনার হয়েছে , জানতে পারবেন না আপনি ।


রোগের প্রতিকার- লাস্ট সমস্যা দিয়েই শুরু করি, ওটা বোঝা সবচেয়ে কঠিন । আপনার পিরিয়ড এক্সক্রিশনে ব্লাড আছে, ক্লটেড ব্লাডও আছে, অথচ ওভাম নেই , কী মুশকিল! বুঝতেই পারবেন না, তার চেয়ে বরং এককাজ করুন, ডাক্তারের পরামর্শ ছয়মাস অন্তর একবার করে নিয়েই দেখুন । রুটিন চেক আপ হবে । মাঝে মাঝে আপনার পিরিয়ড ব্লাড পরীক্ষাও করতে বলবেন, মাইক্রোস্কোপের নীচে ঠিক ধরা পড়ে যাবে ।
আর আগের পয়েন্ট গুলো হলে দুদিন অবসার্ভ করুন , একই অবস্থা থাকলে সোজা ডাক্তারের কাছে চলে যান ।

মন্তব্যসমূহ

  1. নিকিতা, বেশ অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনিয়মিত ঠিক না, তবে একটু আধটু গোলমাল আমার ও হয়। ডাক্তার ও দেখিয়েছিলাম আগে। ডেট মিস করেছিলাম তাই। উনি বলেছিলেন কোনো অসুবিধা নেই শুধু রোগা হতে হবে। আর এখন মানে কয়েকমাস ধরে দেখছি ব্যথা টা খুব হচ্ছে পিরিয়ড চলাকালীন। তবে প্রথম দিনেই হচ্ছে।

    উত্তরমুছুন
  2. আমার মনে হচ্ছে আপনার ইমেজিং রিপোর্ট করানো দরকার, ওবেসিটি হল সেকেন্ডারী রিসন, প্রাইমারীটা সাপ্রেসড, যার জন্য আপনি ডিসমেনোরিক হচ্ছেন, পিসিওডি হতে পারে । আপনি আপনার গায়েনকলজিস্ট কনসাল্ট করুন, উনি ইউএসজি করে দেখবেন ।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...