একে অন্যকে আলিঙ্গন করলে ক্ষতি কী ?
মাত্র তিনটে দিনের ব্যবধান! শহরটা আবার বড্ড ভালবাসায়
ডুব দিয়েছে। চারিদিকে আলিঙ্গনের হুজুগ।
লাজুকে প্রেমিক –প্রেমিকারাও এখন রাস্তায় একে অন্যকে জড়িয়ে ধরতে ভয় পাচ্ছে
না! আর মেট্রো হলে তো কথায় নেই। মেট্রোতে জড়িয়ে ধরাটা এখন মাস্ট। ফেসবুকে এখন শুধু ‘দাদুদের’ কেচ্ছা। আপাতত
আঁতেল বাঙালির গরম গরম টপিক সেই যুবক-যুবতী।
ঠিক এমন সময় ফোনে পেয়ে গেলাম সিধুদাকে! প্রথমেই
জিজ্ঞাসা করলাম, “ মেট্রোর ঘটনাটা তো নিশ্চয় শুনেছ, তোমার কী প্রতিক্রিয়া ? ‘’
সিধুদা খুব স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন , “ এই সব ঘটনা
খুবই নিন্দনীয়! একে অন্যকে আলিঙ্গন করলে ক্ষতি কী ? এতে অন্য কারুর তো কোনও
অসুবিধা হয়নি।‘’
এখানেই শেষ নয়, সিধুদা আরও জানালেন,“অন্য কেউ যখন
রাস্তায় দাঁড়িয়ে মূত্র ত্যাগ করে, তখন কোথায় থাকেন এই মানুষগুলো ? যখন কোনও
দুর্ঘটনা ঘটে, তখন তো এই মানুষগুলো এগিয়ে আসেন না! শুধু তাই নয়, ইদানীং এত খুনের
ঘটনা ঘটছে, তখন তো এই মানুষগুলো সেই বিষয়েও মাথা ঘামান না।‘’
একটু থেমে সিধুদা বললেন,’’ একজন
প্রেমিক-প্রেমিকা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরলে কিংবা চুমু খেলে তাঁদের আপত্তি! তাও যদি
জোর করে করত, তাহলে অন্য ব্যাপার ছিল। তবে
এখানে এক অন্যের ইচ্ছেতেই পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেছে, তাহলে তাঁদের সমস্যাটা কী
?’’
সবশেষে সিধুদাকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ এমন সময় তোমার কোন
গানটার কথা মনে পড়ছে ?’’
সিধুদা হাসতে হাসতে বলল, “ তুমিও বোঝো আমিও বুঝি,
বুঝেও বুঝি না, তুমিও বলো আমিও বলি তবে সোজাসুজি না এই গানটার কথায় মনে পড়ছে, এই
গানটার একটা লাইন এই সময়ে দাঁড়িয়ে আরও তাৎপর্যপূর্ণ।’’
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “ কোন লাইনটা ?’’
সিধুদা হাসতে হাসতে বললেন, “চেপে রাখা সেক্সে চ-চরিত্র
নষ্ট”
(সাক্ষাৎকার- আদিত্য
ছবি- সিধুদার ফেসবুক পেজ থেকে)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন