সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কীভাবে চিনবেন সারভিসাইটিস না ইউটিআই


                                                  #কীভাবে_চিনবেন_সারভিসাইটিস_না_ইউটিআই

গরম আসছে, মহিলাদের শারিরীক ঝঞ্জাগুলোও লাইন বেঁধে আসছে । তবে একটু সতর্ক থাকলে এই সাধারণ সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পাবেন ।

সারভিসাইটিস ও ইউরিনারি ট্র্যাক্টে ইনফেকশনে উপসর্গের কিছু বেসিক পার্থক্য থাকে, যা জানা থাকলে আপনি নিজে থেকে বুঝতে পারবেন । তারমানে আমি এটা বলছিনা আপনি নিজে মেডিসিন স্টোরে গিয়ে বললে সেখান থেকে যা-ই অ্যান্টিবাইয়োটিক ধরিয়ে দেবে সেটার ওপর ভরসা করে বসে থাকুন । না, এটা কখনও করবেন না । যদি তিনদিনের বেশী জ্বরে ভোগেন, প্যারাসিটামলেও না কমে, ডাক্তারের পর্যবেক্ষণ বাঞ্ছনীয় । এবার চট করে পয়েন্ট ওয়াইজ দেখে নিই উল্লিখিত রোগদুটোর কারন ও উপসর্গ-

১) ধরুন, দুদিনের ওপর বেদম জ্বর, সর্দি নেই,কিন্তু হাই টেম্পারেচার । এটা হাইপারথারমিক কনডিশন । ভাবছেন কমে যাবে, রেস্ট নি,অ্যান্টিপাইরেটিক নিই, ডাক্তারের কী দরকার? আজ্ঞে না, এ ভুল করবেন না । জ্বর কিন্তু আসল রোগ নয়, রোগের বহিঃপ্রকাশ । আপনার শরীরে কোনো অংশে ইনফেকশন হয়েছে, তাই অ্যান্টিজেনের বিরূদ্ধে অ্যান্টিবডির ইমিউনাইজেশনে আপনার তাপমাত্রা বাড়ছে । আপনি বলবেন, গলা নাক তো ঠিক আছে, তবে ল্যারিংক্সাইটিস, সাইনুসাইটিস নেই তো , পেটের সিস্টেম ঠিক আছে, গ্যাস্ট্রোইনটেসটিনাল ইনফেকশন নেই । তো ইনফেকশন হল কোথায়? ইনফেকশন আপনার জেনিট্যালিয়ায় । 
গরমের সময় একটা সমস্যা অনেকের হয়, White discharge.. যোনিপথ দিয়ে ক্রমাগত সাদা সাদা তরল বেরিয়েই যায়, কখনও বর্ণহীন । আপনি পাত্তা দেন না । জমতে থাকে, নিজেই শুকিয়ে যায় । তৈরী করে ব্যাকটেরিয়ার গ্রোথ এনভায়রনমেন্ট । তখন এরোফিলিক প্যাথোজেন গুলো খাবারের সন্ধান পেয়ে বাসা বাঁধে ভ্যাজাইনায়, ও পরে সারভিক্সে । জ্বালা করবে, ইউরিনেশনে কষ্ট হবে , অনেকসময় ভ্যাজাইনা সোয়েল করবে । আর যেটা হবে, ছিটে ফোঁটা রক্ত আসবে, পিরিয়ডের অবশেষ ভেবে ভুল করবেন না । এটা হল, সারভিসাইটিস । আপনার জ্বর ওই সংক্রমনের বহিঃপ্রকাশ । শিগগির গায়েনকলজিষ্টের কাছে যান । বলুন সমস্যাগুলো , উনি আপনার দেহের অবস্থা অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দেবেন । 

২) এবার আসি দ্বিতীয় সমস্যায় । ইউরিনের রং হঠাৎ পাল্টে গেছে, হলদে হচ্ছে, আপনি লিভারের কথা ভেবে গাদা গাদা সেদ্ধ সবজি খাচ্ছেন তখন থেকে । কিন্তু আপনার যে সমস্যা লিভারের নয়, ইউরিনারি ট্র্যাক্টে । কিছুদিন পর দেখছেন অরুচি লাগছে, অবসাদ লাগছে, ঘন ঘন জ্বর আসছে , ইন্টারকোর্সের সময় প্রচন্ড জ্বলছে । মিকচ্যুরিশান (প্রস্রাব) ঠিক করে হচ্ছে না , ফোঁটা ফোঁটা করে হচ্ছে অজান্তেই, কিন্তু ব্লাড আসবে না এক্ষেত্রে । আপনার ইউরিনারি ট্র্যাক্ট দিয়ে শরীরে ঢুকে পড়েছে এরোব্যাসিলাস প্যাথোজেন । এক্ষেত্রে আপনি প্রথমে গায়েনকলজিস্টের কাছে যাবেন, উনি যদি ইউরোলজিস্টের কাছে রেফার করেন তবে তাই করবেন । কয়েকটা কড়া অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন তিনি, পাঁচদিনে ঠিক হয়ে যাবেন ।

আশা করি রিলেট করতে পারবেন । ধন্যবাদ । আরো কোয়্যারী?  কমেন্টে.....

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...