সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

।।ইতি।।-

-------------------------------------------------------------------------------------------MIR ANU

আর দেখা করতে পারবে না পুপুর সাথে এটা যেদিন পুপু কে জানিয়েছিল বাবাই পুপু হতবাক হয়ে বার বার জানতে চেয়েছিল কেন বাবাই এসব বলছে । পুপু-সাহেব এপ্রিল ফুল করার চেষ্টা করিসনা ঢঙ শুধু প্রত্যেকবার ই করার চেষ্টা করিস আলটিমেটলি ধরা ও পরে যাস তাই এবছর খুব প্রাকটিস করে মাঠে নেমেছিস উ আর রিয়েলি মাই লিটল্ কিড ইডিয়ড। আচ্ছা পরশু ৩রা এপ্রিল আমার জম্মদিন ..কি দিবিলে ভালু(বাবাইকে ভালবেসে)
বাবাই- উফফ্ মেম দিস টাইম আই অ্যাম সিরিয়স, যথেষ্ট বড়ো হয়েগেছিস তুই ছেলেমানুষি ছাড়, বি প্র্যাকটিকাল ম্যান...
পুপু প্রচন্ড অবাক হয়ে যায়, তার সাহেব তো এই ছেলেমানুষি গুলো নিয়ে কত খুশি হত আর বলত "এই টিঁয়া পাখি এমনি ছেলেমানুষ ই থাকিস কক্ষন বদলাবিনা(কপালে স্নেহ চুম্বন এঁকে দিয়ে)" আজ খুউউউউবব অচেনা লাগছিল তার সাহেব কে । পুপু নিরুওর হয়ে যায় চুপ করে বসে থাকে বাবাই এর পাশে।
বেশ খানিক পর বলে" হু কেন ডেকেছিস বল তাড়াতাড়ি" 
বাবাই- কিসের তাড়া তোর যে আমাকে উপেক্ষা করে যেতে হবে?
পুপু- ওওও ওটা করার অধিকার তোর একার তাইনা?
বাবাই- আমার মেল এর ওরা আনসার দিয়েছে,দে আর ইনটারেস্টেড.. আমার রিসার্চ টপিক টা ওদের পছন্দ হয়ে গেছে আই আম সিলেক্টেড, সো..
পুপু- যেতে হবে(হাসি)
বাবাই- হ্যাঁ অবভিয়াসলি..দিস অয়াজ মাই ড্রিম মেম হাও ক্যান আই..
পুপু- আর আমাদের স্বপ্ন সাহেব? যেগুলোর স্বাক্ষী ওই রবীন্দ্রসরোবরের গাছপালা গুলো, গভীর রাতের হোয়াটস অ্যাপ র চ্যাট হিস্ট্রী গুলো? স্ক্রিন সটস্ গুলো?
বাবাই- বাট মেম..আই হ্যাব নো আনাদার অপশন।
পুপু- এখানে গবেষণা করা যায় না? দুজনের স্বপ্ন বাঁচত একই শহরে।
বাবাই- নো,,দে হ্যাব নিউ মেশিন হুয়িচ ইস ..
পুপু-মোর ইম্পর্টেন্ট দ্যান মী?
বাবাই-নোট সো ডোনট বি সিলি মেম
হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলে পুপু,
পুপু-দেন কেন যাচ্ছিস সাহেব আমাকে ফেলে? প্লিস যাসনা তুই ছাড়া নিজেকে কল্পনা করতে পারিনা.. এই শহরে তুই ছাড়া একা বাঁচতে পারবনা রে.. যাসনা আমাকে ফেলে শহরে একা, সাহেব আমাকে..
জ্ঞান হারায় পুপু খুব বেশি কষ্ট ,আঘাত কান্নাকাটি করা তার বারন মাইগ্রেন এ আক্রান্ত সে ছোট থেকে তাই খুব কান্নাকাটি করলে মাথা যন্ত্রনা দেয় তার এবং জ্ঞান হারায় সে। বাবাই এরকম আগেও ফেস করেছে দু একবার সেই সেবার কলেজ একসকারশানের সময় পাঁচ দিনের জন্য ডুয়ার্স যাচ্ছিল সে তাতেই কেঁদে চোখের জলে নাকের জলে হয়ে গেছিল... খুব সাধারন মেয়ে পুপু তার ভালবাসার জগতটা বাবাইকে জুড়ে সে চায় বাবাই র কাছে সে খুব স্পেসাল হতে, বাবাই তাকে সবসময় ফিল করাক কতটা ইমপর্টেন্ট সে তার কাছে। বাবাই তাকে কেয়ার করবে,তার খেয়াল রাখবে,হঠাৎ ফোন করে বলবে "আই লা বু টিঁয়া পাখি"
কিন্তু বাস্তবে রোমিও চরিত্র এসটাবলিস্ট করা বোধহয় সম্ভব নয় , তাই সব স্বপ্ন বোধহয় অস্বীকার করে চলে যাওয়া যায়। বাবাই ও রানওয়ে থেকে ছুট্টে আকাশে উড়ে যাওয়া যানে করে বিদেশে দিয়েছিল পাড়ি উপেক্ষা করেছিল পুপুকে।
সাহেব যাসনা.. বলে ধড়ফড় করে উঠে পড়ে পুপু
দেখে মা একপাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছে,পাশে চিন্তিত মুশাফীর হক ডকটর প্রেসার মাপছে ... ভয়ের কিছু নেই খাওয়া দাওয়া করেনি প্রেসার লো,আর ওই কান্নাকাটি করেছে বোধহয় বা টেনশন তাই মাইগ্রেনের জন্যই ঔ সেনসলেস হয়ে গেছে।
পুপু খানিকক্ষন কিছু বুঝতে পারলনা তারপর বুঝল কোর্ট থেকে ফিরে মাথা ঘুরে পড়ে যায় সে,
ডকটর মুশাফীর কে বলল ওষুধ গুলো আনতে আর পুপুকে উদ্দেশ্য করে বলল "আরে রাজা বেটা এরকম করলে চলবে নাকি? আমার ডিভোর্স টাতো তুই করাবি, তাড়াতাড়ি সুস্থ হ" প্রত্যেকবারের মতো একটা চকলেট দিয়ে পুপুকে, আর ওর মাকে কি ইশারা করে বলে যায়। পুপুর মা ও বেরিয়ে যায়, পুপু মাথা নিচু করে আজকের সব কথা আবার ভাবছিল আর চোখ দুটো আবার ভরে যাচ্ছিল জলে ঠিক এমন সময় পুপুর মাথায় একটা হাত যেন কেউ রাখল স্নেহ মাখা সেই হাতটা তার কতদিনের চেনা কিন্ত পেছন ঘুরে তাকে দেখবার মতো সাহস তার হচ্ছিল না। 
মেম..
গলাটা শুনে পুপু কিছু করতে পারেনা সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে পাথর হয়ে যাচ্ছিল পুপুর,
শরীর টা সামনে আসতে পুপু নিজেকে কিছুতেই আর সামলাতে পারেনা চোখ থেকে অশ্রু ধারা বইছে তার
সে আর কেউ না তার সাহেব।
বাবাই- মেম আর একবার ক্ষমা করে কাছে টেনে নে আমাকে আমি সব ছেড়ে তোর কাছে ফিরেছি মেম লক্ষী সোনা আমার
কী? কথা বলবিনা বাবু? শেষবার ক্ষমা কর আমাকে
পুপু অনেকটা সামলে নিজেকে উওর দেয় তাকে
পুপু- উন্নত সেই যন্ত্র গুলোতে বুঝি জঙ পড়ে গেছে? তাই বুঝি....
বাবাই- না মেম কোন যন্ত্র আমাকে তোকে ছেড়ে থাকার যন্ত্রনা থেকে দুরে রাখতে পারেনি ও দেশে সব ছিল তোর হাঁসি ছিলনা,শাসন ছিলনা,
পুপু- সত্যিকারের মেম তো ছিল ফরসা, গোলাপী ঠোঁট,লম্বা
বাবাই-কিন্ত আমার তো পুচকি কৃষ্ণকলি মেম কে দরকার 
পুপু-(প্রচন্ড জোরে কেঁদে উঠে) কেন এসেছিস তুই? চলে যা আমি একা ভালো আছি আমার আর কারোর দরকার নেই কারোর না।
বাবাই- (বুকের মধ্যে চেপে জড়িয়ে নিয়ে) কিন্ত ভালু র তো টিঁয়া পাখির দরকার আছে বোকা..
যে হাত টাকে আজ বিকালে ঝটকা দিয়ে সরিয়ে দিল এখন আর পারছেনা পুপু কোথায় যেন তলিয়ে যাচ্ছে সে.. বাবাই- (চুম্বন দিয়ে ) খুব ভালবাসি বাবু তোকে খুব 
পুপু-কেন ছেড়ে গেছিলিস তবে? কেন বল? 
বাবাই- ভুল করেছি সোনা , মনের কথা শুনিনি মস্তিষ্ক কে প্রাধান্য দিয়েছি ভুল করেছি আর হবেনা বাবু,
পুপু- আর ছেড়ে যাবিনা?
বাবাই- না সোনা প্রমিস্(চুম্বন)
পুপু-উমম না আমার গা ছুঁয়ে বল।
জলে ভরা চোখ নিয়েও হেঁসে ফেলে বাবাই 
বাবাই- এই মেম কে ছুঁয়ে সাহেব কথা দিচ্ছে সে আর কোনদিন যাবেনা
দুজন দুজনকে আঁকড়ে ধরে জোরে..
মসজিদ্ থেকে ভেসে আসে ওয়াকত্ এর শেষ ইশার এর আজান।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...