সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ছাপোষা


----------------------------------------------------------------------------------------------------------(চয়ন পন্ডা মহাপাত্র)

বোকাদের সর্দার আমি, 
সাহসহীন ছাপোষা একলা কবি,
নিজেকে দেখতেই যত ওৎ পেতে থাকে বিব্রত বৃহতী ভয়গ্রস্ততা,
তাই তো তোমার দিকে চাই না, কন্যে,
শুধু চোখ বুজে ভাঙাচোরা এই সড়কের শহরে,
তোমার আনাগোনা শুকে যাওয়া...
.
ট্রাফিক নেই, সিগনালে একঘেয়ে বসে থাকে একপেয়ে কাক,
ওর এক ডানা আজন্ম কল্পিত, এক চোখে ঘুণ,
হা হা হা, ওর জীবন নেই, ও এক কংক্রিটের পুতুল...
.
জীবন নাকি স্বপ্ন? ইচ্ছে না সাহস ?
প্রাণের টান নাকি প্রেমের প্রকাশ ?
.
যখন পাণ্ডুলিপির পাশে সবুজবাতি নিভে যায়,
তেড়ে আসে আশংকা, তবুও অন্ধকারে কবিতা খুলে দেখা,
আবৃত্তি আমি কোনদিনই পারিনি, পড়তেও পারি না অত,
কেঁপে কেঁপে আসে গলা, জড়িয়ে যায় কথামালা,
শঙ্কায় - ভুল উচ্চারণ করলাম না তো তোমায় ?
.
তুমি বরং আমার না হও, আমি শঙ্কায় যাব মরি,
কতটুকু করে সাজাব তোমায়, কতটুকু দেব অঞ্জলি,
কতখানি তোষামোদ তুমি সহ্য করো, আর কততে বিরক্তি,
সে কি আর আমি জানি, হায়, শঙ্কায় যাব মরি...
.
তবু যেন হায়, কম কিছু নয়,
সামান্য হলেও বুকের প্রচ্ছদ নয় খালি,
পুরোটা জুড়ে একলা তোমার তসবির রাখা আঁকি...
.
ঘোর কাটে না, নেশাগ্রস্ত, মাতাল, উন্মাদ আমি,
এ নেশায় জল লাগে না, আগুন জ্বলে না,
শুধু কাপ ভরা ক্যাফেইন, আর বুকের বারান্দায় বই...
.
এ ক্যাফেইন কেটলিতে থাকে না, উনুনে চড়ে না,
এ পুস্তক হাতে লেখা নয়, কাগজে ছাপানো নয়,
এই খানে, হ্যাঁ এইখানে যে নরম নদী বয়,
এইখানে যে অজস্র অব্যক্ত, বিলাপ কথামালা,
তারই ঘষায় সহস্র শতাব্দী ধৈর্যে, সহ্যে আর একনিষ্ঠতায়,
এখানে ক্যাফেইন জন্মায়, বইয়ের মলাট ভারি হয়...
.
কোন দোকানীর নয়, আর কোন মানবী নয়,
একান্ত তুমিই আমার বুকভর্তি ক্যাফেইন,
তুমিই আমার এক নিঃশ্বাসের মহাকাব্য ঠাসা বারংবার পড়া বইখানা...
.
বোকাদের সর্দার আমি, সাহসহীন-শব্দহীন পাঠক,
সিগনালের ক্লান্ত কংক্রিটের কাক,
নেশাগ্রস্ত, মাতাল, উন্মাদ আমি...
.
হুহ, ঘোর আন্ধারে, জানালার ধার ঘেঁষে,
কোন নেশাখোর কতখানি ভারসাম্যহীন রক্ত ঝরালো,
কোন পাঠক কতগুলো পৃষ্ঠা রক্তের অক্ষরে ভেজালো,
তুমি তার খোঁজ রাখবে কোত্থেকে, বোকা কন্যা...
.
আমি যে তোমাতেই বুদ হয়ে আছি,
আমার ঘরে, তোমার ঘোরে...


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...