চারিদিকে জাহাজের ভোঁভোঁ শব্দ, চারিদিকে হইছই, বাচ্ছাদের কিচির-মিচির, কখনও আসছে সাহেবরা আবার কখনও আসছে দাস-দাসী। এই ছিল এক সময়কার চিত্র বাবুঘাটের। সাহেব ও দাসদাসীর আনাগোনা ছাড়া এখনও বাদ বাকি একি আছে।
বাবু রাজচন্দ্র দাসের নামে নামকরন করা এই ঘাট, ১৮৩০ সালে স্তাপিত করেছিলেন রানী রাসমণি। বাব রাজচন্দ্র ছিলেন জানবাজারের জমিদার ও রানী রাসমনির স্বামি। হিন্দুর কাছে গাঙ্গা নদী খুবিই পবিত্র, সেটা সকলেই জানি। সেই সময় একটি বাঁধানো ও পরিষ্কার ঘাটের অভাব ছিল কলকাতায়ে। সেই অভাবই পূরণ করলেন রানী রাসমণি। ঘাটের সিংহ দরজার মুখে বড় মার্বেলের ফলকে লেখা লর্ড বেন্টিকের নাম। সেই সময় তিনি এই প্রয়াসকে অনেক প্রশংসা করেছিলেন। সেই কথাও লেখা আছে মার্বেলের ফলকে। তিনি একটি কল বসিয়েছিলেন যেটি দিয়ে এই অঞ্চল ধোয়ানো হত গঙ্গা থেকে জল নিয়ে।
কর্নেল উডের মানচিত্র অনুযায়ী সতেরো শ চুরাশিতে বাবুঘাটকে ধরা হত দক্ষিন কলকাতার সেশ সীমান্ত। তবে এখন সে সব অতীতের কাহিনী হয়ে রয়েছে। শুধু উজ্জ্বল হয়ে আছে বাঙালির রানী- রানী রাসমনির নাম।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন