সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2019 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আটপৌরের মুখোমুখি অভিনেত্রী বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়

ছোট থেকেই তিনি ভেবেছিলেন যে তাঁকে অভিনেত্রী হতে হবে! শুধু তাই নয় অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিংটাও করতে হবে। তিনি কিন্তু পেরেছেন। যদিও তাঁর জার্নিটা সবে মাত্র শুরু হলেও, তিনি তাঁর অভিনয় ক্ষমতা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। কী ভাবছেন, কার কথা বলছি ?  আপনি কি শকেত ব্যানারজী পরিচালিত ‘ওহ!মাদার’ ওয়েব সিরিজটি দেখেছেন ? কিংবা অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘ ব্যোমকেশ গোত্র’ সিনেমাটি দেখেছেন ? সেই সিনামায় যিনি মীরার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তাঁকে মনে পড়ছে? আজ্ঞে হ্যাঁ, আমি অভিনেত্রী বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়-এর কথা বলছি। তবে তাঁর কাজের ঝুলি এখানেই শেষ নয়, আগামী বছরের শুরুতেই আসতে চলেছে রোহন সেন পরিচালিত ছবি ‘ এভাবেই গল্প হোক’। যেখানে তিনি অন্যতম মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও তথাগত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘ভটভটি’তে তিনি কাজ করছেন। যদিও তাঁর হাতেখড়ি কিন্তু বাংলা ধারাবাহিক দিয়ে। প্রথমে কলকাতায় কাজ শুরু করলেও তিনি কিন্তু পরবর্তী সময়ে কিন্তু পাড়ি দিয়েছেন আরব সাগরের তীরে। হিন্দি ধারাবাহিক ‘ চন্দ্রকান্তা’  তাঁকে দর্শকদের কাছে পরিচিত করেছে। তারপর   তাঁর ‘ওহ!মাদার’-এ...

মিসেস ইন্ডিয়া প্রাইড অফ নেশন উইনার ফেস অফ ইস্ট ২০১৯ হলেন আলোলিকা সারিদে।

তাঁর গল্পটা ফিরে আসার গল্প! শুধুই কি গল্প ? না, এই গল্পগাঁথাটা হয়ত অনেকের কাছেই অনুপ্রেরনা হয়ে যাবে! বাঙালি মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে অনেক স্বপ্ন থাকলেও বিভিন্ন কারণবশত সেই স্বপ্ন পূরণ হয়ে ওঠে না।  কিন্তু কেউ কেউ সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়ে যায়, কেউ কেউ সেই লড়াইয়ে জয়ী হয়ে ওঠে আবার কেউবা মাঝপথেই সেই লড়াই ছেড়ে চলে যায়।   আলোলিকা সারিদে (আরায়না) সেই জয়ী মুখগুলোর মধ্যে একজন। তাঁর সোজাসাপটা ভাবভঙ্গিই বলে দেয় যে তিনি লড়াই করতে এসেছেন। তিনি কোনও মতেই হার স্বীকার করতে প্রস্তুত নয়। কোনও ভাবেই তিনি তাঁর স্বপ্নের সঙ্গে কমপ্রমাইজ করতে প্রস্তুত নয়। তিনি হয়ত অনেকের কাছেই এখন আদর্শ, তবে তাঁর এই সাফল্যে তিনি বিন্দুমাত্র আবেগতাড়িত নয়। বরং তিনি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান। আরও আরও পথ পেরিয়ে একদম স্পটলাইটের নীচে এসে দেখিয়ে দিতে চান, আমিও পারি। কী ভাবছেন ? কার এত প্রশংসা করছি। তাহলে একটু ভেঙে বলি। মিসেস ইন্ডিয়া প্রাইড অফ নেশন উইনার ফেস অফ ইস্ট ২০১৯ হলেন আলোলিকা সারিদে। শুধু তাই নয়, বোল্ড অ্যান্ড বিউটিফুল সাব টাইটেলরও উইনার হয়েছেন আলোলিকা। সম্প্রীতি গুরগাও আয়োজিত বিবাহিত নার...

' অদ্ভুতম' সত্যিই এক অদ্ভুত প্রচেষ্টা!

বাংলা ব্যান্ডের তালিকায় ঠিক কতগুলো ইনসটুমেন্টাল ব্যান্ড আজও বুক ফুলিয়ে তাঁদের বাজার ধরে রাখতে পেরেছে, সেই নিয়ে কিন্তু তর্ক থাকতেই পারে, হয়ত আছেও। তবে ‘ অদ্ভুতম’ যে সেই বাংলা ব্যান্ডের তালিকায় বেশ কিছুটা উপরের দিকে আছে, সেই নিয়ে কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই। আবার কেউ কেউ তো তাঁদের একদম ‘সেরা’ বলেও তকমা দিয়েছেন। যদিও শুধু বাংলা ব্যান্ডের তালিকায় বললে যদিও কিছুটা ভুল বলা হবে। কারণ তাঁদের তো কোনও গণ্ডি নেই, নেই কোনও পিছুটান। ভাষার দাপটকে দূরে ঠেলে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছে অগণিত দর্শকদের মধ্যে। সারা ভারত দাপিয়ে এসেছে এই ‘ অদ্ভুতম’ এই তিন দামাল যুবক। জিতে নিয়েছে অজস্র জাতীয় স্তরের পুরস্কার। তাঁদের ঘরনার নাম ‘রাগা-রক ফিউশান’ এবং তাঁদের বিশেষত্ব হল ‘অরিজিনালস’ অর্থাৎ নিজেদের তৈরি মিউজক। ২০১৪ সালে তৈরি হয় ‘অদ্ভুতম’। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে শ্রোতারা তাঁদের চিনতে শুরু করেন। তাঁদের কাজ ধীরে ধীরে সবার প্রশংসার পেতে শুরু করে। ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের সঙ্গে পাশ্চাত্য সঙ্গীতের অপূর্ব মেলবন্ধন তাঁদেরকে সেরার সেরা করে তোলে। তবে ‘ অদ্ভুতম’-এর সদস্য সোমক সিনহাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ শ্রোতারা কি শুধুমাত্র ইনসটুমেন...

''আজকাল তো যে টিকটকে ভিডিও বানাচ্ছে সেও নিজেকে অভিনেতা ভাবছে: আনন্দ চৌধুরী''

কর্পোরেটের কচকচানি থেকে সোজা বাংলা ধারাবাহিকের মেলোড্রামা! লেগ স্ট্যাম্পের গুগলিকে এগিয়ে এসে সোজা মাঠের বাইরে বল পাঠিয়ে হাসতে হাসতে অভিনেতা আনন্দ চৌধুরী বলছেন, ‘’ এই তো জীবন, যাক না যেদিকে যেতে চাক!’’ কী ভাবছেন ? কাকে নিয়ে এত প্রশংসা করছি ? তাহলে একটু ভেঙে বলি। আপনি কি বাংলা ধারাবাহিকের একজন নিয়মিত দর্শক ? তাহলে আপনি নিশ্চয় আনন্দ চৌধুরীকে চিনবেন। এই মুহূর্তে ‘ চুনি-পান্না’ ধারাবাহিকে তিনি অয়নের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু ‘চুনি-পান্না’ কেন ? তাঁর ঝুলিতে রয়েছে আরও জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক। ‘ আমি সিরাজের বেগমে’ তিনি সৌকত-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ‘ ভক্তের ভগবান শ্রী কৃষ্ণ’ ধারাবাহিকে তিনি সানন্দ-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ‘ মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য’ ধারাবাহিকে তিনি রত্নেস্বর-এর চরিত্রে তাঁকে আমরা দেখতে পেয়েছি। এছাড়াও ‘ঝিল ডাঙ্গার কন্যাতে’ তিনি বিদ্যুৎ-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এখানেই শেষ নয়, রোহন সেনের ছবি ‘ এভাবেই গল্প হোক’ এবং সুমন মৈত্রের ছবি ‘ অ’ আগামী বছরের শুরুতেই আসতে চলেছে।   এই দুটি সিনেমায় অন্যতম মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন আনন্দ চৌধুরী। ছোটথেকেই অভিনয় করার শখ থাকলেও...

অভিনেত্রী মৌসুমি স্যানাল দাশগুপ্ত 'কেদারা' নিয়ে কী জানালেন আটপৌরেকে, জেনে নিন

তিনি বেশ সাবলীল এবং মিষ্টি। তাঁর এই ছয় বছরের কেরিয়ারের ঝুলিতে যতই সিনেমা থাক না কেন, দর্শক কিন্তু তাঁকে এখনও পর্দার বাইরে সেইভাবে চিনে উঠতে পারেনি। তবে এই না পারাটা কিন্তু তাঁর কাছে আরও আশার পথ খুলে দিয়েছে। তিনি যদিও এই নিয়ে একদম চিন্তিত নন বরং আরও আরও ভাল কাজ করার আশা রয়েছে তাঁর মনে। তিনি তাঁর অভিনয় দক্ষতা দিয়ে ইতিমধ্যে দর্শকদের বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া! কী ভাবছেন ? কার নামে এত প্রশংসা করছি ? তাহলে এবার একটু খুলে বলি। আপনি ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘ কেদারা’ দেখেছেন? সেখানে ‘মেনকা’- এর চরিত্রে যে মেয়েটি অভিনয় করেছে, তাঁকে খেয়াল আছে ? আমি কিন্তু সেই মেয়েটিরই কথা বলছি। শুধু ‘কেদারা’ নয়, এছাড়াও ‘কল্পতরু’, ‘দূরে কোথাও’, ‘স্বর্গে ডিস্ক’,- এর মতো সিনেমায় তিনিই ছিলেন লিড রোল! এখানেই শেষ নয়, ‘মন তোকে চায়’, ‘শেষ সংবাদ’- এর মতো ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তিনি বাংলাদেশেও কাজ করেছেন। ‘বয়ফ্রেন্ড’, ‘ বাজে ছেলে দ্য লোফার’-এর মতো ওপার বাংলার ছবিতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। এছাড়া ‘ মন্টু পাইলট’ নামক ওয়েব সিরিজেও তাঁকে দেখা যাবে। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের আগামী ছবি ‘ আগুন্তুক’-এ তিনি ...

‘’ সুযোগ পেলে আমি রাজনীতিতে আসতে ইচ্ছুক!’’

‘’ অ্যান্ড মাইলস টু গো বিভোর আই স্লীপ ’’! হ্যাঁ , এটাই আপাতত অপ্সরা গুহঠাকুরতার বীজমন্ত্র । এখন ‘’ মিসেস উওম্যান অফ দ্য ইউনিভার্স’’-এর খেতাব রয়েছে তাঁর মাথায়। তবে এই প্রতিযোগিতায় তিনি তৃতীয় হলেও, তিনি তাঁর দেশকে গর্বিত করেছেন। অক্টোবর মাসের ১৪ থেকে ১৮ তারিখ অবধি ডোমেনিক রিপাবলিকে বসেছিল এই প্রতিযোগিতার আসর। সেই প্রতিযোগিতায় তিনি তৃতীয় হয়ে তাঁর স্বপ্নের সিঁড়ির আরও একধাপ উপরে উঠে গেলেন। এর আগে ২০১৮ সালে তিনি পেয়েছিলেন ‘’ মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স আর্থ’-এর খেতাব। তবে তাঁর চলার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না! তাঁকে অনেক পিছুটান ছেড়ে আজকে এই জায়গায় আসতে হয়েছে। একসময়ে দীর্ঘদিন শিক্ষাকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তারপর এসেছেন মডেলিং জগতে। নিজেকে প্রতিনিয়ত গ্রুম করেছেন। তবে এখানেই শেষ নয়, তিনি ‘জ্যাজ নেলস’ নামে একটি নেল স্টুডিও খুলেছেন। যুক্ত রয়েছেন এনজিও-এর সঙ্গে। এছাড়াও নৃত্যকলা তাঁর রক্তে মিশে রয়েছে। তাঁর আজ এই সাফল্যের জন্য তিনি বারবার ধন্যবাদ দিয়েছেন তাঁর পরিবার, স্বামী এবং তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের। তবে তাঁর মুখে বারবার শোনা গিয়েছে তাঁর স্বামীর কথা।  তিনি বলেছেন, ‘’ ও আজ পাশে না থ...

'বিউটিফুল' কি নয়না গঙ্গোপাধ্যায়ের নিজের জীবনেরই গল্প ? কী জানালেন অভিনেত্রী, জেনে নিন

‘’ কোথায় আছেন , কলকাতা না মুম্বই ?’’ অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বললেন , ‘’ হায়দ্রাবাদ !’’ থমকে জিজ্ঞাসা করলাম , ‘’ হায়দ্রাবাদ কেন ? কলকাতা - মুম্বই ছেড়ে সোজা ফিল্ম সিটি ?’’ অভিনেত্রী আবারও হাসতে হাসতে বললেন , ‘’ ‘ বিউটিফুল ’- এর কিছু শুটিং এখনও বাকি আছে , সেইগুলো শেষ করতেই এখানে আসা !’’ কিছু বুঝতে পারলেন ? কোন অভিনেত্রীর কথা বলছি বলুন তো ? একবার ইউটিউবে ‘বিউটিফুল’ লিখে সার্চ করে দেখতে পারেন! তাহলে বুঝতে পারবেন কে সেই অভিনেত্রী! আর যদি সার্চ নাইবা করতে চান তাহলে   ‘বিউটিফুল’ শব্দটি শুনে আপনার মাথায় এই মুহূর্তের কোন অভিনেত্রীর কথা মনে পড়ছে ? বাংলার সিঙ্গেল ছেলেদের মনে ছক্কা হাঁকানো ‘কিরণময়ী’কে এখন বাংলার দর্শক ভোলেননি। আর ভোলার কথাও নয়! কারণ অভিনেত্রী নয়না গঙ্গোপাধ্যায়-এর একের পর এক কাজ যে দর্শককে মোহিত করেছে। শুধু বাংলা ইন্ড্রাস্টি নয়, হিন্দি, তামিল, তেলেগু জগতেও তিনি এখন একজন তারকা! কী একটু বেশী বলে ফেললাম ? অভিনেত্রী শুনে কিন্তু রাগ করতে পারে! তবে তিনি রাগ করলেও আমার কিছু করার নেই কারণ তিনি তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে অনেক দূরে পৌঁছে গিয়েছেন এবং আরও আরও দূরে যেতে চান। ...

'তিনকন্যা' জিতে নিল দুটি পুরস্কার

সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা আবার খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি তাঁর অভিনীত ‘তিনকন্যা’ কাল্ট ক্রিটিক আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জয়ী হল। এছাড়াও ভার্জিন স্প্রিং সিনেফেস্টে ‘গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ জিতে নিয়েছে তিনকন্যা। পরপর দুটো পুরস্কার পেয়ে বেশ আনন্দিত এই সিনেমার অভিনেত্রী সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, ইতিমধ্যে আরও একটি সিনেমার শুটিং-এ ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। আতিউল ইসলাম পরিচালিত নতুন "চাতক’’-এর কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। ছবিটি প্রযোজনা করেছে "এ আর প্রোডাকশন"। মূল কাহিনী লিখেছেন রাশিদুল ইসলাম এবং চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন তানবির কাজি। সামাজিক টানাপোড়ন এবং সম্পর্কের বিভিন্ন স্তর হল এই ছবির মূল বিষয়। নারীকেন্দ্রিক এই সিনেমায় প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করছেন সায়ন্তনী। এছাড়াও অন্যান্য প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন সমদর্শী দত্ত, বিশ্বনাথ বসু, অনুরাধা রায়, প্রমুখ। সংগীত পরিচালনা করছেন শ্রাবণ। সিনেমায় গান গেয়েছেন  অনুপম রায়।  ( ছবি অভিনেত্রীর থেকে সংগৃহীত) 

পুজো প্রেম নিয়ে কী জানালেন অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য, জেনে নিন

তাঁর লক্ষ্মী প্রতিমার মতো মুখশ্রী। গুণেও তিনি স্বরস্বতীর থেকে কম নয়। চোখগুলোয় একটা অদ্ভুত মায়া আছে যেন, টোল পড়া গালে আছে সবসময় ভাল থাকার প্রতিশ্রুতি। তিনি হয়ত আদর্শ বাঙালী নারী, তিনিই হয়ত একজন আদর্শ বাঙালী বধূ হওয়ার যোগ্য। এতক্ষণ ধরে যা লিখলাম, সেগুলো যদিও আমার নিজের কথা না, এগুলো বাঙালী দর্শকদের অভিব্যক্তি। নিশ্চয় আপনারা আন্দাজ করতে পেরেছেন আমি কার কথা বলছি। অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য কিন্তু বাঙালী পুরুষদের জন্য আদর্শ ‘ক্রাশ’। অভিনেত্রী আমার ফোন পাওয়ার কারণ জানতে পেরে হাসতে হাসতে বললেন, ‘’পুজো প্রেম নিয়ে কিন্তু আমার তেমন কোনও অভিজ্ঞতা নেই!’’ আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ বলেন কী! আপনার পুজো প্রেম নিয়ে কোনও অভিজ্ঞতা নেই ?’’ তিনি একটু থেমে বললেন, ‘’ আছে, মানে ওই আর কী! সব বাঙালীদেরই থাকে।‘’ বুঝলাম, অভিনেত্রী ভাঙবেন তবুও মচকাবেন না! তিনি জানালেন, ‘’ আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। আর আমরা পাড়ার বন্ধুরা মিলে এই পুজোর সময় বেশ মজা করতাম। আমারা আবার সব পাড়ায় ঘুরে ঘুরে অঞ্জুলি দিতাম!’’ আমি একটু থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ কেন ? বিশেষ কাউকে খোঁজার জন্য নাকি ?’’ অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বললেন, ...

পুজো প্রেম নিয়ে কী জানালেন অভিনেত্রী পৌলমী দাস, জেনে নিন

বাংলা সিনেমার জগতে নাকি ভাল দেখতে ছেলের খুব অভাব! অন্তত দুর্গা পুজোর সময় একজন ভদ্র দেখতে ছেলের সঙ্গে হাতে হাত দিয়ে ঘোরার মতো নাকি মোটে তিন-চারজনই আছে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। যদিও এটা আমার ব্যক্তিগত কথা নয়, বাংলা সিনেমার অধিকাংশ অভিনেত্রীর গলায়ই এক সুর। আর সেই সুরে সুর মিলিয়ে অভিনেত্রী পৌলমী দাসও বললেন, ‘’ ঠিক প্রেমিক প্রেমিক বলতে কিন্তু ওই তিন- চারজনই আছে।‘’ এবার প্রশ্ন হল কারা কারা এই তিন-চারজন? আমি কিছু বলব না, আপনাদের কোর্টে বলটা ঠেলে দিলাম, আপনারাই ভেবে নিন। আমার ফোন পাওয়ার কারণটা জানতে পেরে তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ ওই সব বাঙালীরই পুজোর সময় একটু প্রেম প্রেম ভাব থাকে। একে ঝাড়ি মারা থেকে ওর গায়ে ফুল ছোঁড়া এসব তো লেগেই থাকে। আবার কাউকে ভাল লেগে গিয়ে তার পিছনে ধাওয়া করা কিংবা চোখের ইশারাই কথা বলা, এসব অভিজ্ঞতা আমারও আছে। তবে ওইটুকুই, এর বেশি কিছু নয়।‘’ জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ কোনও স্পেশাল কিছু মনে পড়ছে না।‘’ তিনি একটু ভেবে বললেন, ‘’ তখন হয়ত স্কুলে পড়ি। আমার এক বন্ধুর পিসতুতো ভাইয়ের সঙ্গে পুজোর সময় আলাপ হয়েছিল। তখন আমিও বেশ পাড়ার কালচারাল ব্যাপারে থাকতাম। তাই অনেকেই আমাকে ...

'' এই পুজোর জন্য একটা প্রেমিক খুঁজে দিতে পারেন ?’’

সদ্য শেষ হয়েছে ধারাবাহিক ‘ বিজয়িনী’। কিন্তু ‘কেকা’ ম্যাডাম যে এখনও ব্যস্ত। প্রথমে ফোনটা বেজে গেল। যদিও তার কিছুক্ষণ পরেই তিনি নিজেই ফোন করে বললেন, ‘’ দুঃখিত, আপনার ফোনটা খেয়াল করিনি।‘’ আমি কিছু বলার আগের তিনি আবার বললেন, ‘’ জানেন তো আপনি বেশ লাকি, মাঝে মাঝে ফোন করতে পারেন তো!’’ একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম! অভিনেত্রী কি আমার সঙ্গে মশকরা করছেন ? ঠিক বুঝতে না পেরে তাঁকে পাল্টা জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ ব্যাপারটা কী বলুন তো?’’ অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ এটা পরবর্তী সাক্ষাৎকারের জন্য তোলা থাক!’’ যাই হোক এরপর সরাসরি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ পুজোর সময় কখনও প্রেমে পড়েননি?’’   তিনি সোজাসাপটা ভাষায় জানালেন, ‘’ আমি বড্ড কুঁড়ে! এই পুজোর জন্য একটা প্রেমিক খুঁজে দিতে পারেন ?’’ আবার একটা বাউন্সার দিলেন অভিনেত্রী, এ বাউন্সারের ঠেলায় আমি প্রায় পড়েই যাচ্ছিলাম এবং এ প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। শুধু আমি কেন আমার মতোন হাজার হাজার বাঙালী পুরুষের কাছে নেই।   তবে পুরো আশাহত করেননি তিনি। তাঁর কলেজ জীবনের একটা পুজো প্রেমের কাহিনী শোনালেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘’ কলে...

''যে ছেলে নিজে প্রস্তাব দিতে পারে না, সে আবার কী প্রেম করবে? ’’

অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার নতুন করে পরিচয় দেওয়ার দরকার আছে কি ? তিনি প্রায় সারাদিনই খবরের শিরোনামে । কখনও সিনেমার চরিত্রে কিংবা কখনও অমুক রেস্তোরাঁর উদ্বোধনে । এখানেই শেষ নয় , এছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শুট থেকে উষ্ণ ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলা , সবকিছুই যেন সায়ন্তনী ছাড়া বৃথা । তবে প্রেমের প্রশ্ন নিয়ে কিন্তু তিনি বরাবরই খুব ডিফেনসিভ । খুব ভেবেচিন্তে উত্তর দেন এই ব্যাপারে । ইতিমধ্যেই পুজোর ফটোশুট নিয়ে তিনি খুব ব্যস্ত । তার মধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করে ফেললাম , ‘’ আচ্ছা পুজোর সময় আপনি কোনওদিন প্রেমে পড়েননি ?’’ অভিনেত্রী একটু ভেবে বললেন , ‘’ না ! আমি পড়িনি । তবে আমার প্রেমে একটা ছেলে পড়েছিল । ‘’ জিজ্ঞাসা করলাম ‘’ তারপর ?’’ তিনি হাসতে হাসতে বললেন , ‘’ তারপর আর কী ? ছেলেটি একেবারে পিছলে পড়ে গেল । ‘’ এই হেঁয়ালির উত্তর আমার আজানা ! আমার নীরবতা দেখে অভিনেত্রী নিজে থেকেই সব কথা খুলে বললেন । তাঁর কথায় , ‘’ তখন আমি ছোট । কোন ক্লাসে পড়ি তাও ঠিক খেয়াল নেই । তবে দিনটা ছিল অষ্টমীর সকাল । শাড়ি পরে অঞ্জুলি দিতে এসেছি । একটা ছেলে অঞ্জুলি দেওয়ার সময় ঠাকুরের দিকে ফ...

'' ভাল প্রেম করলে, শরীর এবং মন দুটোই ভাল থাকে!’’

দুর্গা পুজো এবং বাঙালীর প্রেম অনেকটা সিলেবাসে থাকা পড়ার মতো । অর্থাৎ পড়তে হয় নয়ত পিছলে পড়তে হয় । এমন কোনও বাঙালী নেই যে দুর্গা পুজোর সময় প্রেমে পড়েনি । আসলে দুর্গা পুজোর সময় বাঙালীর প্রেমে পড়া একটা বিরাট আবেগ , একটা ভাললাগা এবং একটা ভালবাসা । সেই আবেগটা কিন্তু ভাষায় প্রকাশ করা যায় না । সেই মুহূর্তগুলো বলে বোঝানো যায় না । মডেল - অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা দে তাঁর পুজো প্রেমের কথা বলতে গিয়ে একটু নস্টালজিক হয়ে পড়লেন , স্মৃতির সরণি দিয়ে ফিরে গেলেন তাঁর ফেলে আসা ছোটবেলার কথায় । কী ভাবছেন ? প্রিয়াঙ্কা দে কে ? তাহলে একবার ব্যাক গিয়ার দিয়ে ফিরে যান জাস্ট কিছুদিন আগের কথায় । সোশ্যাল মিডিয়ার যিনি তাঁর উষ্ণ ছবি দিয়ে ঝড় তুলেছিলেন , আমি তো একবার মশকরা করে বলেছিলাম , ‘’ এই বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য কিন্তু আপনিই দায়ী । ‘’ শুধু উষ্ণ ছবি কেন ? আপনি মহালয়া সিনেমাটি দেখেছিলেন ? তাও যদি না দেখে থাকেন , তাহলে বলব অঞ্জুলি জুয়েলারস - এর বিজ্ঞাপনের সেই মেয়েটিকে খেয়াল আছে ? এতক্ষণে আশা করি আপনি বুঝে গিয়েছেন আমি কার কথা বলছি । প্রিয়াঙ্কা জানালেন তাঁর কাছে পুজো প্রেমগুলো বেশ মজাদার ছিল । তখ...