সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পুজো প্রেম নিয়ে কী জানালেন অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য, জেনে নিন


তাঁর লক্ষ্মী প্রতিমার মতো মুখশ্রী। গুণেও তিনি স্বরস্বতীর থেকে কম নয়। চোখগুলোয় একটা অদ্ভুত মায়া আছে যেন, টোল পড়া গালে আছে সবসময় ভাল থাকার প্রতিশ্রুতি। তিনি হয়ত আদর্শ বাঙালী নারী, তিনিই হয়ত একজন আদর্শ বাঙালী বধূ হওয়ার যোগ্য। এতক্ষণ ধরে যা লিখলাম, সেগুলো যদিও আমার নিজের কথা না, এগুলো বাঙালী দর্শকদের অভিব্যক্তি। নিশ্চয় আপনারা আন্দাজ করতে পেরেছেন আমি কার কথা বলছি। অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য কিন্তু বাঙালী পুরুষদের জন্য আদর্শ ‘ক্রাশ’।

অভিনেত্রী আমার ফোন পাওয়ার কারণ জানতে পেরে হাসতে হাসতে বললেন, ‘’পুজো প্রেম নিয়ে কিন্তু আমার তেমন কোনও অভিজ্ঞতা নেই!’’ আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ বলেন কী! আপনার পুজো প্রেম নিয়ে কোনও অভিজ্ঞতা নেই ?’’ তিনি একটু থেমে বললেন, ‘’ আছে, মানে ওই আর কী! সব বাঙালীদেরই থাকে।‘’ বুঝলাম, অভিনেত্রী ভাঙবেন তবুও মচকাবেন না!

তিনি জানালেন, ‘’ আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। আর আমরা পাড়ার বন্ধুরা মিলে এই পুজোর সময় বেশ মজা করতাম। আমারা আবার সব পাড়ায় ঘুরে ঘুরে অঞ্জুলি দিতাম!’’ আমি একটু থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ কেন ? বিশেষ কাউকে খোঁজার জন্য নাকি ?’’ অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ না না, তেমন কিছু না!’’ যদিও এই রহস্যটা রহস্যই থেকে গেল। একমাত্র ব্যোমকেশ ছাড়া কেউ  এই রহস্য উদ্ধার করতে পারবে না লে মনে হয়।

তিনি আবার বললেন, ‘’ আমাদের পাশের পাড়ায় অঞ্জুলি দিতে গেছি। বেশ শাড়ি পরে সেজেগুজে সব বন্ধুরা মিলে অষ্টমীর সকালে মজা করছি। এমন সময় এক কাকিমা হঠাৎ আমার কাছে এসে বলে, ‘ তোমাকে না আমার খুব ভাল লাগে। তোমাকে আমার ছেলের বউ করার খুব ইচ্ছে।’ আমি তো প্রথমে শুনে তাজ্জব হয়ে গিয়েছি। আমার তো ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচির অবস্থা!’’ একটু থেমে তিনি বললেন, ‘’ সেই কাকিমা আমার বাবার কাছেও গিয়েছিলেন বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। পরে শুনেছিলাম তিনি নাকি আমার বাবার পরিচিত। তবে বাবা এক বাক্যে সে প্রস্তাব খারিজ করে দেন।‘’



জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’পুজোর সময় আপনার কাউকে পছন্দ হয়নি?’’ তিনি একটু ভাবুক হয়ে জানালেন, ‘’ না, তেমন কাউকে তো হয়নি। তবে যাদের পছন্দ হয়েছিল, তাদেরকে গিয়ে বলার সাহস হয়নি। শুধু বলেছিলাম, ‘ আপনার পাশে একটু বসতে পারি?’ ব্যস, এইটুকুই!’’

‘’ এইবারের পুজোটা কোন বাঙালী অভিনেতার সঙ্গে কাটাতে চাইবে ?’’ তিনি একবাক্যে উত্তর দিলেন, ‘’ আবীরদা!’’     সবশেষে জানতে চাইলাম, ‘’ আপনি কি এখনও সিঙ্গেল ?’’   উনি বললেন, ‘’ সবাই ভাল থাকবেন। দুর্গা পুজোর আগাম শুভেচ্ছা রইল।‘’ বুঝলাম এই রহস্যটা ব্যোমকেশ বাবু ছাড়া কেউ সমাধান করতে পারবেন না।

( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...