অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার নতুন করে পরিচয় দেওয়ার দরকার আছে কি? তিনি প্রায় সারাদিনই খবরের শিরোনামে। কখনও সিনেমার চরিত্রে কিংবা কখনও অমুক রেস্তোরাঁর উদ্বোধনে। এখানেই শেষ নয়, এছাড়াও বিভিন্ন
ব্র্যান্ডের শুট থেকে উষ্ণ ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলা, সবকিছুই যেন সায়ন্তনী ছাড়া বৃথা।
তবে প্রেমের প্রশ্ন নিয়ে কিন্তু তিনি বরাবরই খুব ডিফেনসিভ। খুব ভেবেচিন্তে উত্তর দেন এই ব্যাপারে। ইতিমধ্যেই পুজোর ফটোশুট নিয়ে তিনি খুব
ব্যস্ত। তার মধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করে ফেললাম, ‘’ আচ্ছা পুজোর সময় আপনি কোনওদিন প্রেমে
পড়েননি ?’’ অভিনেত্রী একটু ভেবে বললেন, ‘’ না! আমি পড়িনি। তবে আমার প্রেমে একটা ছেলে পড়েছিল।‘’ জিজ্ঞাসা করলাম ‘’তারপর?’’ তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ তারপর আর কী? ছেলেটি একেবারে পিছলে পড়ে গেল।‘’
এই হেঁয়ালির উত্তর আমার আজানা! আমার নীরবতা দেখে অভিনেত্রী নিজে থেকেই সব কথা খুলে বললেন। তাঁর কথায়, ‘’ তখন আমি ছোট। কোন ক্লাসে পড়ি তাও ঠিক খেয়াল নেই। তবে দিনটা ছিল অষ্টমীর সকাল। শাড়ি পরে অঞ্জুলি দিতে এসেছি। একটা ছেলে অঞ্জুলি দেওয়ার সময় ঠাকুরের দিকে ফুল না ছুঁড়ে আমার দিকে ফুল ছুঁড়ছে। প্রথমে ঠিক বুঝতে পারিনি। সেই ছেলেটি পরে একটি মেয়েকে দিয়ে প্রেমের
প্রস্তাব পাঠায়। আমি সরাসরি না করে দিয়ে বলি, যে ছেলের নিজের বলার ক্ষমতা নেই, সে আবার কী প্রেম করবে!’’
সেই দিন যদি সায়ন্তনী যদি হ্যাঁ বলে বসত, তাহলে কিন্তু আজ গল্পটা অন্য হত পারত। কে জানে, বেচারা সেই ছেলেটি
সায়ন্তনীর মধ্যে কোনও দেবীকে দেখে ফুল ছুঁড়ে ছিল কিনা কে জানে। সেই রহস্যটাও বারমুডা ট্রাইআঙ্গেল মতো রহস্যই থেকে গেল।
জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ এইবারের পুজোটা কোন বাঙালী অভিনেতার সঙ্গে কাটাতে চাইবে?’’ তিনি সোজাসাপটা ভাবে বললেন, ‘’আবীরদা!’’ একটু থমকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ দাদা!’’ সায়ন্তনী হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ হ্যাঁ, বয়সে বড় তাই!’’ সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ কোন প্রিয় পুরুষের সঙ্গে এই পুজোয় সময়
কাটাতে চাইবে।‘’ সায়ন্তনী একবারে ছক্কা হাঁকানোর মতো
করে বললেন, ‘’ শাহরুখ খান!’’
( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন