সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

'' ভাল প্রেম করলে, শরীর এবং মন দুটোই ভাল থাকে!’’



দুর্গা পুজো এবং বাঙালীর প্রেম অনেকটা সিলেবাসে থাকা পড়ার মতো অর্থাৎ পড়তে হয় নয়ত পিছলে পড়তে হয় এমন কোনও বাঙালী নেই যে দুর্গা পুজোর সময় প্রেমে পড়েনি আসলে দুর্গা পুজোর সময় বাঙালীর প্রেমে পড়া একটা বিরাট আবেগ, একটা ভাললাগা এবং একটা ভালবাসা সেই আবেগটা কিন্তু ভাষায় প্রকাশ করা যায় না সেই মুহূর্তগুলো বলে বোঝানো যায় না মডেল-অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা দে তাঁর পুজো প্রেমের কথা বলতে গিয়ে একটু নস্টালজিক হয়ে পড়লেন, স্মৃতির সরণি দিয়ে ফিরে গেলেন তাঁর ফেলে আসা ছোটবেলার কথায়

কী ভাবছেন? প্রিয়াঙ্কা দে কে ? তাহলে একবার ব্যাক গিয়ার দিয়ে ফিরে যান জাস্ট কিছুদিন আগের কথায় সোশ্যাল মিডিয়ার যিনি তাঁর উষ্ণ ছবি দিয়ে ঝড় তুলেছিলেন, আমি তো একবার মশকরা করে বলেছিলাম, ‘’ এই বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য কিন্তু আপনিই দায়ী ‘’ শুধু উষ্ণ ছবি কেন? আপনি মহালয়া সিনেমাটি দেখেছিলেন ? তাও যদি না দেখে থাকেন, তাহলে বলব অঞ্জুলি জুয়েলারস-এর বিজ্ঞাপনের সেই মেয়েটিকে খেয়াল আছে? এতক্ষণে আশা করি আপনি বুঝে গিয়েছেন আমি কার কথা বলছি



প্রিয়াঙ্কা জানালেন তাঁর কাছে পুজো প্রেমগুলো বেশ মজাদার ছিল তখন তিনি ক্লাস সিক্স কিংবা সেভেন পাড়ার পুজো মণ্ডপে কাউকে হঠাৎ ভাল লেগে গেলো, তারপর তার সঙ্গেই পুজোর বাকি দিনগুলো কেটে যেত তবে তাঁর কথায়, ‘’ ওই প্রেমগুলো দশমী অবধি টিকত। খুব বেশি হলে ওই লক্ষ্মী পুজো।‘’ তবে তিনি প্রেমের কথা বলতে বলতে হঠাৎ বললেন, ‘’ ভাল প্রেম করলে, শরীর এবং মন দুটোই ভাল থাকে!’’ একটু থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপনার কি শরীর এবং মন দুটোই এখন ভাল আছে ?’’ তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ আসলে কাজটাই এখন আমার প্রেম।‘’ যদিও রহস্যটা কিন্তু পুরোটা উদ্ঘাটন হল না।

তিনি আরও জানালেন যে, ‘’ একবার তো একটা ছেলেকে আমার খুব পছন্দ হয়ে গিয়েছিল। ছেলেটাকে গিয়ে আমিই প্রস্তাব দিয়ে ফেলি। তারপর একটি মেয়ে এসে আমাকে বলল, ‘’তুমি আমার আগে ওকে কেন প্রস্তাব দিয়েছ?’’ একটু থেমে হাসতে হাসতে তিনি বললেন, ‘’ তারপর তো আমাদের মধ্যে হেব্বি ঝগড়া!’’


তিনি আরও জানালেন যে, ‘’তবে এখনও পুজো আসে এবং চলে যায় কিন্তু ওই ছোটবেলার সেই মজাটা এখন আর নেই।‘’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ কোন বাঙালী অভিনেতার সঙ্গে এইবারের পুজোটা কাটাতে চাইবে?’’ প্রিয়াঙ্কা বললেন, ‘’ যীশুদা!’’ বিস্ময়ের সঙ্গে বললাম, ‘’ যীশু দা?’’ ফোনের ওপার থেকে শুধু হাসির শব্দ পেলাম।


( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...