সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

’'মঞ্চটা আমার কাছে স্কুল, তাঁর টেলিভিশনটা অনেকটা অফিসের মতো!’'




কিছু মানুষ আছেন যারা শুধুমাত্র অভিনয়টা করে যেতে চান! অভিনয়টাকে ভালবেসে আরও আরও দূরে এগিয়ে যেতে চান। তাদের কোনও পিছুটান নেই জীবনে, কোনও বিশেষ চরিত্রের প্রতি নেই কোনও মোহ। যারা লাইম লাইটের জন্য ভাবেন না, ভাবেন শুধুমাত্র অভিনয়ের জন্য। মানালী চক্রবর্তী কিন্তু সেই মানুষগুলোর একজন, যারা শুধুমাত্র অভিনয় করতে এসেছেন  ‘ স্টার’ হতে নয়।  
ছোট থেকেই অভিনয় করার শখ ছিল তাঁর, ইচ্ছে ছিল লাইম লাইটের নীচে এসে দাঁড়ানোর। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ওই ছোটবেলার ইচ্ছেগুলো কেমন বড়ো হয়ে গেল। তিনি আরও পরিণত হয়ে উঠে ভাবলেন, আমাকে অভিনয়টা করে যেতে হবে। ব্যস, এইটুকুই তাঁর প্রাপ্তি।

নিজের বাড়ির উঠোন থেকেই তাঁর সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয়, তারপর আস্তে আস্তে অভিনয় জগতে আসা। তাঁর কেরিয়ার শুরু কিন্তু বাংলা ধারাবাহিক দিয়ে। ২০০৭ সালে জি বাংলায় ‘বিষপ্রান্তর’ দিয়ে তিনি প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন। তারপরে করেছেন, ‘ লাল ত্রিকোণ’, ‘শেষ রক্ষায়’। ২০০৯ সালে রিলিজ করে তাঁর প্রথম অভিনীত বাংলা ছবি ‘রাজদ্রোহী’।  তপন ব্যানার্জীর পরিচালনায় তিনি এই ছবির জন্য পেয়েছেন ‘ বেঙ্গল ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট ফিমেল ডেবিউট’। এছাড়াও বাংলায় ‘ বিসর্গ’ ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। বাংলার পাশাপাশি কাজ করেছেন হিন্দি ছবিতে। ‘লাকিরে’, ‘জেএল ৫০’, ‘ ইওরস ট্রুলি’,-এর মতন ছবিও রয়েছে তাঁর কেরিয়ারের ঝুলিতে। এখানেই শেষ নয়, কাজ করেছেন বিভিন্ন শর্ট ফ্লিমে।

তবে ক্যামেরার সামনে অভিনয় করলেও তিনি কিন্তু মঞ্চেও বেশ সাবলীল। এখনও অবধি প্রচুর নাটকে কাজ করেছেন তিনি। তাঁর ভাষায়, ‘’ মঞ্চটা আমার কাছে স্কুলের মতো, তাঁর টেলিভিশনটা অনেকটা অফিসের মতো!’’ তবে শুধু অভিনয় নয়, লেখার ব্যাপারেও তাঁর কোনও খামতি নেই। উর্দু এবং হিন্দি ভাষায় তিনি কবিতা লিখতে পারদর্শী।

সামনেই তাঁর অভিনীত একটি বলিউড ছবির রিলিজ আসন্ন। তিনি কলকাতেই থেকেই বলিউডে কাজ করতে চান। তাঁর ভাষায়, ‘’ কলকাতায় থেকে আমি দুটো ভাষায় কাজ করছি, এটাই আমার কাছে বড় পাওনা।‘’ তবে তিনি কিন্তু মুম্বই-এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ মুম্বই-এর মতো সেফ সিটি আমি আর একটাও দেখিনি। মুম্বই-এর ব্যাপারটাই আলাদা। তা বলে কিন্তু কলকাতাকে আমি কখনই ছোট করিনি, কলকাতাও আমার কাছে ‘সেফ’!‘’

সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপনি কি হ্যাপিলি সিঙ্গেল ?’’  তিনি উত্তর দিলেন, ‘’ হ্যাঁ, একদম!’’ আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ কেমন মানুষ খুঁজছেন ?’’ তিনি হাসতে হাসতে জানালেন, ‘’ যে আমার চোখ দেখেই আমার মনের সমস্ত কথা পড়ে দেবে।‘’  

( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ 
ছবি- সংগৃহীত) 
  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...