‘’
এক জনে বসে বসে ছবি আঁকে একমনে, ও রে মন
আরেক
জনে বসে বসে রঙ মাখে!’’
কলকাতাকে যারা প্রতিদিন একটু একটু
করে নিজের মতো গড়ে তুলেছে, সেই মানুষগুলোর কথা না বললেই নয়। যারা প্রতিদিন তাদের
তুলির মাধ্যমে একটার পর একটা ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন, যারা একটার পর একটা দেওয়ালে এঁকে
গিয়েছেন তাদের স্বপ্ন, সেই মানুষগুলোই যে আসল কারিগর। তারাই তো আগামী কলকাতার
রূপকথা।
পৌলমী গুহ ছোট থেকেই রঙ-তুলি
ভালবাসেন। ভালবাসেন ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলতে তার স্বপ্ন। তবে আর্ট কলেজে ভর্তি না
হতে পারার একটা ক্ষোভ তার মধ্যে এখনও আছে। তিনি ভেবেছিলেন যে যদি আর্ট কলেজে ভর্তি
হয়েও কিছু না করতে পারেন তাহলে, আবার পাশাপাশি তখন তার পরিবারও অতটা তার কথা আমল
দেয়নি। তাই বোটানি অনার্স শেষ করেই শিখে ফেলেছিলেন ইনটেরিয়র ডিজাইনের কাজ। এখানেই
শেষ নয় শিখেছিলেন গ্রাফিক্সের কাজও।
সেই থেকেই তাকে আর পিছনে ফিরে
তাকাতে হয়নি। ফুটিয়ে তুলেছেন একের পর ছবি। ফ্ল্যাটের দেওয়াল থেকে বাড়ির দেওয়াল,
পুজো প্যান্ডেল থেকে সিনেমার আর্ট ডিরেকশান, গ্রাফিক্সের কাজ থেকে ক্যানভাস!
সর্বত্রই অবাধ বিচরণ তার।
নিজের একটি টিমও বানিয়ে ফেলেছেন
তিনি। নাম দিয়েছেন, ‘ বিয়ন্ড দ্য ব্রাশ’। একটার পর একটা কর্পোরেট কাজ থেকে
ব্যক্তিগত কাজ সব নিয়ে এই মুহূর্তে ভীষণ ব্যস্ত পৌলমী। এছাড়াও এইবারের ভবানীপুর সার্বজনীন দুর্গা উৎসবের প্যান্ডেলের ভাবনা এবং রূপায়নের
দায়িত্বে আছেন তিনি।
পাশাপাশি বাংলা সিনেমার জগতেও তিনি পা দিয়ে ফেলেছেন। এর
মধ্যেই বেশ কিছু সিনেমায় আর্ট ডিরেকটরের সহযোগী হিসেবে কাজ করে ফেলেছেন। তবে তিনি
আরও আরও কাজ করে যেতে চান। তার এই বিগত চার বছরের কাজের নিরিখে আরও আরও বড় কাজ
করতে চান। ছবিতে ছবিতে ফুটিয়ে তুলতে চান আরও স্বপ্ন।
( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন