সদ্য শেষ হয়েছে ধারাবাহিক ‘ বিজয়িনী’। কিন্তু ‘কেকা’
ম্যাডাম যে এখনও ব্যস্ত। প্রথমে ফোনটা বেজে গেল। যদিও তার কিছুক্ষণ পরেই তিনি
নিজেই ফোন করে বললেন, ‘’ দুঃখিত, আপনার ফোনটা খেয়াল করিনি।‘’ আমি কিছু বলার আগের
তিনি আবার বললেন, ‘’ জানেন তো আপনি বেশ লাকি, মাঝে মাঝে ফোন করতে পারেন তো!’’ একটু
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম! অভিনেত্রী কি আমার সঙ্গে মশকরা করছেন ? ঠিক বুঝতে না
পেরে তাঁকে পাল্টা জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ ব্যাপারটা কী বলুন তো?’’ অভিনেত্রী
স্বস্তিকা দত্ত হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ এটা পরবর্তী সাক্ষাৎকারের জন্য তোলা থাক!’’
যাই হোক এরপর সরাসরি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ পুজোর সময়
কখনও প্রেমে পড়েননি?’’ তিনি সোজাসাপটা
ভাষায় জানালেন, ‘’ আমি বড্ড কুঁড়ে! এই পুজোর জন্য একটা প্রেমিক খুঁজে দিতে পারেন
?’’ আবার একটা বাউন্সার দিলেন অভিনেত্রী, এ বাউন্সারের ঠেলায় আমি প্রায় পড়েই
যাচ্ছিলাম এবং এ প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। শুধু আমি কেন আমার মতোন হাজার
হাজার বাঙালী পুরুষের কাছে নেই। তবে পুরো
আশাহত করেননি তিনি। তাঁর কলেজ জীবনের একটা পুজো প্রেমের কাহিনী শোনালেন তিনি।
তাঁর কথায়, ‘’ কলেজের তখন ফার্স্ট ইয়ার। আমার সদ্য ব্রেক আপ
হয়েছে আর তার দু’মাস পরেই পুজো। আমি শুধু ভাবছি বাকিরা সবাই বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে
ঘুরবে আর আমি একা একা কী করব ? অবশেষে একটা ছেলের ওপর জোর করে ক্রাশ খেয়ে দুর্গা
পুজোর শুরুতেই তাঁকে পটিয়ে ফেললাম। আমার ওই পুজোর দিনগুলোর একটা সঙ্গীর দরকার ছিল
ব্যস। যদিও সে প্রেম নবমীতেই বিসর্জন হয়ে গেছে।‘’ একটু থেমে তিনি হাসতে হাসতে
বললেন, ‘’ আসলে পুজোর দিনগুলোয় মণ্ডপে দাঁড়িয়ে ঝাড়ি না মারলে নিজেকে আসলে বাঙালী
বলে মনেই হয় না। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হল আমি এখন পুজোর সময় নয় কলকাতার বাইরে
থাকি অথবা আমার শুট কিংবা শো পরে। তাই আর ওই ব্যাপারটা ঠিক হয়ে ওঠে না।‘’
জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ পুজোটা কোন বাঙালী অভিনেতার সঙ্গে
কাটাতে চাইবে ?’’ তিনি জানালেন, ‘’ যীশুদা! উনি বেশ পাঞ্জাবী-পায়জামা পরে আসবেন আর
আমি হাঁ করে তাকিয়ে থাকব!’’ সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপনি কি এখনও সিঙ্গেল না
কমিটেড ?’’ উনি বললেন, ‘’ টাটা, ভাল থাকেবন!’’
( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন