সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

'বিউটিফুল' কি নয়না গঙ্গোপাধ্যায়ের নিজের জীবনেরই গল্প ? কী জানালেন অভিনেত্রী, জেনে নিন



‘’ কোথায় আছেন, কলকাতা না মুম্বই ?’’ অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ হায়দ্রাবাদ!’’ থমকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ হায়দ্রাবাদ কেন? কলকাতা-মুম্বই ছেড়ে সোজা ফিল্ম সিটি ?’’ অভিনেত্রী আবারও হাসতে হাসতে বললেন , ‘’ ‘বিউটিফুল’-এর কিছু শুটিং এখনও বাকি আছে, সেইগুলো শেষ করতেই এখানে আসা!’’

কিছু বুঝতে পারলেন ? কোন অভিনেত্রীর কথা বলছি বলুন তো ? একবার ইউটিউবে ‘বিউটিফুল’ লিখে সার্চ করে দেখতে পারেন! তাহলে বুঝতে পারবেন কে সেই অভিনেত্রী! আর যদি সার্চ নাইবা করতে চান তাহলে  ‘বিউটিফুল’ শব্দটি শুনে আপনার মাথায় এই মুহূর্তের কোন অভিনেত্রীর কথা মনে পড়ছে ? বাংলার সিঙ্গেল ছেলেদের মনে ছক্কা হাঁকানো ‘কিরণময়ী’কে এখন বাংলার দর্শক ভোলেননি। আর ভোলার কথাও নয়! কারণ অভিনেত্রী নয়না গঙ্গোপাধ্যায়-এর একের পর এক কাজ যে দর্শককে মোহিত করেছে। শুধু বাংলা ইন্ড্রাস্টি নয়, হিন্দি, তামিল, তেলেগু জগতেও তিনি এখন একজন তারকা! কী একটু বেশী বলে ফেললাম ? অভিনেত্রী শুনে কিন্তু রাগ করতে পারে! তবে তিনি রাগ করলেও আমার কিছু করার নেই কারণ তিনি তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে অনেক দূরে পৌঁছে গিয়েছেন এবং আরও আরও দূরে যেতে চান।



সম্প্রতি ‘বিউটিফুল’-এর ট্রেলর ঝড়ের মতো শেয়ার হচ্ছে! রাম গোপাল ভরমা-এর ‘রঙ্গিলা’ কথা মনে পড়ে ? ১৯৯৫ সালের সেই বিখ্যাত ছবির সিক্যুয়েল হল এই ‘বিউটিফুল’। এই সিনেমার মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন আমাদের বাংলার নয়না গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়াও এই সিনেমায় দেখা যাবে পার্থ সুরিকে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অগস্থ মঞ্জু। খুব সম্ভবত এই বছরের শেষেই মুক্তি পেতে চলেছে এই সিনেমাটি।

এই সিনেমার ট্রেলরে যদিও কোনও ডায়লগ নেই, তবে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কিন্তু দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। সিনেমার গল্পের ব্যাপারে তেমন কিছু বলতে না চাইলেও অভিনেত্রী আটপৌরেকে জানালেন যে, ‘’ একটা প্রেমের গল্প! একটু অন্য রকমের প্রেম। পুরো সিনেমাটি আমরা একটা একটা ছবির মতো করে ভেবে শুট করেছি। একটা সাধারণ ঘরের মেয়ে কীভাবে নিজের সাফল্যে পৌঁছে যায় তাঁর সবকিছু পিছুটান ছেড়ে, সেটাই এই গল্পে দেখানো আছে। তবে আরও অনেক টুইস্ট আছে, যেটা জানার জন্য হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখতে হবে।‘’



জিজ্ঞাসা করলাম, এটাই কি আপনার জীবনের গল্প। অভিনেত্রী কিছুটা চুপ থেকে জানালেন, ‘’ আমার জীবনে কোনও প্রেম নেই! তবে কিছুটা হলেও আমার গল্প। আমি আমার পরিবারকে বড্ড মিস করি, কলকাতাকে বড্ড মিস করি। আমিও এইভাবে স্ট্রাগেল করতে করতে আজ এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি। অনেক পিছুটান ছেড়ে এসেছি।‘’ কথাগুলো বলতে বলতে অভিনেত্রী একটু ইমোশানাল হয়ে পড়লেন।

এছাড়াও এই বছরেই তাঁর আরও একটি ছবি ‘জোহার’ আসতে চলেছে। এখানেই শেষ নয়, তিনি জানালেন যে ফেব্রুয়ারি অবধি তিনি ভীষণ ব্যস্ত। জিজ্ঞাসা করলাম , ‘’ আর কী কী কাজ আসতে চলেছে ?’’তিনি হাসতে হাসতে জানালেন যে, ‘’ পিকচার তো আভি বাকি হে মেরে দোস্ত!’’    

( ছবি- সংগৃহীত
সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ ) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...