‘’ অ্যান্ড মাইলস টু গো বিভোর আই স্লীপ’’! হ্যাঁ, এটাই আপাতত অপ্সরা গুহঠাকুরতার বীজমন্ত্র। এখন ‘’ মিসেস উওম্যান অফ দ্য ইউনিভার্স’’-এর খেতাব রয়েছে তাঁর মাথায়। তবে এই
প্রতিযোগিতায় তিনি তৃতীয় হলেও, তিনি তাঁর দেশকে গর্বিত করেছেন। অক্টোবর মাসের ১৪
থেকে ১৮ তারিখ অবধি ডোমেনিক রিপাবলিকে বসেছিল এই প্রতিযোগিতার আসর। সেই
প্রতিযোগিতায় তিনি তৃতীয় হয়ে তাঁর স্বপ্নের সিঁড়ির আরও একধাপ উপরে উঠে গেলেন। এর
আগে ২০১৮ সালে তিনি পেয়েছিলেন ‘’ মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স আর্থ’-এর খেতাব।
তবে তাঁর চলার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না! তাঁকে অনেক পিছুটান ছেড়ে আজকে এই জায়গায়
আসতে হয়েছে। একসময়ে দীর্ঘদিন শিক্ষাকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তারপর এসেছেন
মডেলিং জগতে। নিজেকে প্রতিনিয়ত গ্রুম করেছেন। তবে এখানেই শেষ নয়, তিনি ‘জ্যাজ নেলস’
নামে একটি নেল স্টুডিও খুলেছেন। যুক্ত রয়েছেন এনজিও-এর সঙ্গে। এছাড়াও নৃত্যকলা
তাঁর রক্তে মিশে রয়েছে। তাঁর আজ এই সাফল্যের জন্য তিনি বারবার ধন্যবাদ দিয়েছেন
তাঁর পরিবার, স্বামী এবং তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের। তবে তাঁর মুখে বারবার শোনা গিয়েছে
তাঁর স্বামীর কথা।
তিনি বলেছেন, ‘’ ও আজ পাশে না থাকলে এতদূর হয়ত আসতে পারতাম না। ‘’
তবে প্রথম না হওয়ার দুঃখ থাকলেও, তিনি বলেছেন, ‘’ এতদূর তো আসতে পেরেছি। এটাই
অনেক। তবে হ্যাঁ দুঃখ কিছুটা আছে। সবাই চায় প্রথম হতে। কিন্তু যাদের সঙ্গে আমার
লড়াই ছিল, তারাও কম কিছু নয়।‘’
এছাড়াও তিনি বললেন, ‘’ আরও যদি কিছু স্পন্সর এগিয়ে
আসত তাহলে বেশ ভাল হত। এই বিরাট প্রতিযোগিতায় লড়তে লেগে সবকিছু ভাল রাখতে হবে। সেই
জন্য অর্থের প্রয়োজন।‘’
জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ এর পর কি সিনেমা ?’’ তিনি হাসতে হাসতে জানালেন, ‘’ আপাতত
তেমন কিছু ঠিক করিনি! তবে ভাল স্ক্রিপ্ট পেলে নিশ্চয় করব। চেষ্টা করব মডেলিং এবং
অভিনয় পাশাপাশি চালানোর।‘’
আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপনি কি রাজনীতিতে আসতে ইচ্ছুক?’’ তিনি একটু ভেবে
বললেন, ‘’ সুযোগ পেলে আমি রাজনীতিতে আসতে ইচ্ছুক!’’ একটু থেমে তিনি আরও বললেন, ‘’ আমার
মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছে আছে। আমি সবসময় চাইব যুব সমাজ রাজনীতিতে এগিয়ে আসুক।
সমাজের ভাল করুক।‘’
জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ কোন বিশেষ দলের প্রতি আগ্রহ আছে কি ?’’ তিনি হাসতে হাসতে
বললেন, ‘’ সবই কি এখন বলে দেব ?’’ তারপর ফোনের ওপার থেকে শুধু হাসির শব্দ
পেলাম।
( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন