সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অভিনেত্রী মৌসুমি স্যানাল দাশগুপ্ত 'কেদারা' নিয়ে কী জানালেন আটপৌরেকে, জেনে নিন



তিনি বেশ সাবলীল এবং মিষ্টি। তাঁর এই ছয় বছরের কেরিয়ারের ঝুলিতে যতই সিনেমা থাক না কেন, দর্শক কিন্তু তাঁকে এখনও পর্দার বাইরে সেইভাবে চিনে উঠতে পারেনি। তবে এই না পারাটা কিন্তু তাঁর কাছে আরও আশার পথ খুলে দিয়েছে। তিনি যদিও এই নিয়ে একদম চিন্তিত নন বরং আরও আরও ভাল কাজ করার আশা রয়েছে তাঁর মনে। তিনি তাঁর অভিনয় দক্ষতা দিয়ে ইতিমধ্যে দর্শকদের বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া!



কী ভাবছেন ? কার নামে এত প্রশংসা করছি ? তাহলে এবার একটু খুলে বলি। আপনি ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘ কেদারা’ দেখেছেন? সেখানে ‘মেনকা’- এর চরিত্রে যে মেয়েটি অভিনয় করেছে, তাঁকে খেয়াল আছে ? আমি কিন্তু সেই মেয়েটিরই কথা বলছি। শুধু ‘কেদারা’ নয়, এছাড়াও ‘কল্পতরু’, ‘দূরে কোথাও’, ‘স্বর্গে ডিস্ক’,- এর মতো সিনেমায় তিনিই ছিলেন লিড রোল! এখানেই শেষ নয়, ‘মন তোকে চায়’, ‘শেষ সংবাদ’- এর মতো ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তিনি বাংলাদেশেও কাজ করেছেন। ‘বয়ফ্রেন্ড’, ‘ বাজে ছেলে দ্য লোফার’-এর মতো ওপার বাংলার ছবিতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। এছাড়া ‘ মন্টু পাইলট’ নামক ওয়েব সিরিজেও তাঁকে দেখা যাবে। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের আগামী ছবি ‘ আগুন্তুক’-এ তিনি অভিনয় করেছেন।



এতক্ষণ যাকে নিয়ে এত কথা বলছি, তাঁর নামটাই বলা হয়নি! কী কাণ্ড ভাবুন তো! মৌসুমি স্যানাল দাশগুপ্ত-এর সত্যিই মনে হয় শনির দশা চলছে। কেন ? বুঝতে পারলেন না ? দাঁড়ান একটু ভেঙে বলি। মৌসুমির কথায়, ‘’ আমি কেদারা দেখতে গিয়েছি। বেশ প্রত্যাশা নিয়ে দেখছি। আমার পাশে বসে থাকা একজন ভদ্রমহিলাও দেখালাম বেশ উৎসাহের সঙ্গে সিনেমাটি উপভোগ করলেন। সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, কেমন লাগল? উনি বললেন বেশ ভাল! তারপর উনি পাল্টা জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত ? আমি একটু আশ্চর্য হয়ে বললাম, আমিই মেনকার চরিত্রে অভিনয় করেছি। এটা শুনে মনে হল উনি বিশ্বাসই করলেন না!’’ একটু থেমে তিনি আরও বললেন যে, " মেনকার এমন একটা চরিত্রে অভিনয় করা আমার জন্য বেশ বড় ব্যাপার। এই জন্য ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা বিপরীতে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ এর অভিনেতারা অভিনয় করেছেন। সেই জায়গায় আমি ম্যানোকার চরিত্রে অভিনয় করেছি। ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল।"



মডেলিং দিয়ে কেরিয়ারের হাতেখড়ি। তাঁর আগে যদিও কলেজ লাইফে তিনি নাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারপর ঘটনাচক্রে সিনেমার অফার পাওয়া এবং তারপর বাকিটা তো জানা! কিন্তু তিনি এইটুকুতে শান্ত থাকার পাত্রী নন, তিনি আরও আরও ভাল কাজ করতে চান। আরও অনেক দর্শকদের মন জয় করতে চান।



অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর একটি ‘বিউটি এবং স্পা’-এর ব্যবসাও আছে। সময় পেলে তিনি তাঁর পরিবার নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়ে যান। সবশেষে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপনি বাংলা সিনেমার কোন প্রিয় পুরুষের সঙ্গে ডেটে যেতে চান ?’’ তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘’ যীশু!’’ পাল্টা প্রশ্ন করলাম, ‘’ আপনি কি বিবাহিত ?’’ তিনি হাসতে হাসতে বললেন, '' সেটা সারপ্রাইস থাক !''

( সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত) 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...