সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

স্বপ্ন নয়, আজ একটা প্রশ্নের অযাচিত আনাগোনা চলছে মেয়েটার আধোঘুমে। কে বেশী বিষাক্ত? বিষ?


#বিষ

তোমায়,
             ঘুমিয়ে পড়েছ? হয়তো তাই। আমিই জেগে আছি একা। অনেক প্রশ্ন আসছে মনে। হাসনুহানার মাতাল গন্ধ ভেসে আসছে দামাল হাওয়ায়। এই দেখো, খেই হারিয়ে ফেলেছি কেমন যেন।
       জানো তো, আজ সেই মেয়েটার কথা মনে পড়ছে। সেই যে, সেই পাগলী মেয়েটা। হয়তো মনে আছে তোমার, নেশার ঘোরে মেয়েটা আধোঘুমে দেখত, একটা হাত - আদর করে দিচ্ছে, ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে খুব যত্নে। সে দেখত, একটা ঠোঁট - নিকোটিনের গহীন গভীরতা তাতে, ছুঁয়ে যাচ্ছে তার উত্তপ্ত কপাল। ভোর হলে ঘুম এসে যেত, ঠান্ডা হাতের আদুরে উষ্ণতায়।

    তোমার কথায় সেই ক্ষণিকের সুখটুকু বিসর্জন দিল সে। একেবারে বর্জন করল সব। ভাবল, বাঁচবে নতুন করে। ভাবল, তাহলে হয়তো হাতটা সত্যিই আসবে একদিন, বাস্তবের স্পর্শে!
     আজও মেয়েটা ঘোরের মধ্যে। নেশা নয়, প্রবল জ্বরে হুঁশ থাকছেনা আজ। তুমি আজ খুব ব্যস্ত, সময় নেই একটুও। পাশে থাকা সম্ভব নয়, তাই virtual একটু বকুনিই চেয়েছিল সে। তবে তোমার যে বড্ড তাড়া আজ।
   
 সেই হাতটা যেন বড় দূরে সরে যাচ্ছে তার থেকে। মনে আছে তোমার, মেয়েটা ট্রেনের whistle শুনলেই বলত ওর পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করে? বাঁধনছাড়া বাউন্ডুলের মত? আজ রাতের নিস্তব্ধতা ভেদ করে ওই আওয়াজটা তার বুকে এসে বিঁধছে। হয়তো শেষ ট্রেনে বাড়ি ফিরতে সবাই চায়, হয়তো দিনের শেষে খড়কুটোর বাসায় মাথা গুঁজতে সেও চায়।
        নেশার effect পড়ছে শরীরে। তারই কি ছোঁয়াচ লাগল অভিমানী মনে? তাই কি এই বিষের দহন চলছে সারা শরীর জুড়ে? তাই কি...?
     
 স্বপ্ন নয়, আজ একটা প্রশ্নের অযাচিত আনাগোনা চলছে মেয়েটার আধোঘুমে। কে বেশী বিষাক্ত? বিষ? না তুমি? না ভালোবাসার গোলাপের কাঁটার আঘাতের গ্যাংগ্রিন? মেয়েটা জিজ্ঞেস করছে আমায়। কি বলি? নিজেই তো জানিনা গো। আমার যে আফিমী প্রেমের নেশায় সয়ে গিয়েছে মুখোশধারী সাপেদের বিষও, তাতেই খুঁজেছি নতুন প্রেম। ডুবেছি সুখটানের আবেশে। ঠিক যেভাবে সেই টুকরো স্বপ্নগুলো মেয়েটাকে হিমেল আবেশে জড়িয়ে রাখে। কি বলছি ছাই জানিনা! যাই হোক, হেমলকের অভিমানও হয়তো বিষাক্ত। আচ্ছা যদি তুমি নীলকণ্ঠ হতে? হেমের নীলকণ্ঠ? তবুও কি এমনই বিষাক্ত হত তোমার প্রেম? কি জানি! তুমি কি জানো? জানলে উত্তর দিও তো। না জানলেও। তোমার অবহেলার চেয়ে বেশী নেশার খোরাক যে যোগায় তোমার ক্ষণিকের কাছে আসা.....।

 - অপেক্ষারতা
    হেম

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...