সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নতুন ধারাবাহিক ‘হৃদয়হরণ বিএ পাশ’ নিয়ে কী জানালেন রোশনি, জেনে নিন




তিনি কোনওদিন ভাবেননি যে অভিনয় করবেন। শুধু অভিনয় নয়, কোনও ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রও যে হয়ে উঠতে পারেন, সেটাও তাঁর কল্পনাতীত। তবে এই মুখ্য চরিত্র হয়ে ওঠার আগে অবধি কিন্তু তাঁকে অনেক বাধা পেরোতে হয়েছে, শুনতে হয়েছে ‘চোর’ অপবাদও। তবে তিনি থেমে যাননি। জেদ ছিল মনে, তাই তিনি সমস্ত বাধাগুলো পেরিয়ে গিয়েছেন অনায়াসে। অভিনেত্রী রোশনি তন্বী ভট্টাচার্য এখন ‘ হৃদয়হরণ বিএ পাশ’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে।

আগে অভিনেত্রীর সঙ্গে পরিচয় ছিল না। তাই ফোনটা করতেও একটু ইতস্তত  বোধ করছিলাম, কিন্ত ফোনটা করার পর সেই ইতস্তত ভাবটা একদমই কেটে গেল। একটা মিশুকে ব্যবহার ভুলিয়েই দিল যে আমরা অপরিচিত!

অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ অভিনয় না করলে কী করতেন ?’’ অভিনেত্রী হাসতে হাসতে উত্তর দিল, ‘’ ওষুধ তৈরি করতাম। আমি তো ফার্মাসী নিয়ে পড়াশুনা করেছি তাই কোনও একটা ওষুধ তৈরির কোম্পানিতে কাজ করতাম! কিন্তু মায়ের ইচ্ছে ছিল আমি অভিনয় করি।‘’ অভিনেত্রীকে একটু থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ বাংলা সিরিয়াল নিয়ে এত যে ব্যঙ্গ হয়, সেই নিয়ে আপনি কী বলবেন?’’ রোশনি বললেন, ‘’ হ্যাঁ, সেটা তো হয়ই। আর যারা বেশি ব্যঙ্গ করে তারাই কিন্তু বাংলা সিরিয়াল সবচেয়ে বেশি দেখে। ‘’



আবার জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ একটা নির্দিষ্ট বয়সের দর্শকই তো সিরিয়াল বেশি দেখে, সেখানে তো কোনও যুবক কিংবা যুবতী সিরিয়াল খুব একটা পছন্দ করে না!’’  অভিনেত্রী স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন, ‘’না, এটা আমি মনে করি না। আমাদের ‘ হৃদয়হরণ বিএ পাশ’ এর ট্রেলর যখন বেরোয় তখন অনেক ছোটরাও সেই ট্রেলর দেখে বেশ খুশি হয়েছে। অনেকে সেই ড্যান্স স্টেপ নকল করেছে বলেও শুনেছি।‘’

রোশনি তন্বী ভট্টাচার্য –এর জীবনের টারনিং পয়েন্ট শুরু হয় সেইদিন, যেদিনকে তাঁকে ‘চোর’ অপবাদ শুনতে হয়। অভিনেত্রীর থেকে জানা গেল, একদিন একটি শুটিং-এ তাঁরই সঙ্গে কাজ করছিল অন্য একটি মেয়ে। শুটিং চলাকালীন হঠাৎই সেই মেয়েটির পায়ে একটি লোহার চেয়ার পড়ে যায়। সেই মেয়েটির পায়ে বরফ দেওয়ার জন্য তিনি তাকে অন্য একটি একটি মেকআপ রুমে নিয়ে যান। সেই সময় একজন বলেন, “তোরা এখানে কী করছিস, চুরি করছিস ?’’। সেই কথাটা শোনার পর থেকেই রোশনির জেদ চাপে।

তারপর একের পর এক অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেন রোশনি । আস্তে আস্তে নিজেকে তৈরি করেছেন অভিনেত্রী  রোশনি তন্বী ভট্টাচার্য। তারপর অবশেষে তিনি এখন‘ হৃদয়হরণ বিএ পাশ’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে।  তবে তিনি এই সবকিছুর কৃতিত্ব দিতে চান প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে। এর আগেও তাঁর সঙ্গে দুটো প্রজেক্টে ( আদরিণী এবং বাক্সবদল) কাজ করেছেন তিনি। তবে এবার সেই সবকিছু ছাপিয়ে একেবারে মুখ্য চরিত্রে।

তিনি আটপৌরেকে জানালেন, ‘’একসময় জুনিয়র আর্টিস্ট ছিলাম, সেটা স্বীকার করতে কোনও অসুবিধে নেই। আমি এখনও শিখছি এবং অনেক কিছু শেখার বাকি ।‘’  আগামী ১৩ আগস্ট থেকে জি বাংলায় দেখা যাবে ‘ হৃদয়হরণ বিএ পাশ’ ঠিক রাত ১১টায়।

অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেল, খাওয়ার ব্যাপারেও তাঁর তেমন কোনও ফ্যাসিনেশন নেই।  ঘুরতে যাওয়ার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলাম ,‘’ পাহাড় না সমুদ্র?’’ অভিনেত্রী বললেন, ‘’ সমুদ্র। সমুদ্রের প্রতিটা  ঢেউ যেন আমায় বলে আরও এগিয়ে যাও।‘

রোশনিকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ প্রেম নিয়ে কী বলবেন?’’ হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন, ‘’ এখন আমি সিঙ্গেল। একটা সময় প্রেম এসেছে আবার চলেও গেছে আর এখন যা কাজের চাপ তাতে প্রেম হবে না!’’অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘’ আপনার হৃদয়হরণ করতে গেলে পাত্রের কী কী গুন থাকতে হবে ?’’  রোশনিকে বললেন, ‘’ প্রথমত তাকে এসট্যাবলিস হতে হবে। তারপর তার পারসোনালিটি থাকতে হবে আর এবং তাকে আমার চেয়ে একটু লম্বা হতে হবে, নয়ত কেমন ভাই ভাই লাগবে!’’ ফোনের ওপার থেকে তখন শুধু হসির শব্দ পেলাম।

(সাক্ষাৎকার- আদিত্য 
ছবি- সংগৃহীত)
   


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...