সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এই ধারাবাহিকে অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীকে দেখা যাবে গৌরীর ভূমিকায়

কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী নিজের জন্মদিন পেরিয়ে এসেছেন। সেই জন্মদিনের রেশ এখনও লেগে আছে। আর এইবারের জন্মদিনের আনন্দটা তিনি ভাগ করে নিয়েছেন তাঁর নতুন পরিবারের সঙ্গে। বাংলার টেলিতারকা সুদীপ্তা চক্রবর্তীর নতুন পরিবার ‘রেশম ঝাঁপি’! একের পর এক ধারবাহিকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার পর, এবারও অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী নতুন কিছু করতে প্রস্তুত। এই ধারাবাহিকে সুদীপ্তা চক্রবর্তীকে দেখা যাবে গৌরীর ভূমিকায়। এই গৌরীর মধ্যে রয়েছে এক আধ্যাত্মিক শক্তি। ভবিষ্যতের কোনও ঘটনা সে বলে দিতে পারে অতি সহজেই।  শুধু তাই নয়, সেটি অক্ষরে অক্ষরে মিলেও যায়। তার মামা-মামী এই শক্তিকেই কাজে লাগিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারিয়েছে গৌরী। মামা-মামীর কাছেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা। কিন্তু মামা-মামী তাকে স্নেহ করার বদলে, তার উপর চালাত অকথ্য অত্যাচার। আর অত্যাচারের চিহ্ন ঢাকতে সিঁদুরেরে প্রলেপ দেওয়া হত।  একদিন এই অত্যাচারে থেকে মুক্তি পেতে গৌরী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু তারপরই ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা। লরির ধাক্কায় গুরুতর জখম হয় সে। তারপরই গল্পে আসে এক নতুন মোড়! তবে বাকিটা জানতে আপনাদের অবশ্...

Review of Bidaay Byomkesh

We all know that Bidaay Byomkesh is not based on any novel by the eminent writer and the creator of Byomkesh Saradindu Bandyopadhyay. Director Debaloy Bhattacharya tried to present Byomkesh in a modern way i.e Byomkesh of 2018. In this movie we can see Byomkesh in the twilight of his life, with half bald head and full of grey hair. Byomkesh may have grown old but his quench to find the truth is same as before. Here the director has tried to put some limitation on aged Byomkesh as we'll see Byomkesh suffering from sugar and is forced to quit smoking habit due to health issues. But the director has chosen not to give mobile phone to Byomkesh in order to make it modern, which is commendable.  Abir Chatterjee has been found in a double role in this movie as he plays aged Byomkesh as well as Byomkesh's grandson Satyaki. Joy Sengupta is his role as Byomkesh's son has done justice to his character. Sohini is playing both Satyabati who has been portrayed dead here but she re...

এসব উপসর্গ খুব সাধারণ, আমরা স্বাভাবিক জীবনে গুরুত্ব দিইনা, এড়িয়ে যায়

আজ আমি এমন কিছু বিশেষ রোগের বিষয়ে বলব যা বাইরের কোনো pathogen বা virus bacteria এর জন্য ঘটে না, বরং মানবদেহ নিজের কারণেই রোগগুলি সৃষ্টি করে । নিজের দেহ নিজের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করলে তাকে autoimmunity বলা হয়।  এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি । রোগগুলি হল - 1. Glomerulonephritis- এটি কিডনি সংক্রান্ত রোগ ।  উপসর্গ- কোমরে ব্যথা, প্রথমে কোমর ও পরে তা buttock এর। দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এক কথায় lower back pain। কারণ- streptococcus bacteria এর বিরুদ্ধে দেহ antibody তৈরি করতে জানে । কোনো সময় কিডনির কোষ গুলোকেই দেহ strep bac ভাবতে শুরু করে ও কিডনি কোষগুলিকে ধ্বংস করতে থাকে।  তাই এই রোগ হয় । 2. Grave disease- thyroid gland অতি সক্রিয় হয়ে যায়। উপসর্গ- ওজন কমে যাওয়া , হৃদগতি ও রক্তচাপ বেড়ে যায় । কারণ- পিটুইটারি থেকে আগত thyroid stimulating hormone receptor কে thyroid gland কখনো antigen হিসেবে দেখতে শুরু করে ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে ।  3. Juvenile diabetes- জন্মকাল থেকেই রক্তে ইনসুলিন এর অভাব। উপসর্গ- দুর্বলতা , অধিক তৃষ্ণা, অধিক খি...

এরপরেও একাধিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে বহুবার।

 একা থাকাটাও একটা আর্ট- আদিত্য  এখন তাঁর বয়স প্রায় একত্রিশ । শরীরে এখনও ভরাট যৌবন। টোল পড়া গালে ভেসে বেড়াচ্ছে অদম্য উচ্ছ্বাস। যেন বারবার একটাই কথা বলছে, ‘ একা থাকাটাও একটা আর্ট।’ হ্যাঁ, সে আমাদেরই মতো আর পাঁচটা সাধারনের একজন। কিন্তু তাঁর গল্পটা অতি অসাধারণ। একটা মেয়েও যে সমস্ত ঝড়-ঝাপটা সামলে একা থাকতে পারে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ কলকাতার বুকে ফ্ল্যাট কিনতে পারে, স্বামীর অত্যাচার সহ্য করে তাঁকে মুখের ওপর ডিভরস দিতে পারে, আবার এক এবং একাধিক সম্পর্কেও লিপ্ত হতে পারে।    ঘটনাচক্রে এই মেয়েটির সঙ্গে আলাপ আজ থেকে বছর সাতেক আগে। তখন সে বিবাহিত।   এর বেশি কিছু আর জানতাম না। যদিও এই মুহূর্তে সেই মেয়েটির নাম প্রকাশ করতে পারছি না, শুধু তাই নয় আরও বেশ কিছু তথ্যও গোপন করতে হয়েছে। মেয়েটি অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। মফস্বলেই তাঁর বেড়ে ওঠা। কিন্তু তাঁর যখন বছর কুড়ি বয়স, হঠাৎই তাঁর জীবনের ছন্দপতন ঘটে। তাঁর মায়ের মৃত্যু তাঁকে চরম হতাশার মধ্যে ফেলে দেয়। যদিও সেই হতাশা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মানুষ যখন চরম হতাশায় আক্রান্ত হয়ে যায়, ঠিক তখন যে মানুষটা তাঁর একটু ...

জন্মগত কিছু সমস্যা বা সিনড্রোম

                                                              জন্মগত কিছু সমস্যা বা সিনড্রোম শিশু জন্মের পর এমন কিছু সমস্যার উদয় হয় যা সাধারণত chromosomal culture ছাড়া ধরা পড়ে না, সেসব রোগের সংক্ষিপ্ত কারণ ও উপসর্গ আজকের আলোচ্য বিষয় । 1. Sickle cell anaemia- আমাদের লোহিত রক্তকনিকাতে দুই ধরনের হিমোগ্লোবিন থাকে, একটি হিমোগ্লোবিন A, অন্যটি হিমোগ্লোবিন S, এই A type হিমোগ্লোবিনগুলি S এ পরিবর্তিত হতে থাকলে লোহিত রক্তকণিকা বিকৃত হয়ে কাস্তে আকার ধারণ করে, হিমোগ্লোবিন কণা এই আকারে থাকতে পারেনা, বেরিয়ে যায় । রোগটি হল sickle cell anaemia ।   এই রোগ ধরা পড়লে অতি শীঘ্র স্টেম সেল ট্রিটমেন্ট করতে হবে । 2. জুভেনাইল গ্লুকোমা- এটি হল সেক্স লিংকড chromosome বাহিত রোগ । বাচ্চার চোখ ক্রমাগত কঠিন আকার নিতে থাকে, humour কমতে থাকে । চোখের গুরুতর সমস্যা । চিকিৎসা- এক্ষেত্রে surgery ছাড়া সুগম পথ নেই।  trabulectomy করা হয়,...

রথের মেলা- রথের মেলা

রথের মেলা পার্থ ঘোষ জিন্স আর পাঞ্জাবিতে শরীর মুড়ে আষাঢ়ের বিকেলের ভিজে পথ ধরে, পড়লাম বেরিয়ে সব কাজ ফেলে রথের মেলায় যাব , এমন চিন্তা করে। জিন্সের রং নীল, ডেনিম তার জাত, পাঞ্জাবীর লাল রঙে কবি কবি ভাব। যৌবন গেছে চলে তবু এত ঢং পৌঢ়ত্বের চৌকাঠে পা দেওয়া বিকাল। শহরের পুবপাড়ে জমজমাট মেলা রেললাইন পেরিয়ে চলে যাওয়া আসা। পুরোনো এক ব্রিজ আছে নড়বড় করে কাঠের ব্রিজ নামেই চেনে যে সকলে। ব্রিজের নীচে রেল লাইন রয়েছে শুয়ে পাশাপাশি থেকেও তারা দূরত্ব মানে। ব্রিজের ভাঙা-চোরা তাপ্পি দিয়ে ঢাকা সাবধানে পা ফেলে হয় যাওয়া আসা। ওপারেতে নেমে দেখি, কতই মানুষ গুঁতোগুঁতি দিচ্ছে সবাই নেই তাল হুঁশ। খাবারের গন্ধেতে ক্ষিদে জাগে মনে পাঁপড়, জিলিপি, বাদাম অফুরন্ত বেশ। নৈহাটির রথের মেলা আর বঙ্কিম ভবন একে একে ঘুরে ঘুরে সব করি দরশন। মেলা ভরা নর নারী যৌবনের জোয়ার হাসি, ঠাট্টার সঙ্গে চলে সাজের বাহার। প্রেমিক প্রেমিকা ঘোরে হাত ধরে ধরে শরীরে শরীর ঠেকে উত্তেজনা বাড়ে কনুইয়ের গোঁতা মারে ঈর্ষিত যুবক না পাওয়ার বেদনায় জ্বলে প্রাণ মন। দাদা আর বৌদি ভাবে গদগদ ...

বৃষ্টির জলে জন্ম নেয় তৃণ, চারা গাছ, শ্যাওলা। গোপালের শরীর নিঃসৃত জলে অপেক্ষার দিন গোণে প্রকৃতির নারীত্বের পূর্ণাঙ্গতার।

প্রকৃতি পার্থ ঘোষ আবহাওয়া অফিসের ঘোষণা ছিল বিকেলের দিকে ভারী বর্ষণ হবে, সেই সঙ্গে বজ্র বিদ্যুৎ ও প্রবল ঝড়ের সম্ভাবনা।    গোপাল আর প্রকৃতির মধ্যেও সেরকমই একটা কথা হয়েছিল।     আপেক্ষা ছিল রাত্রির।   বুড়োন আকাশের মতি গতি দেখে সে বার্তা অনেক আগেই পেয়েছিল।  গাঁয়ের মানুষের এসব খবর জানার জন্য আবহাওয়া দপ্তরের ঘোষণা শোনার অপেক্ষা করতে হয় না। বয়সটাও নয় নয় করে কম হল না। সত্তরের কোটায় বিচরণ তার।  প্রকৃতির লীলা খেলা বোঝার অভিজ্ঞতা তাই বেশ ভালোই। জীবনের অলস দিন গুলো তার প্রকৃতি দেখেই কাটে।     সারদা কখনও তার সঙ্গ দেয়।     কখনও কাজের অজুহাত দিয়ে ঘরে গিয়ে শুয়ে থাকে। মাঠে কাজ করার জোর এখন আর পায়না সে।  জমিগুলো লিজ দিয়ে দিয়েছে বাধ্য হয়েই।  অন্য লোকে ফসল ফলায়, বুড়োনকে প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়। বুড়োন আর সারদার নিজস্ব ফসল তাদের ছেলে গোপাল।  সেও এখন চাষ আবাদ নিয়ে মাথা ঘামায় না।  সে চাকরী করে ।   শহরের  এক বেসরকারি দপ্তরে ।   মাহিনা ভালোই পায়।  চাষার ছেলে...

হয়ত আর কিছুদিনের মধ্যে তুমি কোনও কলেজের লেকচারার হয়ে যাবে

   ই তি জ য়ী-আদিত্য   শেষ চব্বিশ ঘণ্টায় রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রাটা বেড়েছে! শুধু তাই নয়, শিরায় শিরায় আবার ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। পেশিতে টান পড়েছে। কোমড়ের নীচে সেই চিনচিনে ব্যথাটা আবার ফিরে আসছে। ডান-পা হয়ত আবার অকেজো হবে। অজ্ঞান হয়ে যাব আবার কোনও সকালে। কোনও কাব্য নেই, ভাবনা নেই, নাটক নেই, কেউ নেই! হ্যাঁ, আমি নেগেটিভ। তোমার কথার সূত্র ধরে আমি পাগল। জয়ী, আমি তোমার মতো সবসময় ভাল থাকতে পারি না। আর কেউ বলেছে, “ সবসময় ভাল থাকাটা আসলে বড্ড বাজে।’’ তাই কিছুটা সহানুভূতি পেয়েছি। সেই ক্ষুদ্র সহানুভূতি নিয়েই আমার-তোমার ‘ছেলেখেলার’ সম্পর্কের ইতি টানতে চলেছি। জয়ীকে নিয়ে শেষ পর্ব লিখতে বসেছি। কিছুটা দুঃখ হচ্ছে বটে কিন্তু এটাই হয়ত ভবিতব্য ছিল। এটাই আমাদের কপালে লেখা ছিল! জয়ীকে নিয়েই কিছু কম পর্ব লিখিনি। জয়ী কে? হয়ত   এখনও এটা সবার কাছেই রহস্য। হয়ত সারাজীবনই রহস্য থাকবে। অনেকে এখন মনে করে তুমি কোনও কাল্পনিক চরিত্র, আবার অনেকে ভাবে তুমি আমার প্রাক্তন প্রেমিকা, আবার অনেকের ধারনা তুমি আমার সমবয়সী! আবার কেউ কেউ ভাবে, তোমার সঙ্গে আমার কথা হয় না, দেখাও না! এই সমস্ত...

এপিট্যাক্সিস_ও_নিওডার্মাটোজেনেসিস

                   এপিট্যাক্সিস_ও_নিওডার্মাটোজে নেসিস একটা ছোট অথচ লক্ষ্যনীয় সমস্যার উল্লেখ করব । আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই পাত্তা দেন না, তবে কেয়ার নেবেন । আচ্ছা বর্তমান সময়টা, মানে ইনিশিয়াল মনসুন, হিউমিডিটি বেশি থাকে, কখনো কমে যায়, ফ্লাকচুয়েট করে, কখনো শুষ্ক বাতাস,কখনো humid, আবার গরমও আছে, এসময় কখনও এমন হয়েছে যে আপনি রাস্তায় আছেন, প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, নাসাপথে তীব্র জ্বালা, চোখের আশেপাশে নার্ভগুলো চিনচিনিয়ে উঠল । না, মাইগ্রেন অ্যাটাক ভেবে ভুল করবেন না । ন্যাসাল ফ্লুইড এভাপোরেটেড হয়ে গেছে ডিউ টু লো হিউমিডিটি । এবার যেটা হবে, নাকে পিচ্ছিলকারক ফ্লুইডের অভাবে বাতাসের ধূলিকণার সাথে নসট্রিলের ভেতর এপিথেলিয়াল রক্তজালিকার ঘর্ষণ হবে, নাকের ভেতর আছে সূক্ষ্ম ঝিল্লি, স্নেইডেরিয়ান মেমব্রেন । আপনার হাই প্রেসার থাকলে নাক দিয়ে ছিটেফোঁটা রক্ত আসবে । ভয় পাবেন না, মেজর অ্যাটাক নয় কিছু, এপিট্যাক্সিস এটা । তৎক্ষনাত জল দিন নাকের আশেপাশে, ভেতরে নয়, আশেপাশে , তাতে কিছুটা হিউমিড হবেন । এটা খুব সাধারন একটা ঘটনা, হয়ত কেউ ফেসও করেছেন । ...

কথোপকথনের তৃতীয় পর্বে আমাদের আলোচনার বিষয় বাংলা সিরিয়াল

                   কথোপকথনঃ পর্ব ৩ - আদিত্য  কথোপকথনের তৃতীয় পর্বে আমাদের আলোচনার বিষয় বাংলা সিরিয়াল ! অনেকেই হয়ত একটু মুখ বেঁকাবেন আবার অনেকে সানন্দে গ্রহণও করবেন । আসলে আঁতেল বাঙালি প্রত্যেকদিন সন্ধ্যেবেলায় একটু কাব্য খোঁজেন সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন ক্রাইসিস । তাই তাঁদের ওসব এঁদো জিনিস চলে না । আবার ঠিক তখন আর একদল ভেতো বাঙালি বাংলা সিরিয়ালে ডুবে যায় ।   সেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিনেত্রী সোহাগের সঙ্গে কথা হল বাংলা সিরিয়াল নিয়ে এক বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যেবেলায় । প্রথমেই জানতে চাইলাম , ‘’ বাংলা সিরিয়াল এত নারী কেন্দ্রিক কেন ? ’’   সোহাগ একটু হেসে বলল “ আসলে ব্যাপারটা সেরকম নয় ! আমাদের দেখার দৃষ্টিটা ওইরকম হয়ে গেছে । তবে হ্যাঁ , মেয়েরা একটু বেশি কল্পনাপ্রবণ , ভাবুক - হয়ত সেই জন্যই !’’ আমরা যদি বাংলা সিরিয়ালের সাপ্তাহিক টিআরপি দেখি , তাহলে কিন্তু ঘাবড়ে যেতে হবে । তখন মনে হবে , এত লোকে এই সিরিয়াল দেখে ! বিশেষত যারা সর্বক্ষণ বাংলা সিরিয়াল নিয়ে ব্যঙ্গ করে বেড়াচ্ছেন , তাঁরা কিন্তু বেশ আঘাত পাবে । তবে বাংলা সির...

রিভিউঃ নিকিতা চক্রবর্তী

পরিচালক- রাজকুমার হিরানি প্রযোজক - বিনু বিনোদ চোপড়া লেখক- অভিজিৎ যোশী এবং হিরানি কাস্টিং- সঞ্জয় দত্তর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রণবীর কাপুর , সঞ্জয় দত্তর স্ত্রী মান্যতার ভূমিকায় দিয়া মির্জা । তাছাড়া সঞ্জয় দত্তর বাবা সুনীল দত্তর ভূমিকায় পরেশ রাওয়াল, প্রিয়বন্ধু কমলেশের ভূমিকায় ভিকি কাওশাল ও মা নার্গিসের ভূমিকায় মনীষা কৈরালা । রেটিং- ৫/১০ প্রথমেই মুভির শুরুতেই দেখানো হচ্ছে, একজন লেখক সঞ্জয়ের বায়গ্রাফিতে সঞ্জয়কে গান্ধীজির সাথে তুলনা করায় সঞ্জয় রেগে বইটা পুড়িয়ে দিয়ে লেখককে যথেষ্ট ভর্ৎসনা করছেন । এখানে হিরানি প্রথমেই দর্শকের মনে সঞ্জয়-এর মহৎ আদর্শ তুলে ধরতে চেয়েছেন । এবার এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে কেউ যাচাই করতে যাবেন না প্লিজ, অনেকেই হয়ত জানেন, সঞ্জয় দত্ত নিজেই নিজেকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এর "বাপু" বা "গান্ধীজির" বলে থাকেন । সেটা ফিল্মে দেখালে হয়ত "broad personality picturisation'  এ অসুবিধে হত, তাই হিরানি কায়দা করে ব্যাপারটা উল্টে দিয়ে পাবলিক এ হালকা সুড়সুড়ি দিয়ে দিয়েছেন । এবার ফিল্ম স্টোরি তে আসি, ফিল্ম শুরু হচ্ছে সঞ্জয় দত্তর ১৮ বছর বয়স থেকে, যখন সে তার বাবার ...

জয়ী, ফিরে যাও বছর দশেক আগে

জয়ী, ফিরে যাও বছর দশেক আগে- আদিত্য  সময়টা ১৯৯৫, ৩০ মে। একটা ভগ্নপ্রায় বাড়ি! একটা শ্যাওলা ধরা দালান। তিনটে পরিবার বিছিন্ন এবং ঝগড়ুটে। সমস্ত শরিকি বাড়ির এটাই চিরাচরিত রীতি।   প্রত্যেকটা দিন এক একটা নতুন ঘটনার সূত্রপাত।   নতুন ঝগড়ার টপিক এবং আরও কত কী! ঠিক এমন সময়, যখন সবে মাত্র আমি পৃথিবীর আলো দেখেছি তখন শহরের অপর এক প্রান্তে একটা মেয়ে অবিরাম খেলা করে বেড়াচ্ছে। তখন তার বয়স সবে মাত্র দশ।   কে জানত,   আরও বেশ কিছু বছর পর আমাদের দেখা হবে, আমরা খুব ভাল বন্ধু হব। একে অন্যের প্রেমে সাড়া দেব। সবটাই কেমন কাকতালীয়! তারপর বাকিটা সবার মতই এক।   বয়সের গণ্ডি পেরিয়ে আমরা তখন অনেকটা পরিণত হয়েছি।   যদিও তখনও আমদের দেখা হয়নি। তারপর কাট টু ২০১২।   জুন মাসের শেষের দিকের কোনও এক সময়। আমি ঠিক তার পরের বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেব। আমাদের এই বাড়িতে তখন হঠাৎ একসঙ্গে অনেকগুলো ঘটনা ঘটে। একটা বিয়ে এবং শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণ আমাদের সবাইকে হঠাৎ এক করে দিয়েছিল। ওই সেদিন থেকেই কান্না-হাসির মধ্যেও আমরা এক হয়ে উঠেছিলাম। আর এই এক হওয়ার পেছনে ছিল একটা মেয়ের আগমন, জয়ী! ...