সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

charminar পর্ব--3

--------------------------------------------------------------------------------------------#ঐশী


আবির আর রচিতার প্রেমটা কীভাবে সেটা আর আলাদা কিছুই না।আজকাল সবার যা হয়ে থাকে।Facebook,mutual friend,আলাপ,বন্ধুত্ব আর তারপর গতানুগতিক ভাবেই সবটা।শুরুটা ২০১৪-র ওই শেষের দিকটায় মোটামুটি।তারপর ওই বন্ধুত্ব,প্রেম,ঝগড়া সব মিলিয়ে চলতে চলতেই হঠাৎ ২০১৬-র ওই পুজো নাগাদ বড়সড় একটা break.এটা যে কমদিনের জন্য নয় সেটা বুঝতে দু তরফেই বেশ খানিক সময় লেগেছে।
যাইহোক এখন এই পরিস্হিতিতে এসে ঠিক কেন ঝামেলার সূত্রপাত তা অপ্রাসঙ্গিক।

রচিতা অনেক্ষণ ধরেই,মানে আবির আসার পর থেকেই কিছু একটা miss করছে আবিরের মধ্যে।কিন্তু সেটা যে exactly কি,সেটা ও নিজেও ঠিক ধরতে পারছে না।

“আর বল বাড়ির সবাই ভাল আছেতো?”Camera-টা ব্যাগে রাখতে রাখতে প্রশ্ন আবিরের।
“হ্যাঁ সবাই খুব ভালো আছে।”হেঁসে জবাব দেয় রচিতা।
“আর তুই?”
হঠাৎ এই প্রশ্নে রচিতার বুকটা কেমন করে ওঠে।সেই পুরনো চেনা আবেগ ওকে তিনমাস পর আবার কেমন টলমল করিয়ে দেয়।
মনের ভাবটা কোনরকমে সামলে হেঁসেই আবার বলে “আমিতো সবচেয়ে বিন্দাস।”
হাঁটতে হাঁটতে বেশ অনেকটাই এগিয়ে এসেছে ওরা...

টুকটাক কথাও চালাচ্ছে নিজেদের মধ্যে ।রচিতা কিছুটা distance maintain করেই হাঁটছিল।
হঠাৎ আবির হাঁটতে হাঁটতেই হতটা ধরে রচিতার।চমকে উঠে রচিতা হাতটা টেনে ছাড়িয়ে নিতে যায়।
নাহ্ পারেনা।ক্ষনিকের জন্য সবকিছু কেমন শূন্য হয়ে যায়।সেই পুরনো আবেগ এখন আরও সচল।এই ছোঁয়াটার অপেক্ষাতেই তো ছিল সে এতোদিন।সেই চেনা স্পর্শ আজ আরও ওকে দুর্বল করছে।
আবিরের হাতটা আরও শক্ত করে রচিতা।রচিতা বুঝতে পারে উত্তেজনায় তার নিজের হাত ঘামতে শুরু করেছে।

“এতো nervous কেন?প্রথমবার তো তোর হাত ধরলাম না।”
নাহ্ এবার আর আবিরকে কোনরকম ফাঁকি দেওয়া গেলোনা।হাল্কা হেঁসে মাথাটা নীচু করে নেয় রচিতা।

সন্ধে তখন প্রায় নামবো নামবো।দুজনে এসে থামে লেকের পিছন দিকটায় ব্রিজের সামনে।শীতের সন্ধ্যে লোকজন আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে।অনেকটা হেঁটে এসে আবির রচিতা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দুজন দুটো cigarette ধরালো লেকের দিকে মুখ করে।
এই তিনমাসের অবসরের বিভিন্ন জিনিস নিয়ে দুজনে আলোচনায় মত্ত।

কথা বলতে বলতেই হঠাৎ রচিতার কাছে আসে আবির।রচিতার হৃদপিন্ড তখন দৌড়তে শুরু করেছে।অনেকটা কাছে আসতে রচিতা আবিরকে আটকাতে চেষ্টা করে।
নাহ্ পারেনা।সমস্ত স্নায়ু তখন শিথিল।হাত বাড়িয়ে আবিরকে আটকাতে গিয়েও বাঁ হাতে আবিরের কোমর ধরে আরও কাছে টেনে নেয় তাকে।আবির কাছাকাছি এসে বাঁ হাতে করে রচিতার মুখের উপর থেকে চুলগুলো সরিয়ে দেয়।দুজনেই দুজনের উষ্ণ শ্বাস-প্রশ্বাস feel করতে পারে একে অপরের ঠোঁটের উপর।ডিসেম্বর-র সন্ধেতেও দুজন ঘামতে শুরু করেছে।রচিতা অনুভব করে ও কি miss করছিল এতোক্ষন  ধরে ।তার সেই চেনা আবিরের গন্ধ যা তাকে চিরকাল আবিষ্ট করেছে।যে গন্ধ শুধুমাত্র রচিতাই পায়। 

দুজনেই বন্ধ করে নেয় চোখ।তাদের ডানহাতে জ্বলতে থাকে আধপোড়া Charminar.কাছাকাছি থাকা ঠোঁটগুলো একে অপরকে আরো কাছাকাছি এনে জড়িয়ে নেয়।

সূর্য তখন পশ্চিম আকাশকে আবিরে রাঙিয়ে ডুব দিয়েছে...


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পুজো মিটলে কী করে থাকবেন ফিট, উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক

  আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাঙালির পাতে ভরে উঠেছে হরেক রকমের খাবার। ঠাকুর দেখার সঙ্গে হরেক রকমের খাবার খেতেই হবে। রোল, চাউমিন, মোগলাই, চাইনিজ, বিরিয়ানি, ফুচকা এবং আরও কত কী! সারাবছর যারা শরীরচর্চায় মেতে থাকেন, খুব নিয়ম করে খাবার খান তারাও এই সময়টা একটু বেনিয়ম হয়ে পড়েন। তবে কুচ পরোয়া নেহি, পুজো মিটলেই আবার কী করে নিজের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন সেই কথায় আটপৌরেকে জানালেন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ এবং যাপন সহায়ক ডাক্তার অনন্যা ভৌমিক।  ১) পুজো মিটলেই আমাদের ফিরতে হবে আবার স্বাভাবিক জীবনে।  তাই পুজোর হ্যাংওভার কাটিয়ে নিতে ভীষণভাবে দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণ জলের। জল শরীরের বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রয়োজন মতো দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। তবে যাদের বেশী জল খাওয়া বারণ আছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া বাকিরা দিনে চার লিটার পর্যন্ত জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে।  ২) মরশুমি ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়াও নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে। ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে আবার স...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...