--------------------------------------------------------------------------------------------#ঐশী
আবির আর রচিতার প্রেমটা কীভাবে সেটা আর আলাদা কিছুই না।আজকাল সবার যা হয়ে থাকে।Facebook,mutual friend,আলাপ,বন্ধুত্ব আর তারপর গতানুগতিক ভাবেই সবটা।শুরুটা ২০১৪-র ওই শেষের দিকটায় মোটামুটি।তারপর ওই বন্ধুত্ব,প্রেম,ঝগড়া সব মিলিয়ে চলতে চলতেই হঠাৎ ২০১৬-র ওই পুজো নাগাদ বড়সড় একটা break.এটা যে কমদিনের জন্য নয় সেটা বুঝতে দু তরফেই বেশ খানিক সময় লেগেছে।
যাইহোক এখন এই পরিস্হিতিতে এসে ঠিক কেন ঝামেলার সূত্রপাত তা অপ্রাসঙ্গিক।
রচিতা অনেক্ষণ ধরেই,মানে আবির আসার পর থেকেই কিছু একটা miss করছে আবিরের মধ্যে।কিন্তু সেটা যে exactly কি,সেটা ও নিজেও ঠিক ধরতে পারছে না।
“আর বল বাড়ির সবাই ভাল আছেতো?”Camera-টা ব্যাগে রাখতে রাখতে প্রশ্ন আবিরের।
“হ্যাঁ সবাই খুব ভালো আছে।”হেঁসে জবাব দেয় রচিতা।
“আর তুই?”
হঠাৎ এই প্রশ্নে রচিতার বুকটা কেমন করে ওঠে।সেই পুরনো চেনা আবেগ ওকে তিনমাস পর আবার কেমন টলমল করিয়ে দেয়।
মনের ভাবটা কোনরকমে সামলে হেঁসেই আবার বলে “আমিতো সবচেয়ে বিন্দাস।”
হাঁটতে হাঁটতে বেশ অনেকটাই এগিয়ে এসেছে ওরা...
টুকটাক কথাও চালাচ্ছে নিজেদের মধ্যে ।রচিতা কিছুটা distance maintain করেই হাঁটছিল।
হঠাৎ আবির হাঁটতে হাঁটতেই হতটা ধরে রচিতার।চমকে উঠে রচিতা হাতটা টেনে ছাড়িয়ে নিতে যায়।
নাহ্ পারেনা।ক্ষনিকের জন্য সবকিছু কেমন শূন্য হয়ে যায়।সেই পুরনো আবেগ এখন আরও সচল।এই ছোঁয়াটার অপেক্ষাতেই তো ছিল সে এতোদিন।সেই চেনা স্পর্শ আজ আরও ওকে দুর্বল করছে।
আবিরের হাতটা আরও শক্ত করে রচিতা।রচিতা বুঝতে পারে উত্তেজনায় তার নিজের হাত ঘামতে শুরু করেছে।
“এতো nervous কেন?প্রথমবার তো তোর হাত ধরলাম না।”
নাহ্ এবার আর আবিরকে কোনরকম ফাঁকি দেওয়া গেলোনা।হাল্কা হেঁসে মাথাটা নীচু করে নেয় রচিতা।
সন্ধে তখন প্রায় নামবো নামবো।দুজনে এসে থামে লেকের পিছন দিকটায় ব্রিজের সামনে।শীতের সন্ধ্যে লোকজন আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে।অনেকটা হেঁটে এসে আবির রচিতা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দুজন দুটো cigarette ধরালো লেকের দিকে মুখ করে।
এই তিনমাসের অবসরের বিভিন্ন জিনিস নিয়ে দুজনে আলোচনায় মত্ত।
কথা বলতে বলতেই হঠাৎ রচিতার কাছে আসে আবির।রচিতার হৃদপিন্ড তখন দৌড়তে শুরু করেছে।অনেকটা কাছে আসতে রচিতা আবিরকে আটকাতে চেষ্টা করে।
নাহ্ পারেনা।সমস্ত স্নায়ু তখন শিথিল।হাত বাড়িয়ে আবিরকে আটকাতে গিয়েও বাঁ হাতে আবিরের কোমর ধরে আরও কাছে টেনে নেয় তাকে।আবির কাছাকাছি এসে বাঁ হাতে করে রচিতার মুখের উপর থেকে চুলগুলো সরিয়ে দেয়।দুজনেই দুজনের উষ্ণ শ্বাস-প্রশ্বাস feel করতে পারে একে অপরের ঠোঁটের উপর।ডিসেম্বর-র সন্ধেতেও দুজন ঘামতে শুরু করেছে।রচিতা অনুভব করে ও কি miss করছিল এতোক্ষন ধরে ।তার সেই চেনা আবিরের গন্ধ যা তাকে চিরকাল আবিষ্ট করেছে।যে গন্ধ শুধুমাত্র রচিতাই পায়।
দুজনেই বন্ধ করে নেয় চোখ।তাদের ডানহাতে জ্বলতে থাকে আধপোড়া Charminar.কাছাকাছি থাকা ঠোঁটগুলো একে অপরকে আরো কাছাকাছি এনে জড়িয়ে নেয়।
সূর্য তখন পশ্চিম আকাশকে আবিরে রাঙিয়ে ডুব দিয়েছে...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন