সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

                                                                 রিভিউ - অনিন্দিতা



সমালোচনা জল্পনা কল্পনা সব শেষ করে অবশেষে মুক্তি পেল বহু প্রতিক্ষীত চলচিত্র "পদ্মাবতী" ক্ষমা করবেন I হারিয়েছে সেন্সর বোর্ডের কাঁচির ধারে এখন সে "পদ্মাবৎ"।

অসম্ভব কৌতূহল নিয়ে ভীর হচ্ছে যেভাবে মনে হয় কিছু থাক না থাক যখের ধন তো থাকবেই কিন্তু কোথায় কি? পদ্মাবতীর তীরন্দাজ (যদিওবা ভুল নিশানায় দেখানো), বুদ্ধিমত্তা (রাজনৈতিক) পতিপরায়ণতা এবং ডায়লগের ফাপর ছাড়া আর বিশেষ কিছু পদ্মাবতী সম্পর্কে আছে বলে মনে হয়না। ভানসালি জি জানেন বোধ হয় গল্প ছাড়াও মিউজিক, কস্টিউম, সিন লোকেশন এবং জল্পনাকল্পনা দিয়ে কিভাবে একটা গল্পহীন সিনেমা কেও চোখ ধাঁধাতে হয়। তবে অবশ্যই সমালোচকের আসন ছেড়ে বলা উচিৎ দীপিকা কে বোধ হয় এতো এলিগেন্ট লাগে নি কোনো চরিত্রে তার ওপর অসম্ভব শালীনতা সে বোর্ড ইশুই হোক না কেন। আর অন্যান্য চরিত্রই যদি বলতে হয় তবে অবশ্যই বলব ফেয়ার এন্ড লাভলি দিয়ে ফর্সা হয়ে কাজল পরে দীপিকার পাশে ইঞ্চি দুয়েক খাটো শাহিদ ওরফে চিত্তোর রাজ রতন সিংহ আর তার "আন বান ওর শান" খানিক টা হলেও হাস্যরূপই লেগেছে পদ্মাবতীর পাশে। সর্বশেষ খিলজি চরিত্রের মতো এতো স্পষ্ট চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা বেশ ঝক্কির কাজ বলতেই হবে। তবে রণবীর কিন্তু মোটেও পিছ পা হননি মাংস খাওয়ায় হোক কিংবা বেইমানী কিংবা রক্ত-কাদা মেখে বন্যতা বজায় রেখে কিংবা বাই সেক্সুয়ালিটি ভীষণ রকম দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

তবে নামকরণ হিসেবে সিনেমা কতটা সার্থক সেই নিয়ে এক প্রশ্ন অবশ্যই ডানা বাঁধবে মিউজিক্যাল এনভায়রনমেন্টের বাইরে বেরলেই। রাজপুত "আন বান শান" আর খিলজির বেইমানী, শঠতা আর চরিত্রদোষ ছাড়া বিশেষ কোনো আকর্ষণ গল্প নেই।  তবে পশু হত্যা কিংবা "জৌহর" (যেখানে প্রথাপ্রচলিত এক গর্ভবতী মহিলা এবং এক বাচ্ছার আত্মঅাহূতী স্পষ্ট)-এর মতো নিন্দাকারী প্রথার প্রচলন বেশ স্পষ্ট এবং প্রতিবাদ জানাবার মতোই।  তবে পদ্মাবতীর চরিত্রের থেকেও রাজপুত "আন-বান-শান" ই ছিল মূল গল্প। 
দর্শক হিসেবে চোখ ধাঁধানো কস্টিউম আর মিউজিকের রমরমাতে জমজমাট কোলাহল পূর্ণ সিনেমা "পদ্মাবতী" বেশ ভালোই লেগেছে।
বিচারক হিসেবে ৫ - এ ৩ রাখলেও সম্পূর্ণ তা মিউজিক, সিন লোকেশন এবং কালার কন্ট্রাস্ট হিসেবেই স্টোরি হিসেবে ২ -এর বেশি দেওয়া যায় কিনা এক বিরাট সংশয়ের। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...