একটু চমকে উঠেই নিজেকে সাথে সাথেই সামলে নিয়ে জবাব দেয় রচিতা “না না বল...খবর কী তোর?কেমন আছিস?পুরো তো তিনমাস হাওয়া হয়ে গেছিলিস।”
কথা বলতে বলতেই রচিতা নিজের মধ্যে কেমন একটা আড়ষ্ঠতা বোধ করে।সেই মুহূর্তে কারণ খোঁজার চেষ্টা না করে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে।
“এইত্তো চলছে।তোর কী খবর বল?”উত্তর এবং পাল্টা প্রশ্ন আসে ওদিক থেকে।
“আমিতো বিন্দাস” জবাব দিতে দিতেই আবিরের কাঁধের দিকে চোখ যেতেই রচিতা আবার প্রশ্ন করে “আরে you got a DSLR?”
“নাহ্ নাহ্ এক বন্ধুর থেকে ধার করে নিয়ে এলাম।বিকেলবেলা লেকটা বেশ লাগে।”
উত্তরটা শুনে রচিতা মনে মনে হাসতে হাসতে বললো “মেয়েদের মন গলানোর উপায় তুমি এই কয়েকদিনে বেশ ভালোই রপ্ত করে ফেলেছো।”
“তা নতুন কারোর প্রেমে পড়লি?”Camera ঘাঁটতে ঘাঁটতেই প্রশ্ন আবিরের।
চিরকাল এই একটা প্রশ্নে গা জ্বলে যায় রচিতার।তার উপর এতোদিন বাদে এতো কথা,meet করা সব মিলিয়ে এমনিই uneasy লাগছে।
যাইহোক মুখের ভাব স্বাভাবিক রেখেই ও জবাব দেয় “না না হয়নি তেমন কিছু।”
উত্তরের তোয়াক্কা না করেই camera টা রচিতার দিকে রেখেই পরপর ছবি তুলতে থাকে আবির।রচিতা খানিক বিরক্তি দেখালেও ছবিগুলো দেখার পর আর রেগে থাকতে পারেনা।
“আচ্ছা এবার চল আমরা একটু হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি?”
রচিতার কথার উত্তর না করেই উঠে পড়ে আবির।
চোখ তখনও Camera-য়,তবে এবার লক্ষ্য প্রকৃতি।
হাঁটা শুরু করে ।রচিতা চুপচাপ-ই ছিল,আবির photo তুলতে ব্যস্ত বলে একটু বিরক্ত হচ্ছিল বটে তবে মুখে কিছু বলে না।
“বুঝছি বিরক্ত হচ্ছিস কিন্তু বিকেলের এই আলোটা চলে গেলে আর view পাবোনা ভালো।”
“কী করে যে বুঝে যায় এভাবে!”ভাবতে ভাবতেই রচিতা বলে “আরে না না it’s ok.কোন ব্যাপার না।You carry on.”
আবির photo তুলতে যে কতোটা ভালোবাসে তা রচিতার অজানা নয়।আর বেশ তোলেও।তাই বরাবরই আবিরের এই গুণটা রচিতার বেশ লাগে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন