ATPOURE

সামঞ্জস্য -পার্থ ঘোষ- পঁয়ত্রিশ পেরনো তাপসীর দুঃখ  তার জীবনে এখনো বিয়ের ফুল ফোটার সময় হল না।  তাপসীর বন্ধুরা আজ ঘোর সংসারী । তাপসী নিজের সংসার কাকে বলে জানতেই পারল না। তার জন্য আসা বিয়ের সম্বন্ধ গুলোর সমাপ্তি ঘোষিত হয় মিষ্টির থালাতেই। বাজারের মধ্যে ইতস্ততঃ ছড়িয়ে থাকা বিক্রি না হওয়া সরস্বতী ঠাকুরের মৃন্ময়ী মূর্ত্তিগুলো যেন  তাপসীর মতই শোকস্তব্ধ ।  এবারের পূজোয় তারা বিক্রী হয়নি।  এক বুক হতাশা নিয়ে তারা শৈল্পিক ভঙ্গিতে দণ্ডায়মান। তাদের দুঃখ তাপসীকে নাড়া দেয়। তাপসী কষ্ট ভাগ করে । =====

অসময়ের সময় হয়েছে এখন, অজুহাতের তীক্ষ্ণ বীজে গাঢ় অন্ধকার, মেঘ ঘনিয়ে আসা রাতে নোনাজল থাকে বালিশ পাহাড়ায়। তুমি নেই,চারপাশ নিশ্চুপ । বার বার ভেবেছি, কাছে এলে ফিরে যেতে নেই, রয়ে যেতে হয়, যেভাবে জুড়ে থাকে দিন আর রাত ; ততবারই অভিমান ভেঙেছে স্পর্ধা, কথাদের ছেঁড়া জালে আটকেছে বোবা প্রেম । এ অসময়ই তো তীব্র উল্লাসের, আচমকাই এখন সিক্ত হওয়া, যা কিছু ঝাপসা,এ সময়ই স্পষ্ট হওয়ার, এখন বিষন্ন মনে উন্মত্ততার পাথর জমেছে, প্রতিটি মৃদু হাসিতে। আরো তো কত কিছুই লুকোনো ছিল চোখের পাতায়, একঘেঁয়ে ক্লান্ত অপেক্ষাও তো ছিল ঠোঁটের ভাঁজে, তবু বারান্দা এখন একা রোদ পোহায়, মন বোঝে পাশে থাকার ঝক্কি, ভালোবাসাটা তবে যত্ন করে ভুলে থাকি, সাজানো অবহেলাটাই কাছে পাওয়ার একমাত্র সত্যি.....।।।। -arunima

যাবার আগে শেষবার তুমি পেছন ফিরে বলে গেলে "ভালো থেকো" আমি অবুঝ শিশুর মত ছলছলে চোখে চেয়ে রইলাম তোমার দিকে তখন আমার গোটা পৃথিবী ঘোর বিষণ্ণতায় আছন্ন আমার মন আমার শরীর মনে হল চিনচিনে ব্যথা বুকের বাম দিকটায় একাকিত্তের ভয়টা ক্রমশ নিবিড় বড্ড দ্বিধায় পরে গেলাম ভালো থাকার প্রসঙ্গে কথাটা তোমার নিছক প্রার্থনা নাকি আবেদন ভালো কী আমায় থাকতেই হবে ? তবুও বললাম তুমিও ভালো থেকো , ভালো রেখো তাকেও আমার ক্লান্ত রাতের শেষ নিবেদন॥ -sovik

শিক্ষা -পার্থ ঘোষ – (১) কাল ক্লাবে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান ছিল। আগের দিন সারারাত ধরে ক্লাবের ছেলেরা অতি যত্ন সহকারে পতাকা টাঙিয়েছিল এক বিজলি বাতির স্তম্ভ থেকে আরেক বিজলি বাতির স্তম্ভে দড়ির বন্ধনে। কাল সারাদিন ধরে গান বাজিয়ে, ফুল ছড়িয়ে, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ও বক্তৃতা দিয়ে পালন করা হয়েছিল প্রজাতন্ত্র দিবস। অনুষ্ঠান শেষে বিস্কুট ও লজেন্স বিতরণ করা হয়েছিল, যা সবার সঙ্গে সাদরে গ্রহণ করেছিল ভিখারি ছোটো ছেলেটা। যে ছেলেটা তার লোলুপ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে পাড়ার নার্সারি স্কুলটার সামনে প্রতিদিন সকালে বসে থাকে। আর একমনে কচিকাঁচা শিশুগুলোকে দু’চোখ ভরে দেখে। সেইসময় তার চোখের দৃষ্টিতে ঝিলিক দিয়ে যায় উদাস আনন্দ। (২) গতকালের অনুষ্ঠান শেষে সবাই ফিরে গিয়েছিল নিজ নিজ গন্তব্যে। ক্লাব প্রাঙ্গণে পড়ে ছিল শুধু বিস্কুট লজেন্সের খালি প্যাকেট আর ছেঁড়া মালা ও ফুলের টুকরো। ক্লাব প্রাঙ্গণের পড়ে ছিল শুধু বিস্কুট লজেন্সের খালি প্যাকেট আর ছেঁড়া মালা ও ফুলের টুকরো। ক্লাব প্রাঙ্গণের ছোট্টো আকাশ ছেয়ে ছিল জাতীয় পতাকার ভীড়ে । তারপর রাত নেমেছিল নির্দিষ্ট সময়ে। মাঝ রাতে উঠেছিল উত্তুরে শীতল হাওয়া। সেই হাওয়...

তবুও... --–------–---------–---------- আদরে তোমায় চাইনি কখনো অনাদরে তুমি থাকো। মুঠোভরা আলো দিলাম তোমায় সেটুকু কাছেতে রাখো। আর কিছুতো দিতেই পারিনি নিয়ে গেছি কর গুনে সেসব তো আর কেউ জানে না আমার আঙুল জানে। হাত ধরে শুধু বৃষ্টি দেখেছি ভিজেছি কয়েকবার এসব কথা মনেই থাকে না, মনে নেই কারো আর। মনে রেখেছে কেবল আকাশ বৃষ্টি ঝরালো কত! ধূলিকণা হয়ে বেঁচে আছে তারা লুকিয়ে বুকের ক্ষত। আদর শুধুই বাঁধার শিকল দুঃখ রাশি রাশি অনাদরেই মুক্তি দিলাম- তবুও ভালোবাসি। sarbojit

# চুল মায়াবী অন্ধকার -মৃত্যুর মতো তার ছায়া যেখানে আদর ঘন- সমুদ্র বনানীর হাওয়া। # চোখ তাকালেই ভুল হয় আবেগ ও যুক্তিবাদী মনে; প্রকাশ্য হাসি তার গভীরের অভিমান জানে। # আঙুল ছুঁয়ে দিলে বোঝা যায়,কান্নায়-শীতে, আছে কত ক্ষিদে জমা তোমার নিভৃতে। # নখ পরশ পাক ঝঞ্ঝা এবং ক্ষোভে, আদর যখন লুকিয়ে আছে দ্রোহে। -souptik

তারপর গুটি গুটি পায়ে অনন্ত শব্দজালের দিকে হেঁটে চলা। আগুন জ্বেলেছে, পথ কুড়ুনি আগুন। মালায় ও ফুলে বরণের আড়ম্বর সেজেছে। গতিময় হাতের তালুতে, খৈনী ডলে ডলে মৌতাত পোহাচ্ছে ভোর। রাতের নেশা নিয়ে কুকুরের দল-বল প্রহর গুনছে, শুরু হবে পৃথিবীর অনন্ত উৎসব; জীবন। -souptik

অতৃপ্তি বহুদিন হয়ে গেল তোমায় দেখিনি। রোজ সকালে ঘুম ভাঙার সময় যখন অগাধ বিশ্বাস নিয়ে চোখ খুলি, না…তোমায় আর দেখতে পাই না। অথচ প্রত্যেকদিন ঘুমোতে যাওয়ার সময় সেইদিনটার কথা ভেবেই ঘুমোই। তোমার সেদিনের কথা মনে পড়ে? সেই যে গো… তুমি আচমকা এসে আমার ঘুম ভাঙালে! আমার তো আজও সেদিনটার কথা বিশ্বাস হয় না! কি করে তুমি পাখি হয়ে উড়ে এসে আমায় জাগিয়ে দিলে, ভাবতেও অবাক লাগে। তোমায় আধো ঘুম চোখে দেখে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়েছিলাম… আর তারপর… না থাক! বাকিটা তো তুমি জানোই। দোতলার ঘরের জানলার গোলাপ ফুলের গাছটা আজ আর নেই জানো! অনেকদিন হল… দেওয়ালে কবিতা লেখা কাগজগুলো অবশ্য আছে… হ্যাঁ তোমার লেখা। এক বাক্স গ্রিন টি, গতবছর শেষ করতে পারিনি। তাই প্রত্যেকদিন সন্ধ্যাবেলা আমি তোমার সঙ্গে গ্রিন টি খাই। হ্যাঁ তোমার সঙ্গে! ভাবছো সে আবার কি করে হয় তাই তো? আমাদের একটা অনেক বড়ো ছবি আছে,তোমারই দেওয়া। আমার টেবিলের ওপর রাখা… তার সামনে বসি। মন খারাপ হলে গান গাই… হ্যাঁ, রবীন্দ্রনাথ। আমাদের একমাত্র জীবনদেবতা। শীতকাল এলেই আমার আবার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। গতবছর টানা এক সপ্তাহ ভুগেছিলাম… এবছর তোমার শীতের উপহারগুলো আমায় জড়িয়ে আছে বেশ! তাই এখনো ...

I've lived in and visited many exotic places around the world, but nothing compares to the culture shock I experienced in India. The sheer number of people, the cacophony of beeping horns and chaos in the streets, the splashes of vibrant color everywhere, the smoky, hazy air, and the way the strange and curious sites around every corner bombarded my eyes and sent my thoughts reeling all overwhelmed me at first.  Perhaps I got to know a different kind of India when I lived there for two months recently - I was in a remote, non-touristic part of Uttar Pradesh living with a local school principal and her family and teaching at her 1500 all girl school - than most foreigners get to experience. Not as sexy or beautiful, but certainly authentic and traditional. And since the country is really not one but a multitude of "countries" depending on where you go, I suppose that how a foreigner views India would largely depend on where he/she lives. But even then, I think certain per...

তারপর গুটি গুটি পায়ে অনন্ত শব্দজালের দিকে হেঁটে চলা।  আগুন জ্বেলেছে, পথ কুড়ুনি আগুন।  মালায় ও ফুলে বরণের আড়ম্বর সেজেছে।  গতিময় হাতের তালুতে,  খৈনী ডলে ডলে মৌতাত পোহাচ্ছে ভোর।  রাতের নেশা নিয়ে কুকুরের দল-বল প্রহর গুনছে,  kobita 5শুরু হবে পৃথিবীর অনন্ত উৎসব; জীবন।

আমাদের সম্পর্কের মৃত্যু ঘটেছে। শুভাকাঙ্কিরা রাখেনি তার খোঁজ.... আসলে সৎকার করিনি তো, খাওয়াইনি কোনো ভুরিভোজ সায়র ব্যানার্জী

কবিতার বুকে বিষ পাঠালাম ,  আমি খাব না পিঠে -পুলি;  তোর জন্য রইল অজস্র শুভেচছা , ঘুমের ওষুধ খাস না ,খেলে খাস একটা ঝলসানো গুলি ....

সাল ১৯৭১। রক্তিম পবনে প্লাবিত বঙ্গদেশ। শশাঙ্কের, সিরাজের প্রেয়শীর গায়ে তখন ক্রমাগত ধর্ষণের ক্ষত। আমি তখন রাষ্ট্র নামের এক মারক যন্ত্রের বিরুদ্ধে জীবন শপেছি। দেখছি কালো চশমা দিয়ে ঝাপসা শহরের গলি। আর দেখেছি কৃষক ও রাজার কোমরে সমান টাকার থলি। কৃষক ধানের বোঝা নিয়ে দাড়াতে চেয়েছিল ঠিকই। কিন্তু রাজা কী চায় নামতে?? আমাদের দাবী দাসত্ব প্রথার বিরুদ্ধে। তাই চাবুক পুরষ্কারে পুরষ্কৃত আমরা। ব্যক্তিগত ভাবে রাজাবাজার কলেজে তখন প্রথম নাম আমার। গণিত এক প্রকার সখা আমার। আমি অসফল আলবাত কিন্তু অযোগ্য নই। আমি অবুঝ বটে তবে আত্মস্থ ছিল যুগান্তকারী বই। কোম্পানীর আকা নির্মম রেখা উত্তপ্ত হল। পদ্মার মাঝিরা গঙ্গায় নোংড় করল। দেশ হারা ঘর হারা উদ্বাস্তু ভঙ্গুর কিছু আত্মপরিচয়। তাদের কেতাবী নাম দেওয়া হল রিফিউজি। আমরা এগিয়েছিলাম মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের সাথে হাত মেলাতে। মাটি যদি মা হয় ভাষা কেন নয়? সেখানেই প্রথম কলমে বসন্ত এল। লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলে পরিণত হল। লাল রঙ আদর্শের সাথে মনে পরিণত হল। কুচবিহারের সরু বিভাজনের ওপারে। তুমি রোজ আসতে হয়ত আমারই খোজে। তুমি এক ফালি চাদে আস্থা ...

How good is Malana cream? opinion 1 :Here is the thing. Malana grows some of the finest weed in India, and probably in the world. The finest internationally known Indian 'brands' of cannabis are the malana cream and Kerala gold. Kerala gold is difficult to get your hands on even in Kerala due to strict government policies against cannibalism. However, Malana is sort of cut off from the outer world and is an isolated place where just the natives reside. And hence getting hand on the real thing is easier. Cream is the oil you extract out of flowering buds of the plant. The bud is rub between the palms of the harvester's hands. Its very high on THC content (30-40%) and gives you a very sweet high. I differentiate the high into two categories: 1) That eases you, makes you makes you happy and cheerful yet you are able to perform tasks like reading or conversing (meaningfully).   2) That just makes you dumb. You transform into a couch potato. Makes you feel very lethargic.  ...