সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্যোমকেশ ঃ review of season 2

উদাহরণ স্বরূপ : রক্তের দাগ বিবর্তনের হাত ধরে প্রচুর ব্যোমকেশ এসেছেন । কিন্তু অনির্বাণ বাবু মনে দাগ কেটেছেন , তিনি সবার চেয়ে আলাদা । হইচই এর ব্যোমকেশ পর্বের দ্বিতীয় সিজিন দেখার পর মনটা ভরে গেল । সত্যকাম আর অন্নপূর্ণা ছোট্ট সময়ের মধ্যে বেশ পরিণত অভিনয় করল । গল্পের সূত্র ধরে এগিয়ে গেলে প্রথমেই দেখতে পাই, সত্যকাম তার মৃত্যু হবে পারে এ ভেবে আসে ব্যোমকেশের কাছে,সে উল্লেখ করে তার মৃত্যুর পরে যেন ব্যোমকেশ তার হত্যার তদন্ত ভার নেয়। অগ্রিম হাজার টাকা নগদ দিয়ে যায় সত্যকাম । ব্যোমকেশ অবাক হ্য় এই ভেবে যে , সত্যকাম কেন তার মৃত্যু আটকাতে চাইছে না এবং গল্প তার পথ ধরে এগিয়ে চলে। শাড়ির দোকানের মালিকের ছেলে সত্যকামের বরাবরই কামের প্রতি মোহ,যার জন্য ছোট থেকেই কপালে জুটেছিল “এঁচোড়ে পাকা”র তকমা। তাই তার খুনের খবর শুনে কেউই অবাক হয়নি।তবে কে খুন করেছে এটা জানতে পারলে হয়ত আপনারই অবাক হবেন শেষে। তবে পারিবারিক কলঙ্কের দাগ কিন্তু বংশানুক্রমে চলে আসে ,এটা বলাই বাহুল্য। তবে এই গল্পের প্লটগুলো বড্ড আলগা। কোনো রহস্য মনে বাসা বাঁধেনি প্রথম থেকে। সিকুয়েন্সগুলো এলোমেলো। মাঝে মাঝে অযথা চমক দেওয়ার জন্য কিছু ...
॥ ভয় ॥ বর্ষার অজুহাতে কাগজের নৌকা ডুবে যাওয়া দেখে ভয় পাই না , পেচ্ছাপের অ্যাসিড গন্ধে মাকড়সার জাল ছেড়ে পালানো দেখে ভয় পাই না , মারিজুয়ানার মাদক নেশায় মাথার নীল শিরা ফুলে উঠলেও ভয় পাই না , বেশ্যালয়ে আদমরুপী নারায়ণের একটা শরীরের উপর দাম দরাদরি দেখে ভয় পাই না , প্রতিরাতে ঠোঁট আর দোয়াতের কালিকে বিনা পারমিশনে রং ইন্টারচেঞ্জ করতে দেখেও ভয় পাইনি কখনো , ফুটপাথে শুকনো পেট আর অন্তরাত্মার কান্না শুনে ভয় পাই না , পাপের সাথে চর্মযুদ্ধে ক্লান্ত কিশোরীর উরুর মাঝে চাপ চাপ রক্ত দেখে ভয় পাই না , এমনকি মৃত্যু ভয়ও নেই ..... তবে কেন জানি না ভীষণ ভয় পাই শুধু মেঘলা দিনে একগোছা হলুদ ড্যাফোডিল নিয়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা প্রেম দেখে । # সৌভিক
॥ কন্টেন্ট রাইটার ॥ অন্ধকারে সিগারেট ধরিয়ে বসেছে নোংরা কন্টেন্ট রাইটার । স্ট্রিটলাইট হয়ে চিলেকোঠার ঘরে যেটুকু আলো ঢোকে তাতে রাতের লেখাটা শেষ করা যেতে পারে অনায়াসে । গল্প ভাবছে কী লেখা যায় ... শরীর প্রেম সন্ত্রাসবাদ অ্যাসিড রক্ত মিছিল যৌনতা তাজাবোমা ব্যর্থতা আবেগ বিছানা চুমু সেক্স বিচ্ছেদ প্রতিশ্রুতি ... অনেক কিছু দলবেঁধে ভিড় করে আসছে মুহূর্তে , কী লিখবে বুঝতে পারছে না । এত বিষয়ের ধোঁয়াশার মাঝে পোড়া ফিল্টারের গন্ধটাই যেন ফিকে হয়ে যাচ্ছে । হঠাৎই তার চোখ পরে ব্যক্তিগত ডায়েরীটার দিকে । পাতা উলটে পাল্টে কিছু একটা খুজতে থাকে সে ... আমরা কিন্তু জানি না সেটা কী ? সত্যি জানি না তারপরে কী হলো । পরদিন সকালের তীব্র রোদ যখন জানলা দিয়ে ডায়েরীর উপর মুখ থুবড়ে পরে থাকা রাইটারের রাতজাগা চোখ ধাঁধিয়ে দেয় তখন তুমি আমি আয়েশ করে ঘুম ভেঙ্গে বড় হাঁ করে তুড়ি মেরে সোস্যাল পেজে আরো একটি নোংরা লেখা দেখতে পাবো । লাইক করবো , কমেন্ট দেবো , আপ্লুত হয়ে টুথব্রাশে পেস্ট ঘষতে ঘষতে শেয়ার করব...

ইতিহাসের পাতা থেকেঃ বাবুঘাট

চারিদিকে জাহাজের ভোঁভোঁ শব্দ, চারিদিকে হইছই, বাচ্ছাদের কিচির-মিচির, কখনও আসছে সাহেবরা আবার কখনও আসছে দাস-দাসী। এই ছিল এক সময়কার চিত্র বাবুঘাটের। সাহেব ও দাসদাসীর আনাগোনা ছাড়া এখনও বাদ বাকি একি আছে। বাবু রাজচন্দ্র দাসের নামে নামকরন করা এই ঘাট,  ১৮৩০ সালে  স্তাপিত করেছিলেন রানী রাসমণি। বাব রাজচন্দ্র ছিলেন জানবাজারের জমিদার ও রানী রাসমনির স্বামি। হিন্দুর কাছে গাঙ্গা নদী খুবিই পবিত্র, সেটা সকলেই জানি। সেই সময় একটি বাঁধানো ও পরিষ্কার ঘাটের অভাব ছিল কলকাতায়ে। সেই অভাবই পূরণ করলেন রানী রাসমণি। ঘাটের সিংহ দরজার মুখে বড় মার্বেলের ফলকে লেখা লর্ড বেন্টিকের নাম। সেই সময় তিনি এই প্রয়াসকে অনেক প্রশংসা করেছিলেন। সেই কথাও লেখা আছে মার্বেলের ফলকে। তিনি একটি কল বসিয়েছিলেন যেটি দিয়ে এই অঞ্চল ধোয়ানো হত গঙ্গা থেকে জল নিয়ে। কর্নেল উডের মানচিত্র অনুযায়ী সতেরো শ চুরাশিতে বাবুঘাটকে ধরা হত দক্ষিন কলকাতার সেশ সীমান্ত।  তবে এখন সে সব অতীতের কাহিনী হয়ে রয়েছে। শুধু উজ্জ্বল হয়ে আছে বাঙালির রানী- রানী রাসমনির নাম। 
॥ সফিনা ॥ (the boat was in the upstream) ভাটার টাইনে তীরে আসি ঠেইকসে বন্ধু আমার সাহিলে নিশুতি এক মাহতাবি রাইত আসমান পানে চেয়ে মুখখানি তার । তারে আঁশটে হাতে বুকে জড়ায়ে মিহি বালির পথ ধইরে ঘরে ফিরেসি কৃপাসিন্ধুরে লয়ে বাতাসে কলঙ্ক আড়াল কইরে । সে দুইচোখ বুঁজে জাইল বোনে আমি নাম রাখসি তার ' সফিনা ' সাড়া দেয় নাই সে রাইত জুড়ে গোসা হয়েসে কিনা বুঝিনা । দেহতরী কূলের কিনারে বাঁধায়ে রেখেসিলাম তারে মন পাহারায় সাতরাইতে যে শেখে নাই বন্ধু এখনো ভেজা চুল ছুইলে ডরায় । ই ভবের ঘরে কাটাইলা বন্ধু দিন - দুই সাগরের গইল্প করসি রাত্রি জাগি শুনাইসি কন্যারে মাঝি মল্লার গান ঝিনুকের হাইর গলায় বাঁধিয়া রাখি । আমি যদ্দুর মনের ভাসাইসি ভেলা ঠাওর কী পাই অদ্দুর ? প্রেম দরিয়ায় এমন তুফাইন আইলে পালায় বাঁচুম কদ্দুর । জোয়ারে আঘাত করি কলিজায় উড়ায়ে নিল লাল নিশান , ডুবায়ে তরী পথ হারায়েও খুঁজি তারে গভীর জইলে ফিরে দেখি সাহিল চলি গেসে ঘর ছাড়ি । ...
বিগত ৭ই ডিসেম্বর  বিকেলে নৈহাটী নয়াবাজার অঞ্চলে আদাব নাটকের পথনাটিকা শো পুলিশ প্রশাসন বন্ধ করে দিল......ঘটনাক্রমের বিবরণ নিচে ---- বিকেল 5 টা নাগাদ মৌলবাদ ও ফ্যাসীবাদ বিরোধী একটি নাগরিক ভ্রাম্যমাণ প্রচার উদ্যোগ নয়াবাজার মোড়ে পৌঁছায়। সামাজিক ঐক্য বজায় রাখার বার্তা নিয়ে দুটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর আদাব নাটকটি চলাকালীন পুলিশের একটি RT VAN নয়াবাজারে মোড়ে এসে দাঁড়ায় এবং নাটক দেখতে গোল হয়ে জড়ো হয়ে থাকা স্থানীয় কিছু মানুষের জমায়েত দেখিয়ে প্রশ্ন করে এই প্রোগ্রামের অনুমতি কোথায় ??? এবং তৎক্ষণাৎ নাটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।  আমরা বলি যে অনুমতি তো প্রয়োজনীয় নয়, স্রেফ ইন্টিমেট করাটাই দস্তুর।  তখন বলা হয় যে আপনাদের ইন্টিমেশন কোথায় ??   আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাবে জানাই যে আমাদের দু-দুবার থানায় বসিয়ে অপেক্ষা করানোর পরও চিঠি রিসিভ করা হয়নি। তথাপি আমরা মৌখিকভাবে জানিয়ে এসেছি। প্রত্যুত্তরে তারা জানায় যে পুলিশের অনেক কাজ -- আমাদের কাজ করার জন্য তারা বসে নেই। আমরা কেন আবারও থানায় গেলাম না ?? এবং নয়াবাজার ফাঁড়ির বড়বাবু কে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পত্রপাঠ শো বন্ধ করে হাজিনগর...

একটু জায়গা হবে

--------------------------------------------------------------------------------------চয়ন পন্ডা মহাপাত্র একটু জায়গা হবে? হেলান দিয়ে বসতাম! কোন সিংহাসন সদৃশ অাসনে নয়, ছায়াযুক্ত বৃক্ষের তলায় হলেও চলবে! একটু শ্রান্তি হবে? ক্লান্তিটাকে বিসর্জন দিয়ে খুঁজতাম একটু সুখের পরশ। কোন রাজপ্রাসাদ সমতুল্য প্রাসাদ নয়, ছোট্ট একটা হাওয়াভরা কুটির হলেই চলবে! একটু ভালবাসা হবে? মায়ার বাঁধনে বেঁধে মুক্ত করব নিজেকে। সাগর সমান নয়। এক ফোঁটা হলেই চলবে! স্বার্থপর পৃথিবীর খেলায় অামি বড্ড ক্লান্ত, ভালবাসাহীন! কেউ বলেনা- কেমন অাছি!!!

প্রথম প্রেমে পড়া

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------- © Kritee Roy ধরে নাও সদ্য একুশ তুমি, আমি ঠিক অষ্টাদশী গামী। তোমার ওই প্রথম প্রেমে পড়ার চুমুটার প্রথম শরিক আমি... ধরে নাও তোমার হাতটা ধরে, ফাগুনও দিব্বি কেটে গেলো... চাকরির প্রথম খবর পেয়েও ডায়ালে খুঁজছো আমায়,"হ্যালো..." ধরে নাও অনেক দূরের পাহাড়, সূর্য আঁকছে প্রথম ফোঁটা... আমরাও আলগোছে ঘুম ভেঙে দেখছি পরস্পরের ওঠা... ধরে নাও এক চাদরেই দু'জন। অপেক্ষা শুধুই সন্ধ্যে নামার... ভেজা এক উইন্ডো গ্লাসে তুমি, আঙুলে নাম লিখেছো আমার... শখেদের বাজেট খুবই লো!... খড়কুটো, মার্কেটপ্রাইজ হাই। তবুও বাবুই পাখির দেশে, একফালি ঘর বাঁধতে চাই... যেখানে অথৈ রঙের খুশি সারাচ্ছে দিনান্তে সব ক্ষত... সময় কি তেমন সুযোগ দেবে!? খানিকটা পিছিয়ে যাওয়ার মত? তেমন এক যৌথ বাঁচি চলো, ঝেড়ে ফেলে ব্যর্থতাদের ছাই... যে ঘরে এফএম জুড়ে সুমন অঝোরে গায় "তোমাকে চাই"...

4 CRPF Jawans Dead as Colleague Opens Fire at Chhattisgarh Camp

Four CRPF personnel, including two sub-inspectors (SIs), were killed and another wounded when their colleague allegedly opened fire at them in the Naxal-affected Bijapur district of Chhattisgarh on Saturday . The fratricide was reported around 5 pm at a camp of the Central Reserve Police Force's 168th battalion under Basaguda police station area of the Bijapur, said Raipur’s Deputy Inspector General of Police (Dantewada range) Sundarraj P. According to preliminary information, constable Sanath Kumar allegedly opened fire with his service weapon, an AK 47 rifle, leaving four personnel dead on the spot and another injured, he said. Three of the four CRPF men killed in the fratricide were senior to Kumar. They have been identified as SIs Vikey Sharma, Megh Singh, Assistant SI Rajveer Singh and constable Sankara Rao, the IPS officer said. ASI Gajanand suffered injuries in the incident, the DIG said. The bodies and the injured ASI were evacuated from Basaguda to Bijapur at...
একদিন সবার আড়ালে গিয়ে তোর চোখের কাজল ঘেটে দেব... তুই লজ্জায় চুপ করে আমার বুকে মাথা লুকোবি... আর তোকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরব... একদিন অফিস শেষে ময়দানে বসে,তোর সাথে ঝালমুড়ি খেতে বসব... সারাদিনেরক্লান্তি নেবে আসবে আমার শরীরে... তখন তোর কোলে মাথা রাখব... আর তুই আমার চুলে বিলি কেটে দিবি... একদিন কোনো একটা দুর্ঘটনার খবর শুনে তুই আমার বাড়িতে দৌড়ে চলে আসবি... গায়ে অল্প কিছু ক্ষত দেখে কেঁদে উঠবি খুব... সেদিন তোর চোখের জল মুছিয়ে দিতে দিতে বলব..."ধুর পাগলী,কিছুই হয় নি আমার... তুই আছিস তো"আমায় বুকে টেনে নিবি সেদিন... আর মনে মনে বলবি..."তুমি না থাকলে যে..." আর শক্ত করে জড়িয়ে ধরবি... একদিন,তোর জন্মদিন ভুলে যাওয়ায় খুব রাগ করবি তুই... কিন্তু বাড়ি ঢুকেই দেখবি তোর জন্যই অপেক্ষা করছি,আর বলব "কি,কেমন চমকে দিলাম?"আর তুই বলবি..."পাগল একটা" অতীত কে দেখে কোনো একদিন বলবি "আমরা পারবো তো?" সেদিন কিছুই বলব না আমি... কয়েক বছর পর সবার সামনে তোর সিঁথি রাঙিয়ে দিয়ে বলব..."এই যে পারলাম" একদিন সবই পারবো,যদি আজ হাত ধর...

আমার এ চোখ অবরোধ ডেকেছে

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------- চয়ন পন্ডা মহাপাত্র  আমার এ চোখ অবরোধ ডেকেছে, এক মুঠো কান্না চাই ভিক্ষা, অন্তরালে পাথুরে বুক বিগলিত হয়ে- গড়ে তুলেছে বহমান তীব্র স্রোতধারা... দৃষ্টি গোচর করো অন্তরাত্মার, নয় চামড়ার কোন চোখে, দেখবে জমাট বাঁধা লাল ধারা, ইচ্ছে হলেই গ্লানি ধুয়ে নিও তাতে... মৃত্যু অনেক বরণ করেছি আমি, মরতে পারিনি আজো, বারবার তুমি খুনি হয়েছ, যতবার রক্ত সিঁদুরে নিজেকে সাজিয়েছ... রক্তের স্রোত অশ্রুর নোনা স্বাদে, অঞ্জলি আমি অনেক দিয়েছি তোমার দুটি পায়ে, তুমি ঠেলে দিয়েছ তারে দূরে বারেবারে, অথচ তুমিই চেয়েছ আমায়, পূজারী করে তোমার মনঃমন্দিরের দ্বারে... দেবী তোমায় তখনও মেনেছি, এখনো ভাবি যত করে, তুমি কি তবে পূজারী ভুলে, অন্য দেবের সন্ধান নিলে খুঁজে... নারী তুমি, কর্তার সঙ্গ নিশ্চিত মানি মেলে, পূজারী আমি, পাপী জানি, তবু এমন একনিষ্ঠ ভক্ত আর কোথায় কী পাবে...? জেনে রেখো তুমি পাছে, ভালোবাসা পেতে আগে, ধর্মের আসনে বসাতে হয় তাকে, স...

অপেক্ষার ৭০ বছর পর

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------- চয়ন অপেক্ষার ৭০ বছর পর আকাশ জুড়ে এই চাঁদ, সম্মুখে জ্যোৎস্না ভেজা দিগন্ত জোড়া সমুদ্র, যুবক দাঁড়িয়ে সৈকতে। . ঢেউয়ে পা ভেজে, জোছনায় ভেজে গা, পাশে এসে দাঁড়াবার, হাত ধরে জলরাশি দেখবার কেউ থাকে না, ময়লা জিন্সের পকেটে দুহাত গুঁজে দিয়ে চোখে হাতড়ায়, পাষাণ সমুদ্রের শেষ কোথায়... . বন্ধুরা জিজ্ঞেস করে, তোর কি ইচ্ছা ? - তোরা যা করিস তাতেই খুশি। কেউ অপমান করে, মুখ বুজে সবটা সয়ে নেয়,  আর কেউ জানতেও পারে না। কেউ কেউ হুমকিও দিয়ে বসে, প্রত্যুত্তরহীনের মতন প্রস্থান করে যুবক... . অতীতের 'ভাল ছাত্র' তকমা পাওয়া ছেলেটি তার ক্ষয়ে যাওয়া অবস্থা সম্পর্কে অবগত। নিকোটিনের একটা ঘন দেয়াল গড়ে ঘিরে রেখেছে সে নিজেকে অন্যদের থেকে... . শোনা যায় তুমি নেই, তবুও এই সমুদ্র সৈকতে আমার পাশে এক বায়বীয় অশরীরী হয়ে তুমি থেকে যাও, আমার পায়ের পাশে আরো একজোড়া পায়ের ছাপ দেখতে  পাওয়া যায়... . বারবার ঢেউ এসে সে ছাপ ধুয়ে দিয়ে যায়, তবু মুছে যায় না বেদনার বালুর...

।।ইতি।।-

------------------------------------------------------------------------------------------- MIR ANU আর দেখা করতে পারবে না পুপুর সাথে এটা যেদিন পুপু কে জানিয়েছিল বাবাই পুপু হতবাক হয়ে বার বার জানতে চেয়েছিল কেন বাবাই এসব বলছে । পুপু-সাহেব এপ্রিল ফুল করার চেষ্টা করিসনা ঢঙ শুধু প্রত্যেকবার ই করার চেষ্টা করিস আলটিমেটলি ধরা ও পরে যাস তাই এবছর খুব প্রাকটিস করে মাঠে নেমেছিস উ আর রিয়েলি মাই লিটল্ কিড ইডিয়ড। আচ্ছা পরশু ৩রা এপ্রিল আমার জম্মদিন ..কি দিবিলে ভালু(বাবাইকে ভালবেসে) বাবাই- উফফ্ মেম দিস টাইম আই অ্যাম সিরিয়স, যথেষ্ট বড়ো হয়েগেছিস তুই ছেলেমানুষি ছাড়, বি প্র্যাকটিকাল ম্যান... পুপু প্রচন্ড অবাক হয়ে যায়, তার সাহেব তো এই ছেলেমানুষি গুলো নিয়ে কত খুশি হত আর বলত "এই টিঁয়া পাখি এমনি ছেলেমানুষ ই থাকিস কক্ষন বদলাবিনা(কপালে স্নেহ চুম্বন এঁকে দিয়ে)" আজ খুউউউউবব অচেনা লাগছিল তার সাহেব কে । পুপু নিরুওর হয়ে যায় চুপ করে বসে থাকে বাবাই এর পাশে। বেশ খানিক পর বলে" হু কেন ডেকেছিস বল তাড়াতাড়ি"  বাবাই- কিসের তাড়া তোর যে আমাকে উপেক্ষা করে যেতে হবে? পুপু- ওওও ওটা করার অধিকার তোর একার তাইনা?...