সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এ যেন এক রূপকথার গল্প....


 যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন! যিনি চুলও বাঁধেন তিনি নাচও করেন। যিনি নাচও করেন তিনি র‍্যাম্পেও হাঁটেন। যিনি র‍্যাম্পেও হাঁটেন তিনি অফিসও সামলান। তখন এখানে সদ্য শীতের হাওয়া, তখন এখানে আড়মোড়া ভাঙা রোদ এসে পড়েছে সবে। ফোনের ওপারে শুনছি একটি বাচ্চা মেয়ের জিজ্ঞাসা করছে, " মা, কার সঙ্গে কথা বলছো?" তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাত। তীব্র শীতের হাওয়া। তবুও তনয়া রায় তাঁর কর্তব্যে অবিচল। অবিচল তাঁর লক্ষ্যে।


বহরমপুরের মেয়ে প্রাক্তন যাদবপুরের ছাত্রী তনয়া রায় আসলে একজন সাধক, যিনি বাঙালি সংস্কৃতির কান্ডারী। দেশে এবং দেশের বাইরেও যিনি নিজের শিকড়কে ভুলে যাননি। ইদানীং মিসেস ভারত ক্যালিফোর্নিয়া বিজেতা হয়েছেন তনয়া। এছাড়াও মিসেস ভারত উএসএ-এর রানার্স আপ হয়েছেন। তাঁর যদিও দৌড় সবে শুরু। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন," বিজেতা হয়ে কার না ভাল লাগে। তবে জীবনে এখনও অনেককিছু করা বাকি। এটা তো সবে শুরু। আগামী দিনে আরও আরও কাজ করব।"



তনয়ার আসলে পরিধিটা বিশাল। তনয়া মনে প্রাণে একজন নৃত্যশিল্পী। তিনি ওই দেশে গড়ে তুলেছেন একটি নৃত্য একাডেমি। নাচ শেখান। আবার এর পাশাপাশি চুটিয়ে থিয়েটার করেন। তিনি জানালেন," দেশে থাকাকালীন সেইভাবে থিয়েটার করা হয়নি তবে এই দেশে প্রচুর কাজ করেছি এবং করছি।" এখানেই শেষ নয়, তিনি একটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। সিনেমার নাম ঘুড়ি। যদিও তিনি ওই সিনেমার খুব একটি ছোট ভূমিকায় ছিলেন তবুও তনয়ার বক্তব্য," সুযোগ পেলে সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজে কাজ করার ইচ্ছে আছে।"


এই বছরের শুরুতে তনয়া নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন ইউকে অংশ নেবেন। গত বছর ২০২২ বঙ্গসম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি নৃত্য পরিবেশন করেছিলেন। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া অর্গানাইজেনেশ ইউএসএ তাঁকে বিশেষ সংবর্ধনা প্রদান করেন 'উমেন এমপাওয়ারমেন্ট এন্ড আর্ট'-এর জন্য। শুধু তাই নয় কোভিড এবং আমফন বিধস্ত বাংলার জন্য তিনি অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন।


ছোট থেকে একটি সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বড় হয়ে ওঠা তনয়ার। বাবা-মা দুজনেই সংস্কৃতির কান্ডারী। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তনয়ার রক্তেই ছিল সংস্কৃতি। একধারে সংসার সামলে, অফিস সামলে নিজের ইচ্ছেগুলো এক এক করে পূরণ করছে তনয়া। নারীদের স্বাধীনতা নিয়ে বেশ সোচ্চার তিনি। তাঁর মতে সবাইকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা জরুরি। এত কিছুর পাশাপাশি নিজের পরিবার সম্বন্ধে জানালেন," আমার স্বামী খুব হেল্পফুল। আমাকে সব বিষয়ে খুব সাপোর্ট করে।"

তনয়ার বিভিন্ন দেশ ঘোরার ইচ্ছে। ইচ্ছে জীবন নিয়ে গল্প বলার। তিনি জানালেন," জীবনে ইচ্ছে আছে একদিন একটি প্রযোজনা সংস্থা খোলার।" মডেল তনয়া রায় সব রকম পোশাকে যেমনি অভ্যস্ত তেমনি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিও সবার থেকে আলাদা। আপাতত তাঁর দৌড় বহুদূরের জন্য, আপাতত তার গন্তব্য অসীমে....

(সাক্ষাৎকার-আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত)

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...