সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অস্নির অগ্নিমন্থনের গল্প....

এ যেন স্বপ্নের উড়ান, এ যেন একমুঠো রূপকথা। একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অন্ধকার ভেঙে হঠাৎ লাইম লাইটের নীচে দাঁড়ানো। বিমান সেবিকা হতে হতে অভিনেত্রী হওয়ার গল্প খুব সহজেই যেন হাতের মুঠো ছুঁয়ে যায় এইরকম একটা শীতের সন্ধে। এই রকম একটা নস্ট্যালজিক জানুয়ারী। অভিনেত্রী অস্নি দাসের প্রথম কাজ। প্রথম বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করা। অস্নির অগ্নিমন্থন কেমন হলো সেটা হয়ত এই সপ্তাহ অতিক্রম করলে জানা যাবে, তবে তাঁর লাইম লাইটে আসার গল্পটি কিন্তু কাকতলীয়। নিজের কিছু ফটোশুটের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতেই একের পর এক ডাক আসে। আসতে থাকে কাজের প্রস্তাব। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন যে বিমান সেবিকা হবেন কিন্তু ভাগ্যের এ এক নিদারুণ ইচ্ছে যে তাঁকে আর বিমানে স্বপ্নের উড়ান দিতে হয়নি, তিনি নিজের অভিনয়ের দক্ষতাতেই উড়ে গিয়েছেন বহুদূর।



আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, " বড় পর্দায় এটি আমার প্রথম কাজ। তবে সবটাই খুব তাড়াতাড়ি হয়ে গিয়েছে। এতটা আমি নিজেও ভাবিনি। তবে সবটুকুই কর্তৃত্ব যায় এই সিনেমার পরিচালক প্রবীর রায়ের। তিনিই আমাকে তৈরি করে নিয়েছেন।" একটু থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, " এই সিনেমায় আপনার চরিত্রটা কেমন?" তিনি জানালেন, " এই সিনেমায় আমার চরিত্রের নাম দিয়া। যে একদম মুক্ত বিহঙ্গের মতো। যে একটা প্রতিবাদের প্রতীক।" বলে একটু থামলেন তিনি। জিজ্ঞাসা করলাম, " আর ?" হাসতে হাসতে অভিনেত্রী বললেন, " সবকিছু বলে দিলে হবে, বাকিটা দেখার জন্য তো সিনেমা হলে আসতে হবে। সিনেমাটা সপরিবারে দেখতে হবে।",
জিজ্ঞাসা করলাম, " বাংলা ধারাবাহিক করার ইচ্ছে নেই?" উনি জানালেন, " নিশ্চয়। কেন করব না। আমায় কাছে এখন অভিনয়টাই সব। ভাল অভিনয় করতে চাই। সেটা যে কোনও মাধ্যমেই হোক। ধারাবাহিক হতে পারে কিংবা ওয়েব সিরিজ কিংবা বড় পর্দার কাজ।"



আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, " চরিত্রের প্রয়োজনে বোল্ড হতে পারবেন?" তিনি একটু ভেবে জানালেন, " সেটা গল্পের উপর কিছুটা নির্ভর করছে। যদি মনে করি সেটা গল্পের জন্য প্রয়োজন তাহলে করতে অসুবিধা নেই। তবে সেটা যেন আমার শালীনতা না লঙ্ঘণ করে।" কথা কথা বলতে বলতে মনে হলো অভিনেত্রী যেন অগ্নিমন্থন করলেন।

অগ্নিমন্থন এই সময়ের গল্প। এই সমাজের কথা। ফেস এর নিবেদন এবং রয়েজ মিডিয়া এন্ড এন্টারটেনমেন্ট এর প্রযোজনার নিবেদন এই সিনেমা। এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন বিশিষ্ট অভিনেতা মেঘনাদ ভট্টাচার্য। এছাড়াও রয়েছেন আরও অভিনেতা-অভিনেত্রী। গত ১৩ই জানুয়ারী রিলিজ করেছে অগ্নিমন্থন।
সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, " অভিনয়-এর বাইরে আর কী করতে ইচ্ছে করে?" উনি হাসতে হাসতে বললেন, " জিম করতে খুব ভালবাসি। নিজের ওয়েট মেন্টেন করতে ভালবাসি। তাই একদিন ইচ্ছে আছে একটা জিম খুলব।"
আপাতত অস্নি নিজের দৃঢ়তা দিয়ে অভিনয়টা করতে চান। অগ্নিমন্থন করতে চান। 

(ছবি-সংগৃহীত)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

"যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই" :শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায়

  আজকাল সুস্থ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকি। ইদানীং কালে খুব কম বয়সে হৃদরোগের কিংবা ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আরও জটিল প্রাণঘাতী রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। প্রতিদিন সময়ের তালে ছুটে চলার তাগিদে আমাদের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। আর এই কঠিন সময়ে শরীরচর্চার যে সময়টুকু পাওয়া যায়, আমরা অনেকেই জিমে গিয়ে ভারী ভারী লোহালক্কর তুলে থাকি আবার অনেকেই ভোরবেলা হেঁটে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে যোগঅভ্যাস আর প্রাণায়ামের সুখ্যাতি আছে। অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন। অনেকের জীবনে   বদলে দিয়েছে যোগঅভ্যাস। তবে জিম না যোগঅভ্যাস এই নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক আছে। নাকি শুধুমাত্র হাঁটলেই মিলবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি? তর্ক চলবেই। অনেক বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েই থাকেন তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে যোগঅভ্যাসের একটা বিরাট প্রচলন শুরু হয়েছে। বিশেষত একটা সময় বয়স্করা প্রতিনিয়ত যোগঅভ্যাস করে থাকলেও ইদানীং সববয়সীদের মধ্যে এই প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ শিবগঙ্গা টিঙ্কু গঙ্গোপাধ্যায় আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে জানালেন যে," যোগব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। প্রাণায়াম এবং যোগব্যায়াম একজন মানুষকে সম্পূর্নরূপে বদলে দিত...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

শীতের শহরে পারদ বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তনী, কালো পোশাকে ছড়িয়ে দিলেন মায়া

  শীতের ছুটিতে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। দক্ষিণ গোয়াতে জলকেলি করলেন উষ্ণতার সঙ্গে।  তাঁর কালো পোশাক পরিহিত ছবি মায়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। এই শীতে তাঁর উষ্ণ ছবি শহর কলকাতার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে।  তাঁর এই গোটা ভ্রমণ স্পন্সর করেছিল ফার্ন হোটেল এবং ক্লিয়ারট্রিপ।  তাঁর ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবির সারি। 'সমান্তরাল', 'উমা', 'এক যে ছিল রাজা'  কিংবা 'লালবাজার' মতো ওয়েব সিরিজে তাঁর সাহসী অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁর চাওয়া-পাওয়াটা বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায় 'কিরণমালা', 'জয়ী', 'সাত ভাই চম্পা'-এর মতো কাজ দর্শক আজও মনে রেখেছে। তিনি আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক বেশি কাজ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা এখন শুধুমাত্র ভাল কাজের জন্য মুখিয়ে আছেন। মুখিয়ে আছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সুপারহিট কাজ দিতে। শুধু বাংলা কেন, বাংলা ছাড়াও বাকি ইন্ডাস্ট্রি যেমন হিন্দি কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রিতেও ভাল চরিত্রে কাজ করতে  তিনি প্রস্তুত। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মায়া - এর মতো হিট বাংলা ছবি।  ত্রিভুজ রিলিজ করতে চলেছে আর কিছু...