পশুদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা কি সম্ভব? তাও আবার মানুষের ক্ষেত্রে? পশুপ্রেমীরা বলে থাকেন,আমরা পোষ্যদের ভাষা বুঝি। তবে সেটা তো আবেগ থেকে আসে। সত্যিই কি পোষ্যদের ভাষা বোঝা সম্ভব?
শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজরা যদিও বলছেন, " হ্যাঁ পশুদের ভাষা বোঝা সম্ভব।" পশুদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারী হিসেবে কাজ করেন শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজরা। কলকাতার বুকে এই কাজ খুব একটা কেউ করে না বলেই জানে কলকাতাবাসী। তবে মুষ্টিমেয় যে কজন মানুষ এই কাজ করেন তার মধ্যে শুক্লা অন্যতম। অন্তত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ দেখলেই সেটা বোঝা যায়। খুব বেশিদিন যদিও হয়নি তিনি পশুদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারী হিসেবে কাজ করছেন এবং এই কম সময়ের মধ্যেও কিছুটা সুনাম সংগ্রহ করেছেন। তবে ওইসব নিয়ে একটুও ভাবিত নন শুক্লা। তাঁর ভাষায়, " আমি এমন একটা কাজ করছি সেটা অনেক অনেক পশুপ্রেমীদের মনে হাসি ফোটাচ্ছে।
ছোট থেকেই পোষ্যদের মাঝে বড় হয়ে উঠেছেন শুক্লা। তাই ওদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অনেকদিনের। তবে একটি বিশেষ ঘটনা তাঁর জীবনের মোড় বদলে দিয়েছিল। তাঁর ভাষায়, " পশুদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে গেলে কিংবা তাঁদের ভাষা বুঝতে গেলে নিজেকে অনেক পড়াশুনা করতে হয়। শিখতে হয়। আমিও একজন পোষ্যস্থাপনকারকের থেকে শিখেছি। তারপর অনেক অনেক কাজ বিনা পারিশ্রমিকে করেছি শুধুমাত্র এটাই দেখার জন্য যে আমি কতটা তৈরি।"
একটু থামিয়ে ওনাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, " কী করে এই কাজটা করেন?" তিনি বললেন, " পুরো ব্যাপারটা টেলিপ্যাথিক। আমাকে ওই বিশেষ পশুটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হয়। সেটি বিড়াল, কুকুর, খরগোশ কিংবা অন্য যা কিছু হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে পোষ্যটির একটি ছবি লাগে আর তার নাম। অনেক ক্ষেত্রে এমন হয় পোষ্যটি হারিয়ে গিয়েছে মালিক তার খোঁজ করছে সেক্ষেত্রে তারা আমাদের মতো পশুযোগাযোগ কারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অথবা অনেক সময় পোষ্যটির অযাচিত আচরণ তাদের মালিক বুঝতে না পেরে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।" একটু থেমে তিনি আরও জানালেন যে, " এই পুরো ব্যাপারটা ভাবতে সোজা হলেও ব্যাপারটা খুব জটিল। আমাকে অনেকটা সময় নিয়ে মেডিটেশনে বসতে হয়। ওই বিশেষ পোষ্যটিকে বুঝতে হয়। তাদের মতো করে ভাবতে হয়।"
অতএব আপনার পোষ্যটি কি হারিয়ে গিয়েছে কিংবা তার ভাষা আপনারা বুঝতে পারছেন না? তাহলে কিন্তু আপনার যোগাযোগ করতে পারেন শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজরার সঙ্গে। যদিও এই পশুদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকরা নিয়ে বহু মানুষের দ্বিমত আছে, হয়ত থাকবেও তবুও এই বিজ্ঞান কিন্তু আদিকালের। অন্তত ইন্টারনেট তাই বলছে। তাই আপনার পোষ্যটির ভাল-মন্দ আপনার হাতে।
সুন্দর প্রতিবেদন
উত্তরমুছুনএই কাজ টি আমার পরিচিত অনেকেই জানেন এমনকি কলকাতায , বাঙ্গালোরে ও আছেন। আমি নিজেও অল্পবিস্তর শিখেছি। প্রচুর অভ্যাস করতে হয়। ম্যাজিক নয়।
উত্তরমুছুন