সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নিত্যই নৃত্য, জীবনটাই নৃত্য…..


 ট্রেডমিলে হাঁটতে হাঁটতেও নাচের ভঙ্গি! নৃত্যই জীবন, নিত্যই নৃত্য। এটাই রুমেলী দত্ত মজুমদারের বীজমন্ত্র। এটাই রুমেলীর বেঁচে থাকার গান। বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী রুমেলীর নাচের সঙ্গে পরিচয় মাত্র আড়াই বছর বয়সে। তারপর কলেজে জীবন পর্যন্ত আক্ষরিক অর্থে নাচের তালিম নেওয়া এবং একটা সময়ের পরে নিজেকে নৃত্যশিল্পী হিসেবে তুলে ধরা। এখানেই শেষ নয় তারপরে নিজের একটি সংস্থা 'রুমেলী এবং রিদিমস' গড়ে তোলা। বিদেশ থেকে দেশ, সব মঞ্চেই সমান আদরে সম্মান পেয়েছে রুমেলী। সব দেশেই পরিচিত হয়েছে শিল্পী হিসেবে। এত কম সময়ে এত সাফল্য পেয়েও রুমেলী অকুতোভয়, নির্বাক। তাঁর লক্ষ্য ভাল মানুষ হওয়া। তাঁর লক্ষ্য আরও ভাল কাজ করে যাওয়া।

আসলে প্রত্যেকটা সাফল্যের পিছনে একটা গল্প থাকে। রুমেলীরও আছে। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, '' আমি এমন একটি পরিবারে বড় হয়ে উঠেছিলাম যেখানে সংস্কৃতির পরিবেশ আগে থেকেই ছিল। তবে কেউ নাচের সঙ্গে যুক্ত ছিল না।"একটু থেমে তিনি আরও জানালেন, " একটা সময় পর্যন্ত নাচ শিখেছিলাম। তবে একটা বাদে আমাকে বিদেশ চলে হয়। তখন আমার খুব কষ্ট হয়েছিল কলকাতাকে ছেড়ে যেতে, কারণ আমার নাচের পীঠস্থান ছিল কলকাতা। তবে বিদেশে গিয়ে প্রথম কিছুমাস খারাপ কাটলেও আমি ধীরে ধীরে ওইখানে নাচের প্রস্তুতি শুরু করি। তারপর কিছু জায়গায় নাচ শেখানো, নাচের শো করা। ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক হয়ে গেল। আমি আবার আমার হারানো মঞ্চটা খুঁজে পেলাম।"

একটু থেমে তিনি আরও জানালেন,নিজের মতো করে নাচের ভাষা খুঁজে পেয়েছেন। তাঁর কথায়, '' নাচ মানেই কোমড় দোলানো নয়। নাচ মানে নিজের মনের কথা অন্যকে বলা। নিজের ভাষা অন্যকে বোঝানো। " একটু থেমে আবার বললেন, "নাচের নিজস্ব ধরণ যেমন আছে ঠিক তেমনি নাচের একটা ধরণ আমি আমার মতো করে তুলে ধরছি। নতুন ধরণ। নাম দিয়েছি রসা ক্যাডেন্স।"

যদিও তিনি আবার মাটির টানে এইদেশে ফিরেছেন। নাচের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। শো করছেন। আবার অনলাইনে বিদেশে দিব্যি ক্লাসও নিচ্ছেন। ওই যে শুরুতে বললাম নিত্যই নৃত্য। তবে নাচের পাশাপাশি তাঁর প্রিয় কাজ ছবি আঁকা, গান শোনা। তিনি আরও জানালেন যে, " মাঝে বেশ কয়েকটা সিনেমায় কাজের অফার পেয়েও প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। তবে ইচ্ছে আছে সিনেমায় কাজ করার।" সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, " প্রেম নিয়ে কী বলবেন?" তিনি হাসতে হাসতে জানালেন, " নাচই আমার প্রথম প্রেম।"

মন্তব্যসমূহ

  1. Rumeli dir nach amar khub bhalo lage. Ami regular follow korii❤

    উত্তরমুছুন
  2. Inspirational narrative and wishing you the very best for you to reach the pinnacle of success. Stay blessed !!!

    উত্তরমুছুন
  3. Sotti sundor tomar naach o naacher vongima..aaro egiye jao, God bless you my child

    উত্তরমুছুন
  4. You are a fabulous dancer...your dancing moves and expressions are flawless and classy...and above all you are a very nice human being and a responsible teacher...I am very happy as a mother that you are my kid's teacher ..she is in good hands ..she will learn stylish dance as well become a good human being.

    উত্তরমুছুন
  5. খুব ভালো লাগলো blogটা পড়ে - রুমেলী, তোকে আরও নতুন করে চিনলাম - তোকে যতই দেখি, যতই জানি - তোর সান্নিধ্য পাওয়ার, তোকে নিয়ে কাজ করার আকাঙ্ক্ষার পরিধি ততই বাড়তে থাকে - গর্বিত আমি তোর মত একজনকে ছোট্ট বোনের মত কাছে পেয়ে - এগিয়ে চল - নৃত্যজগতে উজ্জ্বল এক নক্ষত্র হয়ে চিরকাল বিরাজ কর, এই কামনাই করি

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...