সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আটপৌরের মুখোমুখি ফুডকা


খাই খাই বাঙালির যেমন খেতে ভালবাসে ঠিক তেমনি খাবার দেখতেও ভালবাসে। অনেক বাঙালি তো রাতে ঘুম না এলে শুধুমাত্র খাবারের ভিডিও দেখে ক্ষুধা নিবারণ করে। আজব বাঙালির আজব ইচ্ছেগুলো চিরকালই ছিল তবে এই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই ইচ্ছেগুলো আরও একটু রঙ পেয়েছে। ফুড ব্লগিং এখন বাঙালির অন্যতম নেশা এবং পেশা। ধীরে ধীরে সামাজিক ভাবনা বদলাচ্ছে এবং বাঙালি যে ব্যবসা করতে পারে না সেই মিথ ভাঙছে। সোশ্যাল মিডিয়ার যে সময় থেকে ফুড ব্লগিং শুরু হয়েছিল সেই সময়ে যাঁরা ফুড ব্লগিং ব্যাপারটা মোটামুটি বাঙালির কাছাকাছি নিয়ে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে ফুডকা অন্যতম। অর্থাৎ ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী এবং মীর। তবে ফুডকা বলতে আমরা ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ীকেই চিনি। একজন বেশ লম্বা চওড়া সাদা চুলওয়ালা ভদ্রলোক খেতে খেতে বাঙালিকে খাওয়ার ইতিহাস শোনাচ্ছেন!

আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী জানালেন, " প্রথম দিন থেকেই আমরা কয়েকটা ব্যাপার ঠিক করে নিয়েছিলাম। কোনও খাবার খেলে সেটা খারাপ না ভাল ওটা বলার চেয়ে খবরের ইতিহাসটা মানুষের সামনে নিয়ে আসব।" একটু থেমে তিনি আরও জানালেন, " আমার প্রিয় কিছু স্বাদ আছে, অমুকের সঙ্গে তমুকটা খেতে ভাল লাগে। তাই বলে সেটা বাকিদেরও ভাল লাগবে এমনটা নয়। তাই ওই ব্যাপারটা আমরা এড়িয়ে যায়। খাবারটা খায়। গল্প বলি। তবে যদি দেখি খাবারটা সত্যিই বাজে তাহলে আমরা আলাদা করে সেই দোকানের মালিককে জানায়।" জিজ্ঞাসা করলাম, " কোথাও কি আপনার মনে হয়, ফুডকার সাফল্যের পিছনে মীরের অবদান রয়েছে?" লাহিড়ী বাবু হাসতে হাসতে বললেন, " এই ফুডকার ব্যাপারটা মীরের অবদান। ফুডকা মীরের ব্রেন চাইল্ড!"আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, " মীরের মতো সেলেব না থাকলে কি এতটা মাইলেজ পেতেন?" তিনি হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন, " আসল কথা হলো কন্টেন্ট। ওখানে জোড় থাকলেই হবে। বাকিটা এমনিই হয়ে যাবে।"




বাঙালিরা যেমন খেতে ভালবাসে তেমনি অন্যকে খেতে দেখতে! কথায় বলে এই নজর দেওয়ার জন্যই নাকি প্রচুর পেট খারাপ হয়। যদিও এইসবের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবে সেই কথার সূত্র ধরে জিজ্ঞাসা করলাম, "  আপনারা কী করে পেটের খেয়াল রাখেন?" তিনি হাসতে হাসতে বললেন, "  আসলে আমরা মেপে খায়, সব কিছু টেস্ট করি। তবে পুরোটা খেয়ে ওঠা হয় না।" আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, " ফুড ব্লগিং-এর ভাবনা কি অনেকদিনের ?" তিনি জানালেন ," ঠিক অনেকদিনের বললে ভুল হবে। আসলে বাঙালিরা খেতে ভালবাসে। আমি আদ্যপান্ত বাঙালি তাই খাওয়াতে অরুচি নেই। একটা সময় চাকরি করেছি তারপর ধীরে ধীরে নিজের ইচ্ছেটাকে প্রাধান্য দিয়েছি।"
জিজ্ঞাসা করলাম, " ইদানীং অনেকেই সবকিছু ছেড়ে ফুড ব্লগিং করছে! তোমার কি মনে হয় এটা ফুল টাইম পেশা হয়ে উঠতে পারে?" লাহিড়ী বাবু বললেন," হ্যাঁ। হতে পারে কেন, হয়েছে। আমি এমন অনেকেই চিনি যারা পুরো দমে শুধুমাত্র ফুড ব্লগিংটাই করে পেট চালায়।"


তবে ফুডকা প্রথম দিন থেকেই অন্য ধাঁচে গড়ে উঠেছে। প্রচুর দর্শক সেইসব ভিডিও দেখে যেমন উৎসাহিত হয়েছেন তেমনি খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসও জেনেছেন। জিজ্ঞাসা করলাম, " এখনও অবধি কোন জায়গায় খাবার এক্সপ্লোর করা হয়নি?" তিনি হাসতে হাসতে বললেন ," এখনও অবধি কলকাতাতেই কতকিছু এক্সপ্লোর করা বাকি আছে। এছাড়াও বাকি কত জেলা পরে আছে।" সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম, " আপনার কোন জায়গায় খাবার সবচেয়ে প্রিয় লাগে?" তিনি হাসতে হাসতে বললেন," সব জায়গার!"

(ছবি- সংগৃহীত)
 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...

রোগ চিনে নেওয়ার বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন ডাক্তার সোমনাথ বিশ্বাস

হৃদয়ঘটিত বিভিন্ন রোগের অশনিসংকেত বুঝবেন কী করে-( পর্ব ১) খাই খাই বাঙালির বুকে ব্যথা হবে না, এও কি সম্ভব? যুগে যুগে বাঙালি জাতি নিজেরাই ডাক্তারি করে মোটামুটি বুঝে নিয়েছে বুকে একটু-আধটু ব্যথা মানেই ওটা গ্যাসের সমস্যা। আসলে বাঙালি জাতি এটা মানতেই অস্বীকার করে যে বুকে ব্যথা হৃদয় ঘটিত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা অনেক সময় হার্ট এট্যাক এর লক্ষণও হতে পারে। উঁহু, অযথা ভয় পাওয়ার জন্য নয় এই লেখা নয়। উপরন্তু এই লেখা শুধুমাত্র একটা প্রাণ বাঁচানোর জন্য। তবে ডাক্তার বাবু বিশ্বাস মহাশয় কফি খেতে খেতে কহিলেন, " আধুনিক জীবনে আমি একটা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারলে, বুকে হঠাৎ ব্যথা হলে একটা ইসিজি করিয়েও দেখতে পারি। আমরা যদি বুকে ব্যথা ব্যাপারটা চেপে যায় তাহলে আর কি আধুনিক হলাম, তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়ে লাভ কোথায়?" কফির কাপে চুমুক দিয়ে ডাক্তার বিশ্বাস আরও জানালেন যে, " আমাদের বুঝতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটা এগিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদেরও এগোতে হবে। বুকে ব্যথা মানেই গ্যাস এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়া মানেই সমস্যার শেষ এটা ভাবা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" একটু...