সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

"প্রতিদিন শুটিং ফ্লোরের ওই কলটাই আমাকে একদম সতেজ রেখেছে।"


 তখন ঘড়িতে রাত এগারোটা। ফোনে মেসেজ ঢুকল অভিনেত্রী সদ্য ফাঁকা হয়েছেন। চেনা ছন্দে ফোন করে বসলাম। একই কন্ঠস্বর তবে আগের চেয়ে অনেকটা পরিণত মনে হল। মাঝে বেশ কিছুটা সময় বয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ রিলিজ করেছে। এর মাঝে তীরন্দাজ শবর রিলিজ করেছে। এই তো কিছুদিন আগে মহিষাসুরমর্দিনী রিলিজ হয়েছে। শুধু রিলিজ আর রিলিজ! গত দেড় বছরে অভিনেত্রী পৌলমী দাস অনেকটা পরিণত হয়েছে। গত দেড় বছর ধরে তিনি বাংলা ধারাবাহিকে চুটিয়ে অভিনয় করছেন। 'মেঘে ঢাকা তারা' ধারাবাহিকে তিনি মঞ্জরী নামক একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন।


হাতে গুনে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির এমন কয়েকজনের উল্লেখ করা যায় যারা বাংলা ধারাবাহিক, সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজে একসঙ্গে অভিনয় করে যাচ্ছেন। সেই তালিকায় কিন্তু অভিনেত্রী পৌলমী দাস অন্যতম। এই তো কিছুদিন আগেও লন্ডনে শুটিং সেরে ফিরলেন। পরিচালক অভিজিৎ গুহ এবং সুদেষ্ণা রায়-এর ছবি শেষ রক্ষা। জিজ্ঞাসা করলাম, " এত কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠছেন না?" তিনি সাবলীল ভাবে উত্তর দিলেন, " একদমই না। এখন এত কাজ করতে বেশ এনজয় করছি। ভালবেসে করছি তো তাই ক্লান্তি আসছে না। প্রতিদিন শুটিং ফ্লোরের ওই কলটাই আমাকে একদম সতেজ রেখেছে।"

একটু থেমে তিনি আরও জানালেন যে, " অরিন্দম শীলের ছবি ইস্কাবনের বিবির বেশ কিছুটা শুটিং শেষ হয়ে এসেছে।" তাঁকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, " সিনেমা না সিরিয়াল কোনটা বেশী এনজয় করছেন?" তিনি হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন, " অভিনয়টা এনজয় করছি।"  আবারও জিজ্ঞাসা করলাম, " ওয়েব সিরিজ করছেন এখন?" তিনি একটু ভেবে উত্তর দিলেন, " না এই মুহূর্তে কোনও ওয়েব সিরিজে কাজ করছি না। তবে বেশ কয়েকটা অফার এসেছিল কিন্তু সেগুলো করছি না আপাতত।" তাঁর ঝুলিতে বউ কেন সাইকো, কামিনী, চিক-ফ্লিক এর ওয়েব সিরিজ রয়েছে। শুধু ওয়েব কেন তাঁর কেরিয়ারের শুরুতে অসমাপ্ত, ঘুণ, কার্জনের কলম, কায়া এর মতো সিনেমা রয়েছে। শুধু তাই নয় চুটিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায়। এই তো কিছুদিন আগেই তাঁর প্রিয় জায়গা লন্ডন ঘুরে আসার স্মৃতি শেয়ার করলেন আটপৌরের সঙ্গে। তিনি জানালেন, " আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা লন্ডন। সেখানে গিয়ে যেমনি ঘুরেছি আবার চুটিয়ে শুটিংও করেছি।"

জিজ্ঞাসা করলাম, " কতগুলো মাধ্যমে কাজ করছেন, কোথাও গিয়ে বিরক্ত লাগছে না? " তিনি বললেন, " ভাল চরিত্র পাচ্ছি, তাই বিরক্ত হচ্ছি না। আমাদের ধারাবিকের কথাই যদি বলি, সেটা বাকি সিরিয়ালগুলোর মতো, বেশ আলাদা। আবার আমি যে পরপর সিনেমাগুলো করছি সেখানেও আমার চরিত্রগুলো অন্যরকম। প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জটা নিতে ভাল লাগছে।"

সবশেষে জিজ্ঞাসা করলাম," অভিনয় আর ঘুরতে যাওয়া ছাড়া আর কী চলছে? " অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বললেন, " শুধু অভিনয়ই চলছে।" একটু থেমে আবার বললেন," ভাল অভিনয়ই চলছে।"

(সাক্ষাৎকার- আদিত্য ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভূতে ভয় পেলেও, ‘ সেক্সি ভূত’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে ভয় পাননি সায়ন্তনী

টলিউড ডিভা সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ডেবিউ করে ফেললেন দক্ষিণী সিনেমায়। যদিও কিছুদিন আগেই তিনি আটপৌরেকে সে ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হোলিতে সিনেমাটি রিলিজ করার পর থেকেই তিনি খবরের শিরোনামে। যদিও তার কারণ, তিনি এই প্রথম একটি ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, একটি ‘ সেক্সি’ ভূতের চরিত্রে এবং তাঁকে নিয়েই গল্পটা গড়ে উঠেছে।  সিনেমার নাম, ‘ চিকাটি গাডিলু চিঠাকোটুন্ডু’। তেলেগু সিনেমায় কাজ করে বেশ উচ্ছ্বসিত সায়ন্তনী। এখানেই শেষ নয়, তেলেগু ইন্ড্রাস্টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তাঁদের কাজের ধরন তাঁর বেশ পছন্দ হয়েছে । ইতিমধ্যে আরও একটি দক্ষিণী সিনেমার প্রস্তাবও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গল্পটিতে দেখা যায় দুই যুগল জুটি ছুটি কাটাতে গিয়ে আটকে যায় একটি ভৌতিক বাড়িতে।  সেখানে তারা একটি সেক্সি ভূতের পাল্লায় পরে। তারপর গল্প আস্তে আস্তে অন্যদিকে মোড় নেই।  সায়ন্তনী আটপৌরেকে জানালেন , ‘’ আমাকে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে এই সিনেমার ব্যাপারে জানিয়েছেন! তাঁদের আমার চরিত্রটাও ভাল লেগেছে।‘’ ‘’ আপনাকে কেউ যদি রিয়েল লাইকে সেক্সি বলেন, সেটা আপনি কীভাব...

পনেরো মিনিটেই ফিট থাকার রহস্য, উপায় বাতলে দিলেন যোগগুরু

  আটপৌরের নিজস্ব প্রতিবেদন, নৈহাটিঃ  শরীরকে মন্দিরের আখ্যা দেওয়া হয়। আর সেই শরীরকে সর্বদা ঠিক রাখতে আমরা কত পন্থায় না অবলম্বন করে থাকি। আজকাল ইঁদুর দৌড়ের যুগ, আর এই যুগে সময় পাওয়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সময় বের করে শরীর চর্চা করার মতো সময় আমাদের কতজনের হাতেই বা আছে? মনের সুখে ছুটির দিন হাঁটলেই কি আমাদের শরীর ঠিক থাকবে নাকি সপ্তাহে প্রতিদিন জিমমুখী হতেই হবে ? যেমন আইটি সেক্টরে কর্মরত পার্থ সারথী চক্রবর্তী সোম থেকে শুক্র অবধি দম ফেলার সময় পায় না, অথচ কিছুদিন হল সে ঘাড়ের ব্যথায় কাবু। আবার সদ্য বিয়ে করা কৌশিক ভট্টাচার্য ইদানীং অফিস ফেরত সস্ত্রীক হাঁটতে বেরিয়ে নিজেকে ফিট ভাবছেন অথচ গত তিনমাসে তার দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও সে নিরুপায়, অফিস ফেরত ছাড়া তার সময় নেই। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে শরীর চর্চা আর হবে না। এই সময়ের অভাব অনেকেরই তা বলে কী শরীর সে কথা শুনবে। শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও সেই রোগ সারছে না। তবে ইচ্ছে থাকলে উপায় আছে, বলছেন বিশিষ্ট যোগ গুরু রাহুল তিওয়ারী। আটপৌরের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন যে খুব স্বল্প সময়ে ফিট থাকার জন্য কিছু প...

হেমন্তের উষ্ণ পরশ মিশিয়ে তালমায় ফিরল রোমিও জুলিয়েট, ঠোঁটে ঠোঁটে ' ফুল বডি রিলাক্স'

  আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ বাংলার রোমিও জুলিয়েটরা দর্শককে রাত জাগিয়ে ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্ব দেখতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, দুই নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রী  বাংলা সিরিজের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা বাজারে ভাল সিনেমা বা ওয়েবের কদর আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে পরিচালক অর্পণ গড়াই। ক্যামেরার পিছনে এবং সামনে আরও একবার উজ্জ্বল ভূমিকার অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলা সিনেমার  'ডন' অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবুও তালমার রোমিও এবং জুলিয়েট যথাক্রমে দেবদত্ত এবং হিয়া বাঙালি দর্শক মননে মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান হয়ে থেকে যাবে চিরকাল। যেখানে একটা সহজ সরল প্রেমকে স্রেফ টুকে দেওয়া হয়েছে সিনেমার পর্দায়। কোনও বাড়তি অলঙ্করণ নেই। কোনও উপমা-উপঢৌকন নেই। স্রেফ জীবনকে পর্দায় দেখালে যেমন মনে হয় ঠিক সেইরকম।  অভিনেতা দেবদত্ত রাহার হাতেখড়ি থিয়েটারের অভিনয় দিয়ে। তবে এই মুহূর্তে তিনি মঞ্চ থেকে বহুদূরে। তিনি আটপৌরেকে ফোনে জানালেন যে, ' থিয়েটার ছেড়েছি প্রায় তিন বছর, এখন বড় পর্দায় কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। বেশ কিছু সিরিয়ালের প্রস্তাব পেলেও এই মুহূর্তে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের অভিনয়ের জন্যই ফোকাস করছি।' মফঃস...